লকডাউনের মাঝেই বিধি নিষেধ মেনে ভান্ডার অঞ্চলের কাজ হারানো দিন মজুররা ১০০দিনের কাজ পেয়ে ব্যাপক খুশি
1 min readলকডাউনের মাঝেই বিধি নিষেধ মেনে ভান্ডার অঞ্চলের কাজ হারানো দিন মজুররা ১০০দিনের কাজ পেয়ে ব্যাপক খুশি
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,১৯জুন:করোনা আবহে কাজ হারানো দিন মজুরদের আয়ের পথ দেখাচ্ছে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ৭নম্বর ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত রাজ্যের যে সমস্ত ব্লকে কাজ হারানো শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেনা তাদের কাজ দেবার জন্য একশো দিনের কাজ শুরু করবার ব্যবস্থ্যা নিতে বলা হয়।সেই মত কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রসূন ধারা ও কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকারের উদ্দ্যোগে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভান্ডার অঞ্চলের কেউতান গ্রামে ফলেন দেবশর্মার জমিতে একটি পুকুর খননের কাজ শুরু করে দেয় ভান্ডার জিপি।এর ফলে একদিকে যেমন কাজ না পাওয়া জবকার্ড হোল্ডাররা কাজ পাবে তেমনি জল সেচের কাজে
এই পুকুরের জল সেচের কাজে ভবিষ্যতে ব্যবহার করা হবে বলে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার জানান। তিনি বলেন এই পুকুর খননের কাজে এই এলাকার ৩৫জন মহিলা জবকার্ড হোল্ডাররা এই লকডাউনের মধ্যে ও দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করছে। লকডাউনের মাঝে ১০০ দিনের কাজের ছাড়পত্র দেওয়ায় খুশি গ্রামের জবকার্ডধারী শ্রমিকেরা।
পুকুরে মাটি কাটার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই তাদের কাজ করতে হচ্ছে সরকারি বিধি মেনে।এই প্রকল্পে কাজ পাওয়া জবকার্ডধারী অনিমা বর্মণ বলেন ১০০ দিনের কাজে পুকুর কাটার কাজ পেয়ে খেয়ে বেঁচে আছি।কাজ না পেলে চরম বিপদের মধ্যে পড়তে হত। ১০০ দিনের কাজ শুরুর অনুমতি দেবার পর ৩ দিন ধরে তারা কাজ করছে। লকডাউন চলাকালীন সমস্যায় পড়তে হয়েছিল কোন কাজ ছিল না। সংসারে অভাব দেখা দিয়েছিল। এখন ১০০ দিনের কাজের সুযোগ পাওয়াতে সেই অভাব আর নেই।অপর জবকার্ডধারী তথা পুকুরের মালিক ফলেন দেবসর্মা জানান এই পুকুর খননের ফলে এই এলাকার মানুষ বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হতে পারবে বলে জানান।।কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন বলেন বাইরের রাজ্য থেকে ফিরে আসা কাজ না পাওয়া শ্রমিকদের আমরা কাজ দিতে পারায় আমরা খুশি হয়েছি।কারন আমাদের গ্রামের ছেলেদের বাইরের কাজের উপর আর নিভর্শীল থাকতে হচ্ছেনা।