অ্যাকাউন্ট নম্বর দেননি, দিদি ওঁদের নাম দিয়েছেন: হাওড়ার সভায় অমিত শাহ
মনে পড়ে লোকসভা ভোটের আগের কথা? নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা এসে প্রতিটি জনসভায় বলছেন, ‘দিদি এখানে প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধি চালু করতে দেননি। বাংলার কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন!’ পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘আমাদের ওই প্রকল্পের দরকার নেই। আমরা কৃষকবন্ধু চালু করেছি। রাজ্যের কৃষকদের জন্য আমরাই দিতে পারি। কেন্দ্রের ভিক্ষার দরকার নেই।’ পরিস্থিতি যখন এমন তখন গত মাসে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘ঠিক আছে, তাই হোক! কৃষকরা যদি টাকা পান তাতে আমাদের আপত্তি নেই!’
কিন্তু রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলার সমাবেশে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় বড় অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু কেন্দ্রীয় সরকারকে নামের তালিকা পাঠিয়েছেন, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠাননি। নরেন্দ্র মোদী সরকার কৃষকদের টাকা দিতে চায় কিন্তু দিদি প্রতারণা করছেন।’ তাঁর কথায়, ‘মমতাজি, আপনি এই দ্বিচারিতা কেন করছেন? আমি বিজেপি কর্মীদের বলব, বাংলার চাষিদের ঘরে ঘরে গিয়ে বলুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য অর্থ, বছরে ছ’হাজার টাকা করে পাচ্ছেন না।’ মাঝে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, টাকাটা রাজ্যকে দেওয়া হোক। রাজ্য তা কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি মোদী সরকার। অনেকের মতে, সারা দেশে এক পদ্ধতিতে টাকা যাবে আর বাংলায় আলাদা পদ্ধতি তা তো হয় না। তা ছাড়া এর মাঝে রাজ্যের কয়েক লক্ষ কৃষক অনলাইনে পিএম কিষান নিধির জন্য আবেদন করেন। সমালোচকদের মতে, একপ্রকার চাপে পড়েই গত মাসে সম্মতি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার পরে এদিন অ্যাকাউন্ট নম্বর ও অন্যান্য তথ্য না পাঠানোর অভিযোগ তুললেন শাহ। এদিন স্মৃতি ইরানিও তোপ দেগে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধিতে কাটমানি নেই বলে দিদির সরকার তা করতে দেয়নি। সেইসঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলায় আয়ুষ্মান ভারত বলবত্ করতে দেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। বিজেপি সরকার এসে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই বাংলায় আয়ুষ্মান ভারত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেবে। গরিব মানুষ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমা পাবেন।