December 25, 2024

আমন্ত্রিত মমতা রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে

1 min read

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে আগামী ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল গ্রাউন্ডে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি উপস্থিত থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও সমার্বতন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন। সমাবর্তনকে সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই অর্গানাইজিং কমিটি
তার অধীনে মোট ১১টি সাব কমিটি করেছে। সমাবর্তনে বিশিষ্ট ব্যক্তিকেসম্মানীয় ডিলিটউপাধি দেয়া হবে।

১০ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগে প্রথম স্থানাধিকারী ৯৪ জনকে গোল্ড মেডেল দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের স্নাতক স্নাতকোত্তর মিলে মোট ১৫৫০ জনকে ডিগ্রি ডিপ্লোমা সংক্রান্ত শংসাপত্র ওই দিন দেওয়া হবে।রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমার্বতনের দিন ফেব্রুয়ারি স্থির করা হয়েছে। রাজ্যপালের সম্মতি আমরা পেয়েছি। তিনি সমাবর্তনে যোগ দেবেন। শিক্ষামন্ত্রীও সম্মতি জানিয়েছেন। প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কাকে সম্মানীয় ডিলিট দেওয়া হবে সেব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে। সেই বৈঠকটি আগামী মঙ্গলবার রয়েছে।

 বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিল ভুঁইমালি বলেন, গতবছর মুখ্যমন্ত্রী চোপড়া সফরে থাকাকালীন তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ পাঠানো হচ্ছে। রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রীকে আমরা আমন্ত্রণপত্র পাঠাব। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজ রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। সেসময়ে রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে মূলত স্নাতক স্তর পড়ানো হতো। সেসময়ে কলেজটি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে নতুন ভাবে স্নাতকোত্তর পড়ানো শুরু হয়। সেসময় থেকেই রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের সমস্ত পরিকাঠামোকে উন্নত করে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যায়। বিভিন্নভাবে সেকাজ এখনও চলছে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্নাতকোত্তর বিভাগ খোলা, পিএইচডি কোর্স চালু করা, নতুন নতুন কোর্স বিভাগ চালু করা, বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরে সেমিনারের আয়োজন করা শুরু হয়। সেসঙ্গে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী নিয়োগ সহ আরও নানা ধরনের প্রশাসনিক কাজ শুরু হয়। অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ১০ তলা ভবন নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়কে সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা, নতুন নতুন ক্লাস রুম করা, উপচার্য, রেজিস্ট্ররের বসার ঘর সংস্কার করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবনটির সংস্কার সহ আরও বহু ধরনের উন্নয়নের কাজ করা হয়। বর্তমানে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে মোট ১২ হাজার ৬০০ পড়ুয়া রয়েছেন। এখানে ২১টি স্নাতকোত্তর স্তরের বিষয় পড়ানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১২ জন স্থায়ী শিক্ষক আছেন।
এরইমধ্যে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান করতে চলেছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনকে সফল করার জন্য ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাজোসাজো রব পড়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি উপস্থিতির জন্য বিভিন্ন প্রোটোকল থাকে। সেবিষয়গুলি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য অর্গানাইজিং কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। < /span>বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওই কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *