টেনহরি গ্রামের শিক্ষক মাধব দাস তার বাড়ির ছাদের টবে জৈব সার দিয়ে বিঘোরের বেগুন ফলিয়ে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো-
1 min readটেনহরি গ্রামের শিক্ষক মাধব দাস তার বাড়ির ছাদের টবে জৈব সার দিয়ে বিঘোরের বেগুন ফলিয়ে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো–
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১১ নভেম্বর: কথায় আছে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ দেবীনগর গয়ালাল রামহরি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা টেনহরি গ্রামের মাধব দাস অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে তার প্রবল ইচ্ছা শক্তির উপর নির্ভর করে বাড়ির ছাদের টবে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিঘোরের বিখ্যাত বেগুন জৈব সারের মাধ্যমে ফলিয়ে।যে রাঁধে সে চুলও বাধে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ও গর্বের আমাদের মাধব দাস। এই অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন মহল থেকে শিক্ষক মাধব দাশকে অভিনন্দনের পর অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠাচ্ছেন বহু বিশিষ্ট জনেরা।বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে রায়গঞ্জের টেনহরি গ্রামের গর্ব তথা স্থায়ী বাসিন্দা এবং শিক্ষক মাধব দাস বলেন অনেক দিন ধরেই আমার মনের অদম্য ইচ্ছার সাথে চেষ্টা করছিলাম কিভাবে উত্তর দিনাজপুর জেলার সর্বশ্রেষ্ট বিঘোরের বেগুন ছাদের উপর শুধুমাত্র জৈব সার দিয়ে করা যায়।শুরু করলাম ছাদের উপর সারি সারি টবের মধ্যে বিঘোরের বেগুনের চারা সংগ্রহ করে তা লাগিয়ে।
প্রয়োজন মত জৈব সারের ব্যবহার করে তার পরিচর্যা করতে লাগলাম।মনে মনে ঠিক করলাম আমাকে বিঘোরের মত বড় বড় সাইজের বেগুন তৈরি করতেই হবে।বিঘোরের বেগুন মনে প্রানে যে
কোন কাজের চেষ্টা করলে তা যে ফলপ্রসূ হয় তা আমি হাতে নাতে প্রমান পেলাম। প্রতিটি বেগুন গাছের চেহারা যেমন দেখার মত হয়েছে ঠিক তেমনি গাছের ফলও ধরেছে দেখার মতই।আমি যে ভাবে গাছের পরিচর্যা করেছি বেগুন গাছও আমার মনের আশা পূরণ করে সত্যি সত্যিই বিঘোরের মাটিতে যেমন বিশাল আকার ও ওজনের বেগুন হয় আমার ছাদেও একই রকমের বেগুন ফলেছে।মাধব দাস বলেন বিঘোরের বেগুনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আকারে বিশাল।
যার এক একটির ওজন হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক কেজি র বেশিই হয়ে থাকে।মাধব দাস বলেন চাষিদের প্ৰতি তিনি বার্তা দিতে চান সমাজের এবং ফসলের অতিরিক্ত ফলনের জন্য আমরা চাষিরা রাসায়নিক
সারকে পরিত্যাগম করে দেশীয় জৈব সার দিয়েই চাষ আবাদ করলে নির্ভেজাল ফলন আমরা দেশের মানুষদের উপহার দিতে পারবো।তিনি বলেন তার বেগুন চাষে এক ছটাক রাসায়নিক সারও তিনি ব্যবহার করেন নি।
এখানেই তার সাফল্য।মাধব বাবু বলেন শিক্ষকতার সাথে সাথে আমার দীর্ঘ দিনের ইচ্ছা ছিল আমার জমিতে নিজে হাতে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগবো বাজে সময় অন্য ভাবে ব্যয় না করে।তাই আমার বাড়ির ছাদে যেমন জবা ফুলের চাষ করে থাকি তেমনি বিভিন্ন জাতের গোলাপ ফুলের চাষও করে থাকি।মাধব বাবু বলেন এসব ছাড়াও জমিতে প্রচুর পেঁপে চাষ করি।নিজের পুকুরে মাছ চাষের সাথে যুক্ত থেকেও
অনাবিল আনন্দের মধ্যেই সবসময় আমার সময় কেটে যায়।এসবের মধ্য থেকে আমি নির্মল অক্সিজেন পেয়ে থাকি যা আমাকে সামনের দিকে এগিয়ের যেতে সাহায্য করে আমাকে আলাদা আনন্দ দিয়ে থাকে।কথায় বলে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে।মাধব দাস এসব করেও রাজনীতির আঙিনার মধ্যে থেকে ১০ নম্বর মারাইকুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির বিরোধী দল নেতা হয়ে সমাজের অবহেলিত মানুষদের আশার আলো দেখানোর চেষ্টা কোন অংশেই তার কম নেই।