উৎপাদন এবং উৎপাদিত কৃষিপণ্য বেশি করে বাজারমুখী করে তুলতে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বালুরঘাটে বৈঠক করল কৃষি বিপণন দপ্তর
1 min readউৎপাদন এবং উৎপাদিত কৃষিপণ্য বেশি করে বাজারমুখী করে তুলতে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বালুরঘাটে বৈঠক করল কৃষি বিপণন দপ্তর
উৎপাদন এবং উৎপাদিত কৃষিপণ্য বেশি করে বাজারমুখী করে তুলতে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বালুরঘাটে বৈঠক করল কৃষি বিপণন দপ্তর। মূলত, কোভিড পরবর্তীকালে কৃষি বিপণন দপ্তরের আয়ের চেয়ে ব্যয় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারমুখী কম হচ্ছে। এই বিষয়গুলিতে জোর দেওয়ার লক্ষ্যেই শুক্রবার মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নিয়ে রিভিউ বৈঠক করলেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাইরে থেকে আর রাজ্যে পিয়াজ আনা হবে না।
তাই জেলার উৎপাদিত পেঁয়াজ, আলু সহ একাধিক উৎপাদিত ফসল জেলাতেই সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে হবে। তার জন্য কোল্ড স্টোরেজ বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ সিনহা, রাজ্য মার্কেটিং বোর্ড তথা কৃষি বিপণন দপ্তরের এগজিকিউটিভ অফিসার জয়দীপ দত্তগুপ্ত, দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েষা রানী, উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা, মালদহ জেলার কৃষি মার্কেটিং দপ্তরের আধিকারিক সহ প্রত্যেকটি জেলার আধিকারিকরা। মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলায় জেলায় হওয়া কাজ নিয়ে রিভিউ মিটিং করছি। এদিন গৌড়বঙ্গের তিন জেলার এগ্রি মার্কেটিংয়ের সামগ্রিক বিষয় খতিয়ে দেখা হল। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আমরা আর বাইরে থেকে পিয়াজ আনব না। তাই এখানকার উৎপাদিত পিয়াজ সংরক্ষণের জন্য তিন জেলাতেই কোল্ড স্টোরেজ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আয়ের পথ বাড়াতে নতুন নতুন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, কৃষি বিপণন দপ্তরের ‘আমার ধান, আমার চাতাল’, ‘আমার ফসল, আমার গোলা’ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে তা খতিয়ে দেখেন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এছাড়াও ব্লকে ব্লকে কৃষি প্রশিক্ষণ শিবির বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় কৃষি প্রশিক্ষণের জন্য আলাদা অফিস বানানোর প্রস্তাব জেলার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, কৃষি বিপণন দপ্তরের অন্যতম প্রধান প্রকল্প সুফল বাংলা। তিন জেলাতেই নতুন করে সুফল বাংলার স্টল বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে সবথেকে বেশি পিয়াজ ও আলু নিয়ে দপ্তরের তরফে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিন জেলাতেই সুগন্ধি চাল, আম, ধান, পাট, ফসল সহ নানান সামগ্রী উৎপাদন হয়। সেগুলি যাতে বেশি করে চাষ করে বাজারমুখী করা যায়, সেই বিষয়ে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।