ফ্রান্সের স্বীকৃতি, সংবর্ধিত রায়গঞ্জের কোয়েনা
1 min readফ্রান্সের স্বীকৃতি, সংবর্ধিত রায়গঞ্জের কোয়েনা
সমুদ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণার জন্য ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে পুরস্কৃত হয়েছিলেন রায়গঞ্জের কলেজপাড়ার বাসিন্দা কোয়েনা মুখোপাধ্যায়(৩৪)। সমুদ্র বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিশ্ব মঞ্চে তাঁর গবেষণা স্বীকৃতি পেয়েছে। রবিবার কোয়েনা রায়গঞ্জে এসেছেন। সোমবার বিকেলে তাকে সংবর্ধনা দেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত।কোয়েনা রায়গঞ্জ গার্লস ও রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলের ছাত্রী ছিল। বর্তমানে শিলচরের এনআইটির সহকারী অধ্যাপিকা কোয়েনা।
২০০৩ সালে রায়গঞ্জ গার্লস হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করার পর ২০০৫ সালে রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলে বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। এরপর ২০০৯ সালে হলদিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইন্সটুমেন্টেশন ও কন্ট্রোল বিষয়ে বিটেক করে সে। ২০১১ সালে এনআইটি হামিদপুরে এম টেক করার ২০১৬ সালে আইআইটি দিল্লি থেকে পিএইচডি কমপ্লিট করে কোয়েনা। সমুদ্র বিজ্ঞান নিয়ে কোয়েনার অসামান্য অবদানই তাঁকে এই স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।কোয়েনা বলেন, ‘আমার কাজ রোবোটিকস আন্ডার ওয়াটার ভেইকেলস। এর অনেক রকম ব্যবহার হয়। আমি যেটা নিয়ে কাজ করছি সেটা অনেকটা মাছের মতো দেখতে। ওজন ৪ কেজি ৯০০ গ্রাম। মাছের পেটটা খালি, মাথায় যন্ত্রপাতি আছে।সে জলের ভেতরের সম্পদ পেটের মধ্যে নিয়ে ওপরে চলে আসবে। রোবোটটি ফ্লেক্সসেবল, সরলরেখা হয়ে যেতে পারে।বক্ররেখা হয়ে যেতে পারে।
সমুদ্রের নীচে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারবে। কেন্দ্রীয় সরকার নীল অর্থনীতির উপর জোড় দিয়েছে। সমুদ্রের নীচে যে সম্পদ আছে সেগুলো ব্যবহার যোগ্য করে তোলাই একমাত্র লক্ষ্য। মাছ যেভাবে সমুদ্রের নীচ দিয়ে জলের গতির বিরুদ্ধে যাতায়াত করে সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এই গবেষণা। তবে আমার এই সাফল্যের পেছনে আমার মা এবং শিক্ষকেরা। সকলে না থাকলে এই সাফল্য আসতে না।’মোহিতবাবু বলেন, ‘গত বছর ২৬ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে সমুদ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে জড়িত যে দশ জন মহিলা বিজ্ঞানীকে সম্মানিত করেছিল তাদের মধ্যে একজন রায়গঞ্জের বাসিন্দা কোয়েনা। এতবড় সাফল্য ভাবা যায় না। তাই আমাদের তরফে কোয়েনাকে আজ সংবর্ধিত করলাম।’