মালদহ মেডিক্যাল কলেজে রোগীর গায়ে ইঁদুর
1 min readমালদহ মেডিক্যাল কলেজে রোগীর গায়ে ইঁদুর
মালদহ মেডিক্যাল কলেজের মেঝেতে জড়িয়ে গুটিশুটি হয়ে শুয়ে রয়েছেন চল্লিশার্ধ্ব এক ব্যক্তি। কখনও তাঁর পায়ে, কখনও আবার মাথার উপরে খেলছে ইঁদুর। পরে, বিরক্ত হয়ে ইঁদুরটিকে চর, থাপ্পর মারছেন তিনি। মালদহ মেডিক্যালের রোগী ও ইঁদুরের ‘দ্বৈরথের’ এমনই ছবি এখন ভাইরাল সমাজ মাধ্যমে। অভিযোগ, পুরোনো ভবনের পাশাপাশি মেডিক্যালের ঝা চকচকে ভবনেও ইঁদুরের উপদ্রব ক্রমশ বাড়ছে।রোগীর শয্যায় ইঁদুরের ‘দাপাদাপি’ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইঁদুরের উপদ্রব ঠেকাতে ‘পেস্ট কন্ট্রোলের’ জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি লেখা হয়েছে বলে জানান মালদহ মেডিক্যালের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা। তিনি বলেন, “রোগীর শয্যায় ইঁদুরের বিষয়টি সহকারি সুপারদের খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া পোস্ট কন্ট্রোলের জন্য স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে।”
মালদহ মেডিক্যালে ইঁদুরের উপদ্রবের ছবি আগেও সামনে এসেছে। মেডিক্যালের মেল মেডিসিন বিভাগের মর্গে এক ভবঘুরে রোগী ভর্তি রয়েছেন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর শয্যায় ইঁদুর ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন কি, ইঁদুরকে ধরে তিনি মারছেন, এমনও ভিডিয়ো সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় মেডিক্যালের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ, মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীদের জন্য মেডিক্যাল পৃথক মানসিক বিভাগ রয়েছে। তার পরেও কেন সাধারণ রোগীদের সঙ্গে মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরের চিকিৎসা চলছে, উঠছে প্রশ্ন।রোগীর আত্মীয় অভিজিৎ সাহা বলেন, “মশার উপদ্রবে দিনের বেলাতেও মেডিক্যালে থাকা যায়না। এখন ইঁদুরের উপদ্রব শুরু হয়েছে। রাতের বেলা খাবারে মুখ দিচ্ছে। রোগীদের কামড়ে নিলে সমস্যায় পড়তে হবে।” যদিও সমস্ত বিষয়ই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ।