April 26, 2024

বিশ্বকাপ শেষ হতেই দুঃসংবাদ

1 min read
স্পোর্টস ডেক্সঃ বিশ্বকাপ শেষ হতেই দুঃসংবাদ। ফুটবলার টাইসনের মাকে অপহরণ করল ব্রাজিলের কিছু দুষ্কৃতিকারী। যদিও পুলিশ অপহরণকারীদের কাছ থেকে তাকে উদ্ধার করেছে। আপাতত এই নিয়ে ব্রাজিল ফুটবল মহল সরগরম।রাশিয়া বিশ্বকাপে নেইমারদের দলে ছিলেন টাইসন। ৩০ বছরের টাইসন এখন ক্লাব ফুটবল খেলেন ইউক্রেনের শাখতারে। গত এক মাস ধরে বলতে গেলে রাশিয়ায় ছিলেন টাইসন। লেফট উইংগারে খেলেন তিনি। বাড়ি ব্রাজিলের দক্ষিণে মন্তে বোনিতো শহরে। এই জায়গাটি হল ব্রাজিল ও উরুগুয়ের সীমান্তে। ফলে দুষ্কৃতিকারীদের পক্ষে অপহরণ করে দেশান্তরে চলে যেতে সমস্যা হয় না। টাইসনের মা বাড়ির গেটের সামনে এক ব্যক্তির থেকে ফুলের তোড়া নিতে এসেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই কয়েকজন অপহরণকারী তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে চম্পট দেয়।গোটা দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশে খবর দেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর পাওয়া মাত্র তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। মন্তে বোনিতো শহর খুব একটা বড় নয়।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 ফলে অনুসন্ধান চালিয়ে তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধার করেন টাইসনের মা রোসানগেলা বার্সিলেজ ফ্রেডাকে। ৫৮ বছরের প্রৌঢ়াকে দুষ্কৃতিকারীরা অপহরণ করে একটি বাড়ির গ্যারেজের ভিতর চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিল। সেই অবস্থাতেই তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। চারজন অপহরণকারীর মধ্যে আবার একজন ছিলেন মহিলা। তবে ফ্রেডা যে ফুটবলার টাইসনের মা তা জানত দুষ্কৃতিকারীরা। তাই তার সঙ্গে কোনো অভব্য আচরণ করেনি তারা। এমনকী পুলিশকেও বিশেষ বাধা দেয়নি অপহরণকারীরা। ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন পলাতক।ব্রাজিলে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। অতীতেও ঘটেছে।
 টাইসন
 লুই ফ্যাবিয়ানো ও গ্রাফির মাকেও অপহরণ করা হয়েছিল। পরে তাদের উদ্ধার করতেও সফল হয় পুলিশ। তবে সদ্য বিশ্বকাপ খেলে ফেরা এক বিশ্বকাপারের মাকে কিনা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো! তাই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ পরে সংবাদমাধ্যমকে জানায়, “অপহরণকারীরা জানত একজন বিশ্বকাপারের মাকে তুলে এনেছে তারা। তাই ফ্রেডার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি। তবে আপহরণের পিছনে আসল কারণ কী তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হচ্ছে।” সব জেনেশুনেও কেন তাকে অপহরণ করা হলো সে বিষয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *