কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা মানবিক চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পালের দেওয়া শ্রবণ যন্ত্র দিয়ে এবার শুনতে পারবেন বিশ্বনাথ দে।
1 min readকালিয়াগঞ্জ পৌরসভা মানবিক চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পালের দেওয়া শ্রবণ যন্ত্র দিয়ে এবার শুনতে পারবেন বিশ্বনাথ দে।
তনময় চক্রবর্তী উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে রশিদ পুরের বাসিন্দা বিশ্বনাথ দে। বয়সে প্রবীণ হলেও তার ইচ্ছা এখনো অনেকদিন আর পাঁচজনের মতো বেঁচে থেকে সব কিছুর উপভোগ করার। কিন্তু তিনি ছোটবেলা থেকেই ঠিকঠাক ভাবে শুনতে পাচ্ছিলেন না তার কানের সমস্যার জন্য। বহুবার এ ব্যাপারে বিগত কংগ্রেস পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যান কাছেও গিয়ে আবেদন করেছিলেন একটি শ্রবণযন্ত্র দিয়ে সাহায্য করার জন্য। কিন্তু কে কার কথা শুনে। হন্য হয়ে ঘুরে ঘুরেও তিনি সেই সময় শ্রবণযন্ত্র টি পাননি সেই সময়কার কংগ্রেস
পরিচালিত পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছ থেকে। অবশেষে মা-মাটি-মানুষের কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা হওয়ার পর তিনি আবারো আসেন এবং কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা য় বর্তমান চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল এর কাছে নিজের অসুবিধার কথা জানাতে যে তিনি কানে শুনতে পাচ্ছেন না ঠিকঠাক ভাবে। তার আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ তাই তিনি সেই শ্রবণ যন্ত্র চিনতে পারছেন না।
তিনি যদি এ ব্যাপারে সাহায্য করতেন তাহলে তিনি খুবই উপকৃত হতেন। এইভাবে আবেদন-নিবেদন করার পর অবশেষে আজ পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল তার হাতে তুলে দিলেন সেই প্রতিক্ষিত শ্রবণযন্ত্র। ফলে খুশি বিশ্বনাথ দে। শ্রবণ যন্ত্র পাওয়ার পর তিনি বলেন, এমন মানবিক চেয়ারম্যান খুবই কমই হয়।তাই তার আবেদনে সাড়া দিয়ে চেয়ারম্যান যে এইভাবে তাকে সেই শ্রবণ যন্ত্র দিয়ে সাহায্য করবে তিনি নিজেও ভাবতেই পারছেন না। অন্যদিকে পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, বিশ্বনাথবাবু দীর্ঘদিন ধরে খুবই আশায় ছিলেন যে একটি শ্রবণযন্ত্র তাকে যদি কেউ দিয়ে সাহায্য করতো তাহলে সে কানে ঠিকঠাক শুনতে পেতেন। তাকে যখনই বিশ্বনাথ বাবু বলেন তখনই তিনি তাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তাকে এই শ্রবণযন্ত্র টি দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। অবশেষে আজ সেই শ্রবণযন্ত্র টি পৌরসভা ভবনে তার নিজস্ব কক্ষে নিজে হাতেই তুলে দিলেন বিশ্বনাথ বাবুকে। তিনি বলেন এই ধরনের কাজ করতে পেরে তিনি নিজেও গর্বিত।