কোচবিহারের আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল, সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রীর, শীতলকুচিতে কালো পতাকা ধনকড়কে
1 min readকোচবিহারের আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল, সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রীর, শীতলকুচিতে কালো পতাকা ধনকড়কে
পূর্ব ঘোষিত সূচি মেনেই বৃহস্পতিবার সকালে বিএসএফের হেলিকপ্টারে কোচবিহার পৌঁছন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। শীতলকুচি-সহ বিভিন্ন এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। এদিন কোচবিহারে পৌঁছেই মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, ‘সাংবিধানিক পদকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী?’ তাঁর মতে, সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘বাংলা ছাড়াও ৪ রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে, কোথাও রক্তপাত হয়নি। প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই হিংসা হয়েছে রাজ্যে।’
এদিন মাথাভাঙার বিভিন্ন এলাকায় যান রাজ্যপাল। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াদের মধ্যে কল্যাণী দাস, আষাড়ি দাস, কাজল মুখোপাধ্যায়, বিপুল দাসদের বাড়িতে যান তিনি। সন্ত্রাসের কথা বলতে গিয়ে রাজ্যপালের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মহিলারা।
রাজ্যপালের এই সফর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন সরকারি প্রোটোকল মেনেই হচ্ছে কিনা তা নিয়ে। তার জবাবে রাজ্যপাল বলেছেন, সাংবিধানিক বিধি মেনেই শীতলকুচি-সহ কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে সবার একজোট হয়ে কাজ করা উচিত।’ রাজ্যপাল তাঁর চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে লিখেছেন,
‘আমি ও আপনি দু’জনেই সাংবিধানিক দায়িত্বপ্রাপ্ত। শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংবিধান মেনে চলতে আমরা বাধ্য। আপনার তরফে যে অবস্থান নেওয়া হয়েছে, আমি তাতে রাজি হতে পারছি না। আমি জানি আপনি অন্তত সংবিধান মেনে চলেন।’
এদিন শীতলকুচিতে রাজ্যপালকে কালো পতাকাও দেখানো হয়। বিজেপির বক্তব্য, যারা কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছে তারা সবাই তৃণমূলের লোক। পাল্টা শাসকদলের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি
গিয়েছেন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে। একজন তৃণমূলকর্মীর বাড়িতেও যাননি। দিনহাটা থেকে শুরু করে সিতাই-বহু জায়গায় তৃণমূলকর্মীরাও আক্রান্ত। এতেই বোঝা যায় তিনি কতটা নিরপেক্ষ!