মা-মাটি-মানুষের রায়গঞ্জ পৌরসভা স্থায়ী দুর্নীতিমুক্ত ও উন্নয়নমুখী পৌরবোর্ড উপহার দিতে পেরেছে বললেন পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস
1 min readমা-মাটি-মানুষের রায়গঞ্জ পৌরসভা স্থায়ী দুর্নীতিমুক্ত ও উন্নয়নমুখী পৌরবোর্ড উপহার দিতে পেরেছে বললেন পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস
তনময় চক্রবর্তী মা-মাটি-মানুষের রায়গঞ্জ পৌরসভা স্থায়ী দুর্নীতি মুক্ত ও উন্নয়ন মুখী পৌর বোর্ড উপহার দিতে পেরেছেন বলে দাবি করলেন রায়গঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপতি তথা পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন ছিদ্রান্বেষীরা ছিদ্র খুঁজে বেড়াবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু আমরা মনের দিক থেকে স্যাটিস্ফাইড যে আমরা মানুষের স্বার্থে কাজ করতে পেরেছি। সন্দীপ বাবু বলেন২০১৭ সালে মানুষের আশীর্বাদে রায়গঞ্জ পৌরসভায় ফিরে আসার পর ২০১৭ র ১১ ই আগস্ট থেকে ভয়াবহ শতাব্দীর যেমন বন্যা আমরা যেমন পেয়েছি। তার পরবর্তীতে ২০২০ মার্চ মাস থেকে করোনার মোকাবেলা করেছি । তার মধ্যে থেকেও আমরা উন্নয়নের কাজে রায়গঞ্জ পৌরসভা মানুষের দায়বদ্ধতাকে নিয়ে মানবিকতাকে হাতিয়ার করে সত্যনিষ্ঠা এবং মানবিকতা কে হাতিয়ার করে আমরা কাজ করে গিয়েছি। তিনি বলেন আগামী দিনে আমাদের লক্ষ্য বোর্ড অফ কাউন্সিলরের সদস্য গণ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা আমরা কার্যকর করতে পারিনি সেই সিদ্ধান্ত গুলিকে প্রথমেই আমরা কার্যকর করব।
উন্নয়নের স্বার্থেই যে সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয়েছিল সেই সিদ্ধান্ত গুলোকেই কার্যকর করব। তিনি বলেন রায়গঞ্জ পৌরসভা মানুষের স্বার্থে কাজ করবে। এটাই আমাদের অঙ্গীকার এবং প্রতিজ্ঞা। রাস্তা পানীয় জল এবং বিদ্যুৎ এর পরিষেবা কেমন এমন এক প্রশ্নের উত্তরে পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন এগুলো কাজে রায়গঞ্জ পৌরসভা যথেষ্ট দায়িত্ব সহকারে পালন করেছে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের ক্ষেত্রে রায়গঞ্জ পৌরসভার দুই নম্বর জনে যারা আবেদন করেছিল তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে পেরেছে । আর যেগুলো জায়গায় বাকি রয়েছে সেগুলো জায়গায় অমৃত ২ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে সরকার ৪০ কোটি টাকারও বেশি টাকার প্রকল্পে যাতে কাজ শুরু করা যায় সে ব্যাপারে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে এই কাজ ও রায়গঞ্জ পৌরসভা সমাপ্ত করার অঙ্গিকার বদ্ধ করেছে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।
এর পাশাপাশি আমরা টিউবলাইট মুক্ত রায়গঞ্জ এ উজ্জ্বল আলো যুক্ত রায়গঞ্জ উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা গ্রীন সিটি মিশন এর পক্ষ থেকে আগামী কিছুদিনের মধ্যে আরো অনেক কাজ শহরে করার পরিকল্পনা নিয়েছি । এর পাশাপাশি গত বন্যায় যে রাস্তা গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ২০১৭ সালে সেই রাস্তার ৯০ % কাজ সমাপ্ত হয়েছে । বাকি যে কাজ গুলো রয়েছে সেটাও খুব শীগ্রই সমাপ্ত করা হবে বলে তিনি জানান। রায়গঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস আরো বলেন এবার করণা পরিস্থিতিতে করোনার গাইডলাইন অনুযায়ী কোভিড রোগীকে বৈদ্যুতিক চুল্লি তে তাদের অন্তষ্টি করন এর কাজ করতে হবে এমন নির্দেশ ছিল । ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে রায়গঞ্জে বৈদ্যুতিক চুল্লি স্থাপন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈতরণী প্রকল্পে। এই বৈদ্যুতিক চুল্লি আরো আধুনিকরণ করার জন্য ইতিমধ্যে সে কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এজন্য রাজ্য সরকার এজন্য ৭৭ লক্ষ টাকা অর্থ রায়গঞ্জ পৌরসভা কে দিয়েছে। তিনি বলেন আগামী এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় চুল্লি চালু করে নগরবাসীকে উপহার দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। সেই জায়গায় রায়গঞ্জ পৌরসভা পৌঁছে গিয়েছে বলে সন্দীপ বাবু জানান। তিনি বলেন শুধু তাই নয় ৯৬ টি ক্যামেরা দিয়ে এই শহরকে সেফটি এবং সিকিউরিটির ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতায় সুনিশ্চিত করতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শহরবাসীকে উপহার দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। গত পাঁচ বছর ধরে যে কাজ করে গিয়েছে রায়গঞ্জ পৌরসভা তা নজিরবিহীন । এখন যেগুলো বাকি রয়েছে সেগুলো সমাপ্ত করা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। সন্দীপ বাবু বলেন সর্বক্ষেত্রে রায়গঞ্জ পৌরসভা একটা যাতে নজির সৃষ্টি করতে পারে তার জন্য সব সময় সজাগ রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি বলেন পৌর কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই রায়গঞ্জ পৌরসভা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে । সন্দীপ বাবু বলেন অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়ে দুয়ারে সরকার কিংবা পাড়ায় সমাধান প্রকল্পগুলি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে করা হয়েছে ।
এটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের প্রকল্প। এছাড়া স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষীর ভান্ডার, সবুজ সাথী প্রকল্প যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে রায়গঞ্জ পৌরসভা করে চলছে। সন্দীপবাবু বলেন যানজটমুক্ত শহর গড়ে তোলার জন্য পুলিশ প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আগামী দিনে মাস্টার প্ল্যান করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কাজ করা হবে বলে জানান। তিনি বলেন রায়গঞ্জ শহরের উপর ভীষন চাপ রয়েছে। রায়গঞ্জে ফ্লাট বাড়ি নির্মাণের সংখ্যা বাড়ছে, রায়গঞ্জে গ্রাম-গঞ্জ থেকে মানুষ আসছেন। উত্তর মালদা থেকে মানুষ আসছেন বিহার থেকে মানুষ আসছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের কুসুমন্ডি এলাকার মানুষ আসছেন আরো অন্যান্য জায়গা থেকে মানুষ আসছেন ফলে এখানে চাপটা অনেক বেশি। এটা যেহেতু জেলা সদর এখানে মেডিকেল কলেজ তৈরি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফলে স্বভাবতই এখানে চাপ বাড়বে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। একটা উন্নত শহর করার ক্ষেত্রে এমন চাপ বাড়বে এবং থাকবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন যানজটমুক্ত করার জন্য পার্কিং জোন করার একটা প্রয়াস নেওয়া হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে । এখানে সরকারের কিছু জায়গা আছে সেই জায়গাগুলি নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। সেই জায়গাগুলো পেয়ে গেলে সেখানে পার্কিং জোন তৈরি করে মানুষকে উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি জানান। রায়গঞ্জ পৌরসভা র প্রাক্তন পৌরপতি তথা বর্তমান পৌর প্রশাসক আরো বলেন ফ্লাইওভার করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে রায়গঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক যেটা রয়েছে পূর্বদিকে শহরের মধ্যেই সেখান দিয়ে ফ্লাইওভার করার জন্য এবং সাব ওয়ে নির্মাণের জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে। এছাড়া রেলওয়ে ক্রসিং এ শক্তিনগর পয়েন্টে একটি সাব ওয়ে করার জন্য রেলওয়ে দপ্তরকে আবেদন জানানো হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে।
এগুলো যদি সব তৈরি হয় তাহলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে রায়গঞ্জের চেহারা আমূল বদলে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সন্দীপ বাবু বলেন বলেন রায়গঞ্জ মোহনবাটি বাজারের সামনে পৌরসভার পক্ষ থেকে নগরবাসীকে থার্ড লেন উপহার দেওয়া হয়েছে। ফলে মোহনবাটি বাজারের সামনে যে যানজট হত সেটা এখন আর হয় না। সন্দীপ বাবু বলেন রায়গঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বাংলা আবাস যোজনার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ প্রকল্প ইতিমধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রচুর গরীব মানুষ আজ তাদের মাথার উপর ছাদ পেয়েছে।
এখনো অব্দি প্রায় দুই হাজারের মতো পাকা বাড়ি নির্মাণ হয়েছে। তিনি বলেন নতুনভাবে পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়ে খুব ভালো লাগছে যেমন তেমন ই কাজের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল।রাত দিন এক করে পৌসভার নাগরিক দের জন্য কাজ করে যেতে হবে বলে ।
সবশেষে সন্দীপ বাবু বলেন এখন রায়গঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো হয়েছে যার তুলনাই হয়না। আগে যেমন রায়গঞ্জে পাড়ায় পাড়ায় ক্লাবে ক্লাবে রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষ সেটা আজ আর নেই। যবে থেকে রায়গঞ্জ পৌরসভা মা-মাটি-মানুষের পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তবে থেকেই এই হিংসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যা এক নজিরবিহীন ঘটনা। রায়গঞ্জ শহর শান্তির শহরে পরিণত হয়েছে এক উল্লেখযোগ্য দিক।
এই শহরকে যারা পিছিয়ে দিয়েছে তারা আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে উন্নয়ন দেখছে দুচোখ দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বর্তমানে রায়গঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন কেন এর আগে যারা ক্ষমতায় ছিল রায়গঞ্জে তারা লোকসভা, বিধানসভা এবং পৌরসভায় থাকা সত্বেও কেন তারা উন্নয়ন করতে পারেনি তার জবাব তাদের দিতে হবে। কেন আগে মাস্টার প্ল্যান করা হয়নি।