দুয়ারে জামাইষষ্ঠী আসতেই তাল পাতার পাখা তৈরিতে ব্যস্ত বেলতলীর রামপ্রসাদ,দিপালী বৈশ্যরা
1 min readদুয়ারে জামাইষষ্ঠী আসতেই তাল পাতার পাখা তৈরিতে ব্যস্ত বেলতলীর রামপ্রসাদ,দিপালী বৈশ্যরা
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ৩০মে:জামাই ষষ্ঠীর দিন যত এগিয়ে আসছে ততোই ব্যস্ততা বেড়ে চলেছে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকোল হাটের পার্শ্ববর্তী বেল তলি গ্রামের দিপালী বৈশ্য ও রাম প্রসাদ বৈশ্যাদের মধ্যে চরম ব্যস্ততা তালপাতার পাখা বানানোকে কেন্দ্র করে।সারা বছর ধরে তাল পাতার পাখ ব্রাত্য হলেও জামাই বাবাদের এই গরমে শ্বশুর বাড়িতে যতই ফ্যান বা এ সি থাকুক তাল পাতার পাখার সুশীতল হওয়া জামাই বাবাদের শাশুড়িমাদের দিতেই হবে সাবেক প্রথা অনুসারে।আর সেইজন্য সারা বছর যেমন তেমন ষষ্ঠীর দিন তাল পাতার পাখার যোগান রাখতেই হবে জামাইরাবা জীবনদের জন্য।এই হাত পাখা তৈরির বিখ্যাত গ্রামের নাম বেলতলী।তাই বৈশাখ মাস থেকে পুরোদমে বেলতলী গ্রামের বৈশ্যারা হাত পাখা বানিয়ে থাকে।
বাবা জামাইদের দৌলতে পয়সা রোজগারের একটা পথ সামনে আসে প্রতি বছর বছর।জামাই বাবাদের কারনেই আমাদের অতিরিক্ত পয়সা রোজগারের একটা সুযোগ আসে এটাতো সত্যি কথাই বললেন বৈশ্য পাড়ার দিপালী বৈশ্য।বেলতলী গ্রামের রাম প্রসাদ বৈশ্য এবং তার স্ত্রী দিপালী বৈশ্য এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন বর্তমান যুগে তালপাতার পাখার দাম কেবা দেয়। কিন্তূ সারা বছর হাত
পাখার দাম কেও না দিলেও জামাইষষ্ঠীর দিন তালপাখা অত্যন্ত ভিআইপি হিসেবেই গুরুত্ব পায়। আর আমরাও দুটো পয়সার মুখ সেই সুযোগে দেখতে পাই।পাশেই ধনকোল হাটে সোমবার করে হাট বসে।সারা সপ্তাহ পাখা বানিয়ে হাটে বিক্রি করবার জন্য আনলে জামাই ষষ্ঠীর কারণেই তা দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। অনেকে দুই একটি নেয় আবার পাইকাররা এসে একসাথে দুইশো বা
আড়াইশোর বান্ডিল নিয়ে যায়।আমরা চাই এই পাখা বানানোর কাজ বছরের সব সময়ের জন্য থাকুক। আর এর মাধ্যমে আমরা সারা বছর এই ব্যবসার মধ্য দিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে যেতে পারি।