January 13, 2025

উত্তর দিনাজপুর জেলায় নির্বাচনী খেলার মাধ্যনে তৃণমূলে ভাঙনের খেলা শুরু করে দিয়ে খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিক্ষোভের মুখে

1 min read

উত্তর দিনাজপুর জেলায় নির্বাচনী খেলার মাধ্যনে তৃণমূলে ভাঙনের খেলা শুরু করে দিয়ে খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিক্ষোভের মুখে

তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৬,ফেব্রুয়ারী: খেলা হবে খেলা হবে তৃণমূলের সুপ্রিমো থেকে অনুব্রত, মদন মিত্র সবার মুখেই একই কথা বেশ কিছুদিন ত্থেকেই শোনা যাচ্ছিল।শুক্রবার সেই খেলা প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সাথে সাথে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গুরুত্বপূর্ন তৃণমূলের নেতৃত্বদের প্রার্থী না করায় তৃণমূল দলে ভাঙনের খেলা শুরু হয়ে গেল।শুক্রবার যেমন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পথ অবরোধ,বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঠিক একই রকমভাবে উত্তর বঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায় রায়গঞ্জ এবং ইটাহারে এই ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে।উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়াল সম্পর্কে অভিযোগ,তিনি নিজে ইসলামপুরে তার জায়গায় নিজের জমি ধরে রাখতে না পেরে ইসলামপুরের পরিবর্তে রায়গঞ্জ বিধান সভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ঘোষণা হতেই রায়গঞ্জে তৃণমূলের নেতৃত্বরা কানাইয়ালালের প্ৰতি ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু।করে দিয়েছে।রায়গঞ্জের দীর্ঘদিনের লড়াকু নেতা তথা রায়গঞ্জ পৌর সভার উপ-পৌর পিতা ও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা অরিন্দম সরকার তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা সভাপতি কানাইয়ালালের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন তিনি জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হয়েছেন।

তিনি কি করে ভাবলেন ইসলামপুরে বিধায়কের প্রার্থী টিকিট না পেয়ে রায়গঞ্জ আসনের টিকিট পেয়ে বিধায়কের আসনে জয়ী হবেন।কানাইয়ালালের রায়গঞ্জের জনসাধারণের প্ৰতি কোন পরিষেবা আগেও ছিলনা,এখনো কিছু নেই।উনি ইসলামপুর থেকে এসে রায়গঞ্জের প্রার্থী হবেন আর রায়গঞ্জের স্থানীয় নেতৃত্ব যারা এই দলকে প্রতিষ্টা লগ্ন থেকে চোখের মনির মত আগলে রেখে কাজ করে আসছে তারা মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকবে তাহলে ভুল করবেন।আমরা কোন ভাবেই কানাইয়ালাল আগরওয়াল কে নিয়ে নির্বাচনের প্রচারে যাওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়।তিনি রায়গঞ্জের আপামর তৃণমূল কর্মীদের উপর বড় আঘাত এনেছেন।রায়গঞ্জে কি তৃণমূলের প্রার্থী হবার মত কোন যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন না?তা ছাড়া তিনিতো জেলার তৃণমূলের অভিভাবক।একজন অভিভাবক যদি নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করবার জন্য দলের স্বার্থ দেখেন না তখন তাকে অভিভাবক বলে কেও মেনে নিতে পারেনা কোনভাবেই।ফলে রায়গঞ্জের তৃণমূলের কর্মী থেকে নেতৃত্ব কোন ভাবেই

এই চাপিয়ে দেওয়া সিধান্ত মেনে নেবেনা বলেই তৃণমূলের রায়গঞ্জের কর্মীদের সাথে সাধারণ মানুষ মনে করেন।উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জে পথে নেমে বিক্ষোভে ফেটে পরে।শুধু রায়গঞ্জ নয় জেলার ইটাহারের দুই বারের বিধায়ক তথা তৃণমূলের দাপটে নেতা অমল আচার্যের মত বলিষ্ঠ তৃণমূল নেতা এবার ইটাহার থেকে বিধায়কের টিকিট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।এর পেছনেও যে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালালের কালো হাত রয়েছে তা জলের মতই পরিস্কার।তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণা টিভির পর্দায় শুনতে পেয়ে ইটাহারের বিদায়ী বিধায়ক অমল আচার্য বাকরুদ্ধ হয়ে পরেন।ইটাহারের তৃণমূলের সমর্থক থেকে নেতৃত্ব অমল আচার্যকে প্রার্থী না করে যুব নেতা মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করার কথা শোনা মাত্র সবাই ডুকরিয়ে ডুকরিয়ে কাঁদতে শুরু করে দেয়।সমর্থকেরা ইটাহার চোরাস্তায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পরে

বলে জানা যায়।উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূলের অধিকাংশ নেতৃত্বদের মুখে একই কথা জেলা সভাপতি নির্বাচনের মুখে এই ধরনের পেছন থেকে ছুরি মারার যে কি মারাত্মক ফল হবে তা তিনি বুঝতে পারবেন অচিরেই।তৃণমূলের জেলা সভাপতির মত পদে থেকে এই কানাইয়ালাল বলেছিলেন রায়গঞ্জ পৌর সভা ভোটে তৃণমূলের সমর্থকেরা রায়গঞ্জ পৌর সভা নির্বাচনে মানুষদের ভোট না দিতে দিয়ে বুথ দখল ও ছাপ্পা ভোট করে দখল করে অন্যায় করেছিল।এই কথা বলার পরে রায়গঞ্জের তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ জেলা সভাপতি সম্পর্কে অনেকেই বিস্ফোরক মন্তব্য করতেও পিছপা হয়নি।তৃণমূলের রায়গঞ্জ ও ইটাহারের তৃণমূল নেতৃত্বদের বলতে শোনা যাচ্ছে আমাদের জেলা সভাপতি শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে এমন খেলা শুরু করে দিলেন যার ফলে এই নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়ে তৃণমূল নামক দলটির সর্বনাশ ডেকে এনে দলের মধ্যে ভাঙনের খেলা শুরু করলেন তা জেলার রাজনৈতিক মহলের ধারণা।এ ব্যাপারে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে যিনি বলেন তৃণমূল খেলা হবে খেলা হবে বলে অনেক দিন থেকেই প্রচার করে আসছে।তাই তৃণমূলের ঘর ভাঙার খেলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি নিজেই শুরু করে দিলেন।আমরা এবার দেখবো তৃণমূল কেমন খেলা খেলছে।তৃণমূল এবার এমন খেলা খেলছে যার ফলে দলটাই ভেঙে চৌচির হযে যাবে।জানা যায় কানাইয়ালাল গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে প্রার্থী হবার ফলে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হওয়া বিধায়ক পদ তিন বছরের মাথায় ইস্তফা দিতে হয়।তারপর আম ও যায় ছালাও যায়।এরপর কানাইয়ালালকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে বহাল করে।কানাইয়ালালকে তৃণমূল সুপ্রিমো হুগলি রিভার ব্রিজ করপোরেশনের ভাইস-চেয়ারম্যানের পদেও নামকে ওয়াস্তে তার মন জয় করার জন্য করে রেখেছেন।জানা যায় রায়গঞ্জে তৃণমূল সুপ্রিমো কানাইয়াকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান তাকে ইসলামপুর বাদে জেলার অন্য কোথাও বিধান সভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে।যদিও তিনি ইসলামপুর ছাড়া কোথাও দাঁড়াবেন না।যা কালীঘাটেও জানানো হয়েছিল।কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *