কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগরের মুক্তিনগরের মেয়ে ও মা বুলবুলি ও সাধনা একশো শতাংশ প্রতিবন্ধী হয়েও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র জোগাড় করতে পারেনি পয়সা দিতে না পাড়ার কারনে
1 min readকালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগরের মুক্তিনগরের মেয়ে ও মা বুলবুলি ও সাধনা একশো শতাংশ প্রতিবন্ধী হয়েও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র জোগাড় করতে পারেনি পয়সা দিতে না পাড়ার কারনে
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৮জুন :রাজ্য সরকার রাজ্যের মানুষদের ভোট পেতে দুয়ারে প্রসাশন,দুয়ারে সরকারের মত কত মানুষকে আকৃষ্ট করবার জন্য এই কর্মসূচিগুলি গ্রহণ করলেও প্ৰকৃত পক্ষে যাদের সুযোগ পাবার কথা ছিল তা না পেলেও গ্রামের তৃণমূলের মোড়ল গোছের এবং গ্রামের তৃণমূলী দালালদের অনেকটাই কার্যসিদ্ধি ঘটেছে বলে কালিয়াগঞ্জের বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন।যদি তাই না হত ভোটের আগে জেলা প্রশাসন থেকে তাবর তাবর আধিকারিকরা গ্রামে গেলেও গ্রামের হত দরিদ্র প্রতিবন্ধীরা যে তিমিরে সেই তিমিরেই আছে বলে জানা যায়।মুস্তাফানগরের হতদরিদ্র অন্ধ প্রতিবন্ধী বুলবুলি দেবশর্মা এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন বিগত ১৪বছর ধরে আমার বাবা কতবার মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাহেবকে বলা হয়েছিল আমার চোখের একটু চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করেদিন না হলে দুটো চোখই নষ্ট হয়ে যাবে।তারা আমার হত দরিদ্র বাবার আমল দেয়নি।
আমাদের যে এই অবস্থা চলছে তারা একদিনের জন্য ও বিজেপি কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত কোন উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেনি।কথার কোন গুরুত্ব দেয়নি।সেসময় যদি কালিয়াগঞ্জের মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আমার ও মায়ের একটা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারতো তাহলে আমাকে এই অল্প বয়সে অন্ধত্বের অভিশাপ নিয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হতোনা?গত রবিবার কালিয়াগঞ্জ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মোস্তাফানগর অঞ্চলের মুক্তিনগর গ্রামে গিয়ে যখন বর্তমানের কথার বিশেষ প্রতিনিধি খবর সংগ্রহ করে নিয়ে এসে তারা যখন জনসমক্ষে খবর আকারে প্রকাশ করে ঠিক তার পরপরই মোস্তাফানগর অঞ্চলের মুক্তিনগর গ্রামে গিয়ে অসহায় দরিদ্র মা মেয়ের মৃত্যুতে তলিয়ে যাবার মুখে যুগলবন্দি মা মেয়ের খবর সাথে সাথে তা প্রশাসনের কানে চলে যায়।কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে মুস্তাফা নগরের মুক্তি নগরের গ্রামে প্রশাসন ত্রানের ব্যবস্থা করে ।দিয়ে আসে জামা কাপড়।ত্রিপাল প্রভৃতি।কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার বলেন বর্তমানের কথাকে স্যালুট ।
তাদের খবরের জন্যই আমরা এত বড় ঘটনাকে জানতে পেরেছি। বুলবুলির বাবা হত দরিদ্র মন্টু দেবশর্মা বলেন এতদিনপর,এত ঢ্যাক বাজিয়ে দুয়ারে সরকার করার পরেও কি করে এই সমস্ত হতদরিদ্র মানুষেরা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়?বুলবুলির বাবা কাঁদতে কাঁদতে বলেন আমার বুলবুলির অন্ধ হবার পেছনে দায়ী একমাত্র মুস্তাফানগরের প্রধান।তিনি এতদিন সময় থাকতে যদি একটু গুরুত্ব দিত তাহলে বুলবুলিলে এই বয়সে অন্ধত্বের অভিশাপ নিয়ে মৃত্যু র দিকে অগ্রসর হতে হতনা।গ্রাম গ্রামপঞ্চয়েতের পাশে কোন দিন খোঁজ খবর নেননি।
তিনি দুঃখ করে বলেন আজকে আমার মেয়ের আঁধার কার্ড, ভোটার কার্ডের জেরক্স নিয়ে যেতে পারে ঠিকই। কিন্তু আমার বুলবলি ও স্ত্রীকে কি আগের জায়গায় ফিরিয়ে দিতে পারবে?কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হিরন্ময় সরকার (বাপ্পা) বলেন বুলবুলি চোখের সমস্ত সমস্যা চিকিৎসকদের দিয়ে দেখিয়ে শংসা পত্র সব কিছু আমি দায়িত্ব নিয়ে করে দেব।
এর পর প্রতিমাসে প্রতিবন্ধি ভাতা যাতে একহাজার টাকা করে পায় তার ব্যবস্থাও আমিদায়িত্ব নিয়ে করে দেব বলে জানান।যদিও হিরন্ময় সরকার এই সমস্ত ঘটনা জানতে পারলে তিনি।চুপ করে বসে থাকেন না।এদিকে বিজেপির কর্মঠ বিধায়ক সৌমেন রায় আগেই এই অসহায় হত দরিদ্র মন্টু দেবশর্মার বাড়িতে গিয়ে অনেক ত্রাণ সামগ্রী,জামা ।কাপড়,ত্রিপাল দেবার সাথে সাথে কিছু আর্থিক সাহায্য দিয়ে আসেন।বিধায়ক সৌমেন রায় বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সরকারের পক্ষ থেকে দুয়ারে সরকার,দুয়ারে প্রসাশন গ্রামে গ্রামে গিয়ে রাজ্য সরকারের ভাড়ার শুন্য হলেও কোন কাজ হয়নি।তিনি বলেন যদি প্ৰকৃতই কাজ হত তাহলে আমাকে ধনকোল গ্রাম পঞ্চায়েতে আমার ব্যক্তিগত টাকা খরচ করে ঘর।বানিয়ে দিতে হত ?আর বুলবুলি ও সাধনা দেবী র পরিবারের পাশে এসে সাহায্যে করতে হতো না।