কালিয়াগঞ্জের মনোহরপুর গ্রামকে জৈব গ্রামের তকমা কৃষি দপ্তর থেকে দেওয়া হল
1 min readকালিয়াগঞ্জের মনোহরপুর গ্রামকে জৈব গ্রামের তকমা কৃষি দপ্তর থেকে দেওয়া হল
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,২৯ নভেম্বর:আর রাসায়নিক সার ব্যাবহার নয়।এবার গ্রামে যত চাষাবাদ হবে সেটা হবে সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের একমাত্র গ্রাম মনোহরপুর গ্রামকে জৈব গ্রামের তকমা বুধবার কৃষি দপ্তর ঘোষণা করলো। বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মনোহরপুর গ্রামে দেখা গেল জৈব গ্রাম করার লক্ষে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কৃষি দপ্তর কৃষকদের নিয়ে একটি আলোচনা চক্রের ব্যাবস্থা করে।
যেখানে মোট ৪০ জন কৃষকের উপস্থিতিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষি দপ্তরের জয়েন্ট ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার সঞ্জীব সরকার মনোহরপুর গ্রামকে জৈব গ্রাম হিসাবে ঘোষণা করেন। কারন রাসায়নিক সারের ব্যাবহারের কারনে তাদের জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করতে আমাদের কৃষকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে জমিতে শুধুমাত্র জৈব সারের ব্যাবহার করে ফসল ফলাতে হবে নিজেদের জমি রক্ষার স্বার্থেই। মনোহরপুর গ্রামের বুধবারের জৈব সার নিয়ে সচেতনতা শিবির এ এলাকার ৪০ জন কৃষক অংশ নেয়। উল্লেখ্য কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে এই সচেতনতা শিবিরে মূলত আলোচনার বিষয়বস্তুই ছিল রাসায়নিক নয় সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিতে কিভাবে চাষাবাদ করে বেশি ফলন পাওয়া যাবে জমি থেকে সেই বিষয়ে।
জানা যায় সঞ্জীবক, জীবামৃত , নিমাস্ত্র, ব্রহ্মাস্ত, পঞ্চগব্য, তরল সার, বিজামৃত , কেঁচো সার, নিম খোল প্রভৃতি ধরনের জৈব সার তৈরি করে কিভাবে চাষাবাদ করবে কৃষকরা সে নিয়েও আলোচনা করা হয় এদিন।এদিনের কৃষি আলোচনা চক্রে মুখ্য আলোচক সঞ্জীব কুমার সরকার জয়েন্ট ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার বলেন সারা রাজ্যে মোট ১১ টি এলাকাকে জৈব গ্রাম প্রকল্প হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মনোহরপুর গ্রামকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন যে গ্রাম সম্পূর্ন রাসায়নিক সার বর্জিত গ্রাম হিসাবে চিহ্নিত হবে।যে গ্রামের চাষ আবাদে ব্যাবহার হবেনা কোনরকম বিষাক্ত ঔষুধ পত্র।তিনি বলেন মনোহরপুর গ্রামে প্রথমত ৪০ জন কৃষকদের নিয়ে এই যাত্রা শুরু করা হল।তিনি বলেন এই গ্রামের ৪০ জন কৃষকই নয়,তাদের লক্ষ মনোহরপুর গ্রামের কোন কৃষকই রাসায়নিক সার দিয়ে তারা চাষ আবাদ করবে না।গ্রামের সমস্ত কৃষকরা যাতে ধীরে ধীরে এই জৈব সার প্রকল্পের আওতায় চলে আসে তার ব্যাবস্থা কৃষি দপ্তর থেকে করবে বলে জয়েন্ট ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার সঞ্জীব সরকার জানান। তিনি বলেন রাসয়নিক সার ব্যবহারের কারনে দিনে দিনে চাষের জমির উর্বরতা কমে গিয়ে ফসল উৎপাদন কম হতে শুরু হয়েছে।গ্রামের চাষীদের স্বার্থে চাষীদের যদি এক্ষুনি সতর্ক করা না হয় তাহলে চাষীদের ভবিষ্যত খারাপের দিকেই যাবে।তিনি বলেন এই জৈব প্রকল্পে মনোহরপুর গ্রামের কৃষকদের কৃষি দপ্তর নানা ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন।আলোচনা চক্রে মনোহর পুরের উন্নত কৃষক অবেন সরকার উত্তর দিনাজপুর জেলার কৃষি দপ্তরকে মনোহরপুর গ্রামকে জৈব গ্রাম হিসাবে ঘোষণা করায় তিনি জেলার কৃষি দপ্তরকে অভিনন্দন জানান।তিনি বলেন মনোহরপুর এলাকায় আমরা কৃষকরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে জৈব গ্রামের পক্ষে একটি মিছিল বের করা হয় বলে জানান। আলোচনা চক্রে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কৃষি দপ্তরের সহ অধিকর্তা মৌমিতা সরকার জৈব সার দিয়ে চাষ করার ফলে কৃষকরা কি ভাবে উপকৃত হতে পারে তা বিস্তারিত ভাবে জানান।