January 11, 2025

হারিয়াচন্ডী গ্রামে টাঙ্গনের পাড় ভাঙ্গায় গ্রামবাসীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে

1 min read

হারিয়াচন্ডী গ্রামে টাঙ্গনের পাড় ভাঙ্গায় গ্রামবাসীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৫জুলাই:নদী ভাঙ্গনের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চক দিলাল পুর গ্রামের হাড়িয়া চন্ডী এলাকায়। খরা মৌসুমে নদীতে জল না থাকায় চাষবাসের সমস্যায় পড়েন কৃষকরা। আবার বর্ষায় নদীতে দুকুল ভরে ওঠে। এবছরও বর্ষাতে নদীর জল বেড়েছে অনেকটাই। টাঙ্গন নদীর পাড় ভাঙ্গনে ওই ঘাটের শ্মশানের চুল্লি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।

এমনকি চাষের জমি ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন বাসিন্দারা। ফলে নদী পাড়ের অনেক বাসিন্দারাই আজ নদী ভাঙ্গন নিয়ে জেরবার। তাদের অভিযোগ নদী ভাঙ্গন প্রতিবছরই চরম আকার ধারণ করে। কিন্তু সেচ দপ্তর কোন কাজ না করায় আমাদের সমস্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তর শুধু নামেই আছে।তাদের কোন কাজ নেই।এই দপ্তরের আধিকারিকরা টাঙ্গন নদীর পাড় গুলি যেখানে ভীষন ভাবে ভেঙে আছে সেই ভাঙা পারগুলির সংস্কারের কোন রকম ব্যবস্থ্যা আজ পর্যন্ত করেনি।কালিয়াগঞ্জের ব্লক প্রসাশন টাঙ্গন নদীর পাড় ভাঙা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানোর পরেও তাদের নেই কোন রকম হেলদোল।

এর পর আবার নদীতে বাঁশের মাচা দিয়ে কৃত্তিম বাঁধ দিয়ে মাছ ধরার ফলে ভাঙ্গনের সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। হারিয়া চন্ডী গ্রামের গায়েত্রী দাস বলেন হারিয়াচন্ডী গ্রামের টাঙন নদীর পাড় যে ভাবে ভাঙছে তা অত্যন্ত গ্রামবাসীদের কাছে আতঙ্কের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।টাঙ্গনের জল সেই ভাবে এখনো না বৃদ্ধি পেলেও দিন কয়েকের মধ্যেই জলের মাত্রা বাড়বে বলেই গ্রাম বাসীরা এক রকম নিশ্চিত।গায়ত্রী দাস বলেন আমাদের গ্রামের বাসিন্দারা বার বার রাধিকাপুরের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিক্রম দেবশর্মাকে নদীর পাড় যে ভাবে ভাঙছে তা জানানো হয়েছে।কিন্তূ গ্রাম পঞ্চায়েতের কোন রকম হেলদোল নেই।

যখন পাড় ভেঙে গ্রামের মধ্যে জল ঢুকে যাবে এরা তখন সরকারি টাকা নয়ছয় করে নদীর পাড় ঠিক করার ব্যবস্থ্যা করবে।রাধিকাপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় কুমার দাস বলেন তারা নদীর পাড় ভাঙন পরিস্থিতি নিয়ে সেচ দপ্তর ও কালিয়াগঞ্জ ব্লক প্রসাশননকে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে নদী থেকে মাছ ধরা বন্ধ করবার দাবি জানিয়েছেন বলে জানান।রাধিকাপুরের টাঙন নদীর পাড় ভেঙে যাবার ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে হারিয়া চন্ডী গ্রামের নদীর পাড়ের মানুষজন।সেচ দপ্তর থেকে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার উত্তরে উত্তর দিনাজপুর জেলার সেচ দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশীষ পাত্র বলেন আমরা খবর পেয়েছি।

খুব শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিক্রম চন্দ্র দেব শর্মা নদীর পাড় পরিদর্শন করে কোথায় কোথায় সংস্কার করতে হবে তা লিখিতভাবে জানালেও সেচ দপ্তর নির্বিকার বলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *