অবৈধ ভাবে কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতী নদীর বুক থেকে মাটি কাটলেও প্রসাশন নির্বিকার
1 min readঅবৈধ ভাবে কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতী নদীর বুক থেকে মাটি কাটলেও প্রসাশন নির্বিকার
তপন চক্রবরী,কালিয়াগঞ্জ,৪মে:প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতী নদী থেকে জন দিয়ে মাটি কেটে বাড়িতে নিয়ে গেলেও কালিয়াগঞ্জের প্রসাশন নির্বিকার,নেই কোন হেলদোল।গত সোমবার দেখা যায় পাঁচজন মজুর শ্রীমতী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটলে অনেকেই প্রশ্ন তোলে নদী থেকে কি ভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাটি কাটতে পারে বলে প্রশ্ন ওঠে।দিন মজুরদের প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন তাদেরকে নদী থেকে মাটি কাটতে ঐ সাদা দালান বাড়ির মালিক বলায় তারা মাটি কাটছে বলে জানায়। নদীর পাড়ে বাড়ির মালিক ভোম্বল দাস এলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বাড়ি ভরাটের কাজ কার পারমিশন নিয়ে করা হচ্ছে,এই প্রশ্নের উত্তরে ভোম্বল দাস বলেন আমার বাড়ির প্রচুর মাটি নদীতে চলে এসেছে সেগুলিই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনা জানা জানি হতেই কালিয়াগঞ্জ পরিবেশ ও নদী বাঁচাও কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রসূন দাসের কানে এই খবর যায়।প্রসূন দাস এক সাক্ষাৎকারে বলেন রাজ্যের ভূমি সংস্কার দপ্তরের প্রচ্ছন্ন মদতে কিছু মানুষ শ্রীমতী নদীকে পুরোপুরি রায়তি সম্পত্তি করে নিয়েছে।যার অবিলম্বে তদন্ত করা উচিৎ।কি ভাবে একটি নদী বিক্রি হয়ে যেতে পারে সে ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা সাশক অরবিন্দ কুমার মিনাকে জানালেও কোন ব্যবস্থ্যা আজ পর্যন্ত সরকারি ভাবে নেওয়া হয়নি।উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ নদী ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটির আন্দোলনের ফলে জেলা সাশক অরবিন্দ কুমার মিনা এক সময় একটি লিখিত নির্দেশ দিয়ে ছিলেন কালিয়াগঞ্জ শ্রীমতী নদীর সংস্কারের জন্য একশো দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে নদী সংস্কারের জন্য।কিন্তূ নির্দেশ বের হলেও কোন কাজ আজ পর্যন্ত করতে পারেনি কালিয়াগঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রসূন ধারা।কারন পুরো নদীটাই নাকি রায়তি সম্পত্তি করে নিয়ে সেখানে বোরো ধানের চাষাবাদ করছে কিছু শ্বার্থন্বেষী মানুষ।কালিয়াগঞ্জ নদী ও পরিবেশ বাঁচাও কমিটির যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ ব্রহ্ম বলেন নদী থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে প্রশাসনকে জানাবেন যাতে অবৈধ ভাবে শ্রীমতি নদী থেকে মাটি কাটার কাজ বন্ধ করে দেওয়া যায়।তাছাড়া জেলা সাশক যখন শ্রীমতী নদীর সংস্কারের জন্য লিখিত নির্দেশ দিয়েছে তাহলে সেই কাজ কেন এতদিনেও করা হলোনা জানতে চাইলে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রসূন ধারা বলেন শ্রীমতী নদী পুরোটাই দেখা যাচ্ছে রায়তি সম্পত্তি।সুতরাং কোন ভাবেই সংস্কার করার কাজ শুরু করা সম্ভব নয়।কিন্তু এখানেই প্রশ্ন? কে বা কাহারা কাদের সহযোগিতায় একটি গোটা নদীকে রায়তি সম্পত্তি করে নিল তাদের কেন খুঁজে বের করা হচ্ছেনা?কোন সরকারের আমলে এবং কোন ডি এল আর ওর সহযোগিতায় অবৈধ উপায়ে একটি নদী বিক্রি করে দেওয়া হলো সেই ঘটনা কেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুঁজে বের করা হচ্ছেনা?তাহলে কি সর্ষার মধ্যেই ভুত লুকিয়ে আছে?এই প্রশ্ন সমগ্র কালিয়াগঞ্জ বাসীর।অবিলম্বে যদি উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে তৎপর না হয় তাহলে জেলা প্রশাসনের দপ্তরের সামনে কালিয়াগঞ্জ পরিবেশ ও নদী বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে আন্দোলনে নামা হবে বলে যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ ব্রহ্ম জানান।