কালিয়াগঞ্জ এ সবুজ আবিরের চাহিদা তুঙ্গে।
1 min readকালিয়াগঞ্জ এ সবুজ আবিরের চাহিদা তুঙ্গে।
তন্ময় চক্রবর্তী বাকি রাজ্যের মতো উত্তর দিনাজপুর জেলার ৩ টি পুরসভাতেও ভোটের আবহ ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভোটে হারজিতের পর প্রতিটি দলের কর্মী-সমর্থকেরা নিজের নিজের মতো করে উৎসব ও উদযাপনে মেতে উঠবেন। লাল, সবুজ, গেরুয়া আবির উড়িয়ে চলবে উল্লাস। তবে ভোটেরও আগে, আগামী সোমবার রয়েছে দোল। সেজন্যও যে আবিরের চাহিদা রয়েছে, সেকথা বলাই বাহুল্য। তাই দোলের জন্য তো বটেই সেইসঙ্গে পুরভোটের সেলিব্রেশনের কথা ভেবে এখন থেকে বেশি বেশি আবির মজুত করছেন ব্যবসায়ীরা।কালিয়াগঞ্জ শহরের অন্যতম জনবহুল বাজার হল মহেন্দ্রগঞ্জ বাজার ।
সেই বাজারের একাধিক আবির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গিয়েছে। তাঁরাই জানালেন, যে কোনও মুহূর্তে পুরসভা ভোটের চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। সেদিকে চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত। অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তাঁরা। পুরভোটের ফল প্রকাশের পর আবিরের চাহিদা হু হু করে বেড়ে যায়। এখন এমনিতেই দোলের জন্য আবিরের অর্ডার দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সেইসঙ্গে পুবভোটের কথা ভেবে এবার একটু বেশি করেই আবিরের অর্ডার দিচ্ছেন তাঁরা।
কেউ ১০ কুইন্টাল আবারও কেউ বা ১৫ কুইন্টাল বেশি আবির মজুত করে রেখেছেন।এদিকে ভোটের আগে আবির মজুত রাখার বিষয়টি জানাজানি হতেই জেলার রাজনৈতিক দলগুলি বেশ উৎসাহিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল সবুজ, বিজেপি গেরুয়া এবং কংগ্রেস ও বাম যৌথভাবে লাল ও নীল আবির বেশি পরিমাণে ওড়ানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। সেইসব দলের সমর্থকরাও এখন থেকেই আবির কিনে রেখে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।কালিয়াগঞ্জ এর মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারের এক আবির ব্যবসায়ী বলেন, দোলের জন্য তো এখন থেকেই পসরা সাজিয়ে আবির বিক্রি করা শুরু করে দিয়েছি। তবে সামনেই পুরসভা ভোট রয়েছে।
সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এখন থেকেই আবির মজুত করতে শুরু করে দিয়েছি। সবুজ, গেরুয়া, লাল মিলে এখন মোট ১৫কুইন্টাল আবির মজুত রাখছি। পরে চাহিদা বুঝে এর পরিমাণ আরও বাড়াতে পারি। এমনটা করলে আমাদেরই সুবিধা। কেননা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষিত হলেই তো আবির নেওয়ার ধুম লেগে যায়। আমাদের কালিয়াগঞ্জ শহরে ১৭ টি ওয়ার্ড। পুরসভায় প্রতিটি ওয়ার্ডে কোনও না কোনো দল তো জিতবে। যারা জিতবে তারাই আবির ওড়াবে। তা আগে থেকে মজুত করে রাখলে সুবিধা হয়।তবে অনেক ব্যবসায়ীরা আবার বলছেন কালিয়াগঞ্জ যেভাবে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার তাতে ধরে নেওয়া যেতেই পারে আবারও ক্ষমতায় আসছে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা তৃণমূলের দখলে। তাই অন্যান্য আবিরের চেয়ে সবুজ আবির তারা এবার বেশি করে মজুত রাখছে।