জলের ৬০ ফুট নীচে মালাবদল, সমুদ্রের তলায় অভিনব বিয়ে

সাধারণ মানুষ তাঁদের বিয়েকে স্মরণীয় করে তুলতে কী না করে। এমনই এক অনন্য বিবাহের সাক্ষী হল কোয়েম্বাটুর। সেখানে সমুদ্রের নেমে জলের তলায় ৬০ ফুট গিয়ে মালাবদল করলেন পাত্র-পাত্রী। পেশায় দুজনেই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।তবে হঠাত্‍ করে না। একেবারে পুরোহিতের সময়ের নিয়ম মেনে বিয়ে সারলেন দুজনে। তামিলনাড়ুর নীলকরাই সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে বিয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন চিন্নাডুরাই এবং শ্বেতা। শুভসময় আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা দুজনেই সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

এসময় তাঁদের পরণে ছিল বিয়ের পোষাকই।কনে শ্বেতা কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা। সে জানিয়েছে, তাঁর হবু স্বামী যখন সমুদ্রের জলের নীচে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল তখন তিনি রীতিমতো অদ্ভুত বোধ করেছিলেন এবং ভয়ও পান। তবে হবু স্বামী অবশেষে তাঁকে ব্যাপারটা বোঝাতে সক্ষম হয় ও জলের তলায় বিয়েতে রাজি হয় শ্বেতা।তিরুভান্নমালাই এ বসবাসকারী বর চিন্নাদুরাই জানান, তিনি ছোট থেকেই সাঁতার কাটতে আগ্রহী এবং তিনি ১২ বছর থেকে স্কুবা ডাইভিং করছেন। তিনি বলেন, যেখান থেকে তিনি সাঁতার শেখেন, সেই ট্রেনারই তাঁকে এভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। আর সেটা তাঁর পছন্দও হয়েছিল ।চিন্নাদুরাই জানান, আমরা জলের তলায় ৪৫ মিনিট সময় কাটিয়েছি। তাঁরা জলের নীচেই একে অপরকে মালা পরিয়ে মালাবদল করেন। সমুদ্রকে সাক্ষী মেনে তাঁরা বিয়ে করেন এবং সাতপাঁকে বাঁধাও পরেন।এর আগে একদিন বিয়র তারিখ ঠিক হওয়ার পরেও সমুদ্র শান্ত না থাকায় বিবাহ সম্পন্ন হয়নি। ফের তারিখ ঠিক করা হয়। সোমবার ভোর সাড়ে ৭ টার দিকে যখন সমুদ্র শান্ত ছিল, তখন দুজনেই ডুব দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে।তবে তাঁরা দুজন তাঁদের বন্ধু বান্ধব কাউকেই তারিখ নির্দিষ্ট না হওয়ার কারণে আমন্ত্রণ জানাতে পারেনি। সেই কারণে তাঁরা পরে অনুষ্ঠান করে বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *