কোচবিহারের ফালাকাটা থেকে বহিরাগত প্রার্থীকে কালিয়াগঞ্জ আসনে বিজেপি প্রার্থী করার প্রতিবাদে ব্লকের সমস্ত কর্মকর্তাদের পদত্যাগ
1 min readকোচবিহারের ফালাকাটা থেকে বহিরাগত প্রার্থীকে কালিয়াগঞ্জ আসনে বিজেপি প্রার্থী করার প্রতিবাদে ব্লকের সমস্ত কর্মকর্তাদের পদত্যাগ
তপন চক্রবর্তী, কোচবিহার থেকে এক অচেনা অজানা ব্যক্তিকে তুলে এনে কালিয়াগঞ্জ বিধান সভা আসনে আচমকা বহিরাগত প্রাথীকে বিজেপি প্রার্থী করায় শুক্রবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জ হ্হুনুমান ভবনে বিজেপির সমস্ত স্তরের এক কর্মী বৈঠকে সবাই প্রত্যেকের পদ থেকে প্রতিবাদ স্বরূপ পদত্যাগ করলো।বিজেপির এই কর্মী সভায় কর্মকর্তাগণ সবাই একযোগে পদত্যাগ করে বলেন এই ঘটনার পেছনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর কালো হাত আছে বলে তাদের বিশ্বাস।
বিজেপির কালিয়াগঞ্জ শহর মন্ডল কমিটির সভাপতি ভবানী চরণ সিংহ বলেন কালিয়াগঞ্জ থেকে আমরা জেলা কমিটিকে কয়েক জন বিজেপি নেতার নাম দেবার পরেও কি ভাবে ফালাকাটার একজন দুর্নীতিগ্রস্ত, দুশ্চরিত্র সৌমেন রায়ের নাম কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা ক্ষেত্রের জন্য কোন কারনে ঘোষণা করা হয়? আমাদের কালিয়াগঞ্জে কি উপযুক্ত প্রাথীর কোন অভাব আছে?সভায় দাবি ওঠে বিজেপির দলীয় রাজ্য নেতৃত্বদের লিখিত ভাবে জানিয়েছে যদি ৪৮ঘন্টার মধ্যে কোন ঘোষিত প্রার্থীর নাম পরিবর্তন করে স্থানীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করা হয় তাহলে তারা অন্যপথ বেছে নিতে বাধ্য হবে। সমর্থকেরা ভোটের সমস্ত কাজ থেকে হাত গুটিয়ে নেবেন বলে ঘোষণা করেন।।বিজেপির কর্মী সভায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন উপস্থিত বিজেপির সমর্থকগন।
খবর নিয়ে জানা যায় ফালাকাটা থেকে যে ব্যক্তির নাম কালিয়াগঞ্জ আসনে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে গতকাল ঘোষণা করা হয়েছে তার দুই স্ত্রী যথাক্রমে সর্বানি সিংহ রায় এবং অপরজন শর্বরী সিংহরায় দুজনেই ফালাকাটা থেকে আলাদা আলাদা ভাবে দুটি ভিডিও প্রকাশ করলে তা ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়।
তাতে স্বামী সৌমেন রায় সম্পর্কে বলেন তাদের করজোড়ে আবেদন তাদের স্বামীকে কোন ভাবেই ফালাকাটায় বিজেপির প্রার্থী হিসাবে কোন ভাবেই মনোনীত করবেন না।কারন হিসাবে জানান তাদের স্বামী সৌমেন রায় একজন দুর্নীতিবাজ,দুশ্চরিত্র ব্যক্তি।তৃণমূলে থাকার সময় প্রচুর যুবকদের চাকরি দেবার নাম করে কয়েক কোটি টাকা নিলেও তাদের কাউকেই চাকরি দিতে পারেনি।প্রতিদিন যুবকযুবতীরা টাকার জন্য তাগিদা করলেও টাকা পয়সা দেয়নি বলে অভিযোগ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবার পর থেকেই কালিয়াগঞ্জে বিজেপির দলীয় কার্যালয় গুলিতে দলীয় কর্মীরা যেন মুষড়ে পড়েছে,হতবাক হয়েছে এবং ভোটের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে দেখে মনে হয়।