October 26, 2024

একই রাতে দুটি নাবালিকার বিয়ে আটকালো চাইল্ড লাইন ও পুলিশ প্রশাসন

1 min read

একই রাতে দুটি নাবালিকার বিয়ে আটকালো চাইল্ড লাইন ও পুলিশ প্রশাসন

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৪,জুলাই:রবিবার গভীর রাতে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাও অঞ্চলের রঘুনাথপুর এবং রাধিকাপুর অঞ্চলের ফরিদপুর গ্রামে দুই দুটি নাবালিকার বিয়ের আসর থেকে তুলে এনে এবং অপরটিবরযাত্রী আসার আগ মূহুর্তে নাবালিকার বিয়ের বন্ধ করা হয়। জানা যায় বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার চাইল্ড লাইনের আধিকারিক বিপুল দাস কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে গভীর রাতে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়।বিয়ের আসরে বাড়িতে পুলিশ এবং আধিকারিকদের দেখে বেশ কিছুক্ষন অনেকেই বিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ভয়ে এবং আতঙ্কে। এর পর রধিকাপুরের ফরিদপুরে বিয়ের আসরে বিয়ের পিরি থেকে তাদের উঠিয়ে তাদের অভিভাবকদের বলা হয়

এই নাবালিকার বিয়ে কোন ভাবেই হতে দেওয়া হবেনা।কারন এরা দুজনেই নাবালক এবং নাবালিকা। পাত্র ও কন্যার অভিভাবকদের বুঝিয়ে বলার পর তারা তাদের ভুল স্বীকার করে নেয়। ফরিদপুর গ্রামের নাবালিকা মেয়ের অভিভাবকরা বলেন তাদের মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় পর্যন্ত বিয়ে তারা দেবেন না। তারা লিখিতভাবে একটি মুচলেকা চাইল্ড লাইনের আধিকারিক বিপুল দাসের হাতে দিয়ে বলেন মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তাদের মেয়েকে পাত্রস্থ করবেন বলে জানান। ঠিক একই রকম ভাবে মালগাও অঞ্চলের রঘুনাথপুর গ্রামেও গোপন সুত্রের খররের ভিত্তিতে চাইল্ড লাইন ও পুলিশ প্রশাসন সেখানে যায়। সহযোগিতায় প্রথমে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিন রঘুনাথপুরে বরযাত্রী আসার আগ মূহুর্তে নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে।নাবালিকা সাহেবঘাটা হাই স্কুলের দশম শ্রেনীতে পড়াশোনা করতো।অপরদিকে কালিয়াগঞ্জের পুরিয়া মহেশপুর হাইস্কুলের এক ছাত্রীর বিয়ের পীড়িতে বিয়ে আটকে দিল চাইল্ড লাইন। দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করা এক নাবালিকার বিয়ের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবার। টেলিফোনে এমনি খবর পেয়ে রবিবার রাতে হঠাৎ রাধিকাপুর পঞ্চায়েত ফরিদপুর এলাকায় ছাত্রীর বাড়িতে বিয়ে চলাকালীন পুলিশ সহ হাজির হয় চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি বিপুল দাসচাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি বিপুল দাস জানান, এদিন টেলিফোনে দুই নাবালিকা পাত্রীর বিয়ের খবর আসে। সেই খবরের সুত্র ধরে এই বিয়ের উদ্যোগ বন্ধ করতে দুও পাত্রীর বাড়িতে এসেছিলাম। অভিভাবক এবং গ্রামের মানুষকে বোঝানো হয় পাত্রীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হলে বিয়ে দেওয়া আইনত বৈধ নয় এবং বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে। পাশাপাশি মেয়েদের পড়াশোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা কন্যাশ্রী,ও সবুজ সাথীর মতো প্রকল্প এবং মেয়ের বয়স ১৮ পূর্ণ হলে বিয়ের সময় রাজ্য সরকারের রুপশ্রী প্রকল্পের কথা তুলে ধরা হয়। সবকিছু শোনার পর ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে না দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভিভাবকরা। এই ঘটনায় কালিয়াগঞ্জ শহর ও গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল দেখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *