October 24, 2024

কালিয়াগঞ্জ এ ভাইফোঁটা লেখা সন্দেশ কিনতে ভিড়

1 min read

কালিয়াগঞ্জ এ ভাইফোঁটা লেখা সন্দেশ কিনতে ভিড়

বাঙালির ভাইফোঁটা উদ্‌যাপনের গুরুত্ব অপরিসীম। আর ভাইফোঁটার সঙ্গে জড়িয়ে মিষ্টিমুখের পালা। বোনেরা যেমন ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে হাতে মিষ্টির প্লেট হাতে তুলে দেন, তেমনই ভাইয়েরাও মিষ্টি নিয়ে পৌঁছে যান বোন বা দিদির বাড়িতে। তাই এ সময় ব্যবসায়ীরাও নতুন ও নজরকাড়া মিষ্টি তৈরির উপর জোর দেন। এবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর বাজারে হাজির ভাইফোঁটার প্রতীক চিহ্নিত সন্দেশ।স্বাদে-গন্ধে যেমন এই মিষ্টি সকলের দৃষ্টি কাড়বে, তেমনই শুধুমাত্র এই একটি দিনই মিষ্টি তৈরি করার জন্য কলকাতা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বিশেষ ধরনের ছাঁচ।

যা দিয়ে এই সন্দেশ বানানো হয়েছে ওই মিষ্টির দোকানে। এছাড়াও বিশেষ প্রক্রিয়ায় ‘রাবড়ি সন্দেশ’ তৈরি করা হয়েছে। কালিয়াগঞ্জ এর রশিদপুর মোরে একটি যেমন মিষ্টির দোকান তেমন ই বাঘন বট তলির একটি দোকানে এই মিষ্টি ভাইফোঁটায় ক্রেতাদের ভিড় টানছে।দোকানের মালিকরা বলেন, আমরা চিরাচরিত মিষ্টির পাশাপাশি প্রতি বছর ভাইফোঁটা উপলক্ষে নতুন ধরনের কিছু মিষ্টি ক্রেতাদের জন্য তৈরি করি। এবার আমরা ভাইফোঁটা প্রতীক চিহ্নিত সন্দেশ তৈরি করেছি। এ জন্য কয়েকদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি আমরা ভাইফোঁটা উপলক্ষে রাবড়ি সন্দেশ বানিয়েছি। আশা করছি, এই দু’ধরনের মিষ্টিই ক্রেতাদের ভালো লাগবে।কীভাবে বানানো হয়েছে বা কেমন দেখতে এই ভাইফোঁটার প্রতীক চিহ্নিত সন্দেশ? জানা গিয়েছে, এই সন্দেশ তৈরির জন্য এবার প্রায় ২০০-২৫০ কেজি দুধ আনা হয়। যা থেকে ৬০-৭০ কেজি ছানা তৈরি করা হয়। সেই ছানার সঙ্গে কিছু উপকরণ মিশিয়ে এই মিষ্টির উপর বাংলায় লেখা থাকছে ‘ভাইফোঁটা’। সেই সঙ্গে মিষ্টির উপরই একটি হাত ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিচ্ছে এমন ছবিও থাকছে। এই সন্দেশ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশের খেজুর গুড় নিয়ে আসা হয়েছে। সেই গুড় দিয়ে বানানো হয়েছে এই বিশেষ ধরনের সন্দেশ। এর দাম হবে ২০ টাকা।পাশাপাশি প্রায় ১০০ কেজি দুধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘রাবড়ি সন্দেশ’। এই সন্দেশ দুই-তিন দিন রেখে দেওয়া যাবে। রাবড়ি বানিয়ে সেই পাকে সন্দেশের ছানা ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কাজুবাদামের গুঁড়ো প্রভৃতি দিয়ে এই রাবড়ি সন্দেশ তৈরি করা হয়েছে। এর দাম ১৫ টাকা। মিহিদানা, সীতাভোগ বানানো হয়েছে। এজন্য ভালো মিষ্টি তৈরির কারিগর নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও ভাইফোঁটা উপলক্ষে অন্য মিষ্টিও তৈরি করা হচ্ছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *