December 21, 2024

উত্তরবঙ্গের মধ্যে সেরা বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলছে কালিয়াগঞ্জ শহরে আগামী পয়লা মার্চ থেকে। শুরু হলো তৎপরতা

1 min read

উত্তরবঙ্গের মধ্যে সেরা বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলছে কালিয়াগঞ্জ শহরে আগামী পয়লা মার্চ থেকে। শুরু হলো তৎপরতা

তনময় চক্রবর্তী। উত্তর দিনাজপুর হোয়াটসঅ্যাপ ,ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ার জামানায় যতই বই পড়া আজকের দিনে পিছিয়ে পড়ূক  না কেনো তবুও কিন্তু বইয়ের বিকল্প নেই। তাই সেই লক্ষ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর শুরু হতে চলছে জেলা বইমেলা। আজ সেই লক্ষ্যে কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী মাঠ পরিদর্শন করে গেলেন এক প্রতিনিধিদল।

 

জানা যায় এই বইমেলা আগামী মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে ৭ তারিখ অব্দি হবে। আর এই বইমেলা কে সাফল্যমন্ডিত করার জন্যই এখন থেকেই উদ্যোগ শুরু করা হবে বলে জানান বইমেলা কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা কেয়া চৌধুরী । তিনি জানান কালিয়াগঞ্জ বাঁশির দীর্ঘদিনের দাবি কে প্রাধান্য দিয়ে এই জেলা বইমেলা এবার কালিয়াগঞ্জে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।তিনি বলেন দীর্ঘদিন ধরে কালিয়াগঞ্জে বইমেলা না হওয়ার ফলে বই প্রেমী মানুষরা খুবই হতাশ হয়ে পড়ছিল।এবার তাদের   দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে এখানে হচ্ছে এই বইমেলা।

 

তিনি বলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পালের বিশেষ অনুরোধে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানান কালিয়াগঞ্জে বইমেলা বিগত দিনে যতবার হয়েছে ততবারই ভালো হয়েছে প্রচুর বই বিক্রি হয়েছে। সেই কারণে তিনি আশা করছেন এবার ও বইমেলা এখানে খুবই সাকসেসফুল হবে। কেয়া চৌধুরী বলেন যতই কম্পিউটার ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ এগুলো থাকুক না কেন বই বই জায়গাতেই রয়েছে। বইয়ের চাহিদা আলাদা। বই পড়ার আনন্দ আলাদা।সেটাকে যদি আমরা সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী এবং মানুষের মধ্যে জাগিয়ে তুলতে পারি  সেই চেতনাকে, সেই আনন্দকে সেই কারণের জন্য এখানে এই মেলা করা। তিনি বলেন কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয় বাড়িতে সব বই কিনে নিয়ে এসে পড়া।  কালিয়াগঞ্জ বা রায়গঞ্জে সব বইয়ের দোকানে সব বই পাওয়া যায় না।তাই এই মেলা গুলো হলে সব রকম বয়সের মানুষই এবং বাচ্চারা তারা তাদের পছন্দমতো বই পেতে পারবে। তিনি বলেন যতই ইন্টারনেটের যুগে বই পড়ার আগ্রহ মানুষের কমুক না কেনো তবুও বলতে হয় বইয়ের  কোন বিকল্প নেই। কারণ ইন্টারনেটে তো আর বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টানো যায় না। বই একটা অ্যাসেট। যেমন গয়না মেয়েদের একটা অ্যাসেট । তেমনি বইও একটা অ্যাসেট। কারণ বই আমরা বারবার পড়তে ভালোবাসি। আমি পড়বো আমার পরবর্তী প্রজন্ম পড়বে। কেয়া চৌধুরী বলেন বইয়ের প্রতি আগ্রহ চিরন্তন। তাই ধীরে ধীরে সেটা আরো বাড়বেই। অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভা চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া যতই দাপাদাপি করুক বই এর কোন বিকল্প নেই। কালিয়াগঞ্জ বাঁশির দীর্ঘদিনের চাহিদা কালিয়াগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে কোন বই মেলা হয় না। তিনি বলেন আজ তিনি সত্যিই খুবই আবেগ তাড়িত যে কালিয়াগঞ্জ এ জেলা বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন আগামী পয়লা মার্চ থেকে এই বইমেলা এখানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যে আজ কালিয়াগঞ্জ এর পার্বতী সুন্দরীর মাঠ পরিদর্শন হয়ে গেল। আগামী সোমবার পৌরভবনে এই বইমেলা উপলক্ষে একটি মিটিং রয়েছে। সেখানে জেলা স্তরের বহু বইমেলার উদ্যোক্তা থেকে আরম্ভ করে আধিকারিকরা থাকবেন। সেদিন একটি কমিটি গঠন করা হবে। তারপরে শুরু হয়ে যাবে বইমেলা সাফল্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কাজকর্ম।তিনি বলেন এই বইমেলা তারা চাইবেন জেলার মধ্যে কেন সমগ্র উত্তরবঙ্গের মধ্যে সেরা বইমেলা করতে। তিনি বলেন এই বইমেলা উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় মূলক অনুষ্ঠান থাকবে। আজ  যখন এই বইমেলার স্থান নির্বাচন করার জন্য কালিয়াগঞ্জ পার্বতী সুন্দরী মাঠে মাঠ পরিদর্শন করা হয় সেই সময় উপস্থিত ছিলেন বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা তথা রায়গঞ্জ সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান তিলক চৌধুরী, কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিতাই বৈশ্য সহ আরো অনেকে। ইতিমধ্যেই বইমেলাকে কেন্দ্র করে সাজো সাজো রব শুরু হয়ে গিয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *