লকডাউন এর মধ্যে কালিয়াগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের মানবিক মুখ টাউন অফিসার।
1 min readলকডাউন এর মধ্যে কালিয়াগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের মানবিক মুখ টাউন অফিসার।
জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ।একদিকে যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউন প্রথা কার্যকরী করতে দেশ ব্যাপী কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রচার, তেমনি এই প্রচার কে কার্যকর করে তুলতে রাতদিন পরিশ্রম করে চলছেন পুলিশ প্রশাসন।
কখনো মাইকে প্রচার, কখনো জোড়হাত করে জনগন সচেতন করা আবার কখনো জনগনের সুস্বাস্থ্য ও ভালো থাকার জন্যে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়া। সত্যি তো পরিবার পরিজন ছেড়ে রাজ্যের মানুষদের সংক্রমন হাত থেকে বাঁচানোর প্রাথমিক দায়িত্ব তো এই পুলিশ প্রশাসনের সকল স্তরের কর্মীরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে করে চলেছেন কিন্তু
এইসবের মাঝেও পুলিশের যে মানবিক দিক দেখা পাওয়া গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ প্রশাসনের কাছে তা এককথায় নজীরবিহীন। আর কালিয়াগঞ্জ থানার এই মানবিকতার মুখ হলেন কালিয়াগঞ্জ থানার টাউন অফিসার সাব ইন্সপেক্টর সুশান্ত বৈষ্ণব। প্রায় গত দেড়মাস আগে কালিয়াগঞ্জ হরিহরপুর ধনকোল
এলাকায় এক রাতে একজন মহিলা গন ধর্ষিত হয় যা বর্তমানে বিচারাধীন পর্যায়ে আছে এবং তিনজন ধর্ষক গ্রেফতার বরণ করে রায়গঞ্জ জেল আদালতে বন্দী অবস্থায় আছে। প্রসঙ্গত ধর্ষিতা মহিলা এবং ধর্ষকের পরিবার হত দরিদ্র পরিবারের।
এই লকডাউন এ রোজগারের অভাবে উভয় পরিবারগুলোর আর্থিক পরিস্থিতির কবলে না খাওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আর ঠিক এই পরিস্থিতিতে কালিয়াগঞ্জ পুলিশ প্রশাসনের মানবিক রুপ ফুটে উঠলো আজ সন্ধ্যায় কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডে হরিহরপুর পঞ্চানন মোড়ে। হত দরিদ্র ধর্ষিতা ও ধর্ষক পরিবারের হাতে ৫ কেজি করে চাল ও ১ কেজি করে ডাল দিয়ে সাহায্য করলেন টাউন অফিসার সাব ইন্সপেক্টর সুশান্ত বৈষ্ণব, সাথে ছিলেন ঐ থানার আরো এক অফিসার রনজিত রায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক মুখ দেখতে দেখতে সেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের মধ্যেও যে মানবিকতা তৈরী হয়ে গেছে তা আজ সন্ধ্যায় সাক্ষী হয়ে থাকলো এই প্রতিবেদনে।