কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য ঈশ্বর রজক এর কাজকর্মে ক্ষুব্ধ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ। সত্য সাঁই তথ্যকেন্দ্রের আড়ালে চলছে গোপনে পার্টি অফিস।
1 min readকালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য ঈশ্বর রজক এর কাজকর্মে ক্ষুব্ধ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ। সত্য সাঁই তথ্যকেন্দ্রের আড়ালে চলছে গোপনে পার্টি অফিস।
তনময় চক্রবর্তী কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্যের দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন তিনি নাকি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের অভাব অভিযোগ শুনে তাদের পাশে দাঁড়াবেন। তিনি বলেছিলেন অসহায় দরিদ্র মানুষদের পাশে থেকে নাকি পৌরসভার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেবেন। এতে কে কোন রাজনৈতিক দল করেন তা তিনি নাকি দেখবেন না। যিনি প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য এর দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন নিয়মিতভাবে তার নিজের ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষরা কেমন আছেন তা তিনি নাকি নিয়মিতভাবে খোঁজখবর রাখবেন। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাস হয়ে গেল তার। সে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবায়নের মধ্যে বিস্তর ফারাক। তিনি আর কেউ নন। তিনি হলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কমিশনার কথা বর্তমান প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য ঈশ্বর রজক।
ফলে প্রাক্তন এই কমিশনারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। যার প্রতিফলন ইতিমধ্যে হাতেনাতে পেয়ে গিয়েছেন বিগত বিধানসভা নির্বাচনে তার নিজের ওয়ার্ডে বিজেপির কাছে পর্যদুস্ত হয়ে। এই প্রতিবেদকের কাছে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বহু মানুষ অভিযোগ করে বলেন, দাদা আমরা ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ বহুদিন ধরে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে রয়েছি। আমাদের সমস্যা শোনার মতো কেউ নেই।
আমাদের ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে আমরা নানা সমস্যায় রয়েছি অথচ আমাদের ওয়ার্ডের পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য যিনি রয়েছেন তিনি সবসময় আমাদের কাছে নজর এড়িয়ে চলেন। আমরা যদি তার কাছে যাই কোন সমস্যা নিয়ে তখন তিনি বলেন বিধানসভা নির্বাচনে যেমন বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন আপনারা এবার বিজেপি নেতাদের কাছে যান।তিনি আমাদের বলেন আমার সমস্যার সমাধান করা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
এলাকার মানুষরা বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য হিসেবে যেদিন থেকে ঈশ্বর বাবু দায়িত্ব নিয়েছেন সেদিন থেকে তিনি মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন ওয়ার্ডের মধ্যেই। আবার অনেকেই বলেন সবকিছু সহ্যের শেষ আছে। যিনি জনগনের ভোটে নির্বাচিত না হয়েও পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দায়িত্ব নিয়ে নিজেকে পৌরপতি মনে করেন তার উপযুক্ত বিচার করবে আগামী পৌরসভা নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অনেক সাধারন মানুষ বলেন রাজ্যের তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উদ্যোগে অনেক ভালো ভালো প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যার সুনাম আজ শুধুমাত্র এই রাজ্যে নয় বিদেশেও রয়েছে।অথচ তৃণমূল কংগ্রেসের এই সমস্ত নেতাদের জন্য আজ এই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বহু মানুষ পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন। পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে এই ওয়ার্ডের মুখ চিনে চিনে। ফলে প্রকৃত গরীব মানুষরা আজ বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন। যা এই ওয়ার্ডে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরলেই পরিষ্কার বোঝা যায়।
কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কমিশনার তথা প্রশাসক মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ঈশ্বর রজক এর বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ তিনি আজ থেকে কয়েক বছর আগে এটি সত্য সাঁই তথ্যকেন্দ্র নামে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছিলেন মহেন্দ্রগঞ্জ এ। সেখানে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীদের আনাগোনায় একটা সময় সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু আজ এমন কি হলো সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ঈশ্বর বাবুকে বন্ধ করে দিতে হলো। অনেকে বলছে এর পিছনেও নাকি বড়োসড়ো রহস্য রয়েছে। তবে আজ সেই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ না থাকলেও রয়েছে তার সাইনবোর্ড বড় বড় হরফে। কিন্তু সেই কম্পিউটার সেন্টারের অন্তরালে এখন চলছে সেখানে মিনি দলীয় কার্যালয়। জানা যায় কালিয়াগঞ্জ এর তৃণমূল কংগ্রেসের নাকি যখন কোন গোপন বৈঠকের দরকার হয় তখন সেই সত্য সাই কেন্দ্রে তা হয় । এলাকার মানুষের প্রশ্ন সত্য সাঁই এর নাম ভাঙিয়ে কি প্রাক্তন কমিশনার বাবু মিনি পার্টি অফিস বানাতে পারেন ? আজও সেই তথ্যকেন্দ্রের সাইনবোর্ডে বড় বড় করে লেখা রয়েছে চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত রকম তথ্য নাকি সেখান থেকেই দেওয়া হয় । ।আজ যদি সেই সত্য সাঁই তথ্যকেন্দ্রে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ শিবির চালু থাকত তাহলে অনেক ছাত্র ছাত্রীরা সেখান থেকে উপকৃত হতেন যেমন তেমন চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত রকম তথ্য দেওয়া হলে মানুষের উপকার হতো । ঈশ্বর রজক এর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করোনাকালে সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা থেকে সাধারন গরিব মানুষদের জন্য যে খাদ্য সামগ্রী বন্টন করা হচ্ছে সেখানেও তিনি এই ওয়ার্ডের মানুষদের জন্য রং বেছে বেছে সেই পৌরসভার খাদ্যপণ্যের স্লিপ বন্টন করছেন এই ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতিকে দিয়ে যার ফলে অনেক অসহায় ব্যক্তি যেমন সেই সাহায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত থেকে গেছেন তেমনি অট্টালিকার মধ্যে থাকে এমন পরিবারের দুইজন চাকরি করেন এমন পরিবারকেও তিনি পৌরসভার খাদ্যসামগ্রী বন্টনের স্লিপ দিয়ে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন ঈশ্বর বাবু বলে অভিযোগ। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের দাবি অবিলম্বে এই ধরনের মানুষকে প্রশাশক মন্ডলীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক নচেৎ আগামী পৌরসভা নির্বাচনে এই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ বিধানসভা নির্বাচনের মতো মুখ ফিরিয়ে নেবেন।।এদিকে প্রাক্তন কমিশনার ঈশ্বর রজক এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন এগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। এগুলো অভিযোগ সমস্ত মিথ্যা