পঞ্চ ব্যঞ্জনে জামাই আদর
1 min readপঞ্চ ব্যঞ্জনে জামাই আদর
গাজোল ,সব্যসাচী মন্ডল:- পঞ্চ ব্যঞ্জনে জামাই আদর। হ্যাঁ রাত পেরোলেই জামাইষষ্ঠী। প্রতি বছরের মতোই জামাইদের পঞ্চব্যঞ্জনের সাথে আদরে রাখতে চাইছেন শশুর শাশুড়ি। যা নিয়ে চরম তোড়জোড় শুরু করেছে শশুর শাশুড়ি রা। তবে এবারের জামাইষষ্ঠীতে বাধ সেধেছে করোনা আতঙ্ক, আর তার সাথে সাথেই সমস্যার সৃষ্টি করেছে লকডাউন। কিন্তু কোন সমস্যায় যে জামাই আদর এর ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে না তা বুঝিয়ে দিতে রীতিমত দুই হাতে দুটো ব্যাগ নিয়ে বাজারে এসেছে শ্বশুর শাশুড়ির। যতই হোক বছরের একটি দিন ,জামাইয়ের আদর না করলে চলে? তাই হাজারো আতঙ্ক সমস্যা কে দূরে ঠেলে বাজার যে করতেই হবে। কারণ রাত পেরোলেই আদরের জামাই আসবে বাড়িতে। তাই কোনোমতেই খামতি রাখতে নারাজ শশুর শাশুড়িরা।
তবে করোনা সংক্রমনের জেরে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সারা মালদা জেলা কে। রয়েছে কিছু স্পর্শ কাতর জোন। তবু সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে বাজারে ঢল নেমেছে সাধারণ মানুষের। জামাইষষ্ঠীর জন্য
প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী যেমন কুলো, পাখা, চালুন সহ বিভিন্ন দ্রব্যের প্রয়োজন সেগুলো কিনতে যেমন বাজারে ভিড় রয়েছে ঠিক তেমনি মাছ মাংস শাকসবজির বাজারেও রয়েছে দেদার ভীর। বিশেষ করে ফলের বাজারে ভিড় করেছেন সাধারণ মানুষ। যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। আজ গাজোল ব্লকের বিভিন্ন বাজারে সাধারণ মানুষের ভিড়
ছিল চোখে পড়ার মতো। আর এই ভিড় সামাল দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার করে বাজার করার জন্য। তবে পুলিশের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেও পুলিশ চলে যেতেই কি পাবো আর কি পাবো না ভেবেই লাটে তুলেছে সামাজিক দূরত্ব। গা ঘেষাঘেষি করে চলছে বাজার।এদিকে শশুর শাশুড়িরা যেমন জামাই ষষ্ঠী নিয়ে চরম ব্যস্ত ঠিক তার উল্টো দিকে ব্যস্ততা কম নেই জামাইদের। শ্বশুর-শাশুড়ী দের সাথে পাল্লা দিয়ে দেখাতে বাজারে এসেছে জামাই রা। সকাল হলেই শ্বশুর বাড়ি যাবেন মহানন্দে। জামাই ষষ্ঠী নিয়ে জামাই দের মনেও যে আনন্দের সীমা নেই সে কথা বলার বাকি রাখে না।বাজারে বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী কিনতে যেমন ভিড় জমিয়েছেন তারা ঠিক তেমনি পাল্লা দিয়ে ভিড় জমেছে কাপড়ের দোকানে। যাদের সদ্য বিবাহ হয়েছে তারা নতুন শ্বশুর-শাশুড়িকে নতুন বস্ত্র পড়ানোর জন্য দুহাত ভরে বাজার করেছে আবার একটু পুরাতন তারাও নতুন বস্ত্র নিচ্ছেন শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য। সব মিলিয়ে জামাইষষ্ঠীর বাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে গাজোল ব্লকে।তবে করণা আবহে এতদিন দোকান না খুলতে পাড়ায় হতাশা রয়েছে কাপড় ব্যবসায়ীদের। তবে বিভিন্ন ফলের দোকানদার, সবজি দোকানদার রা জানাচ্ছেন লকডাউন থাকার জন্য বিগত বছরের তুলনায় তেমন ব্যবসা নেই জামাইষষ্ঠীতে। বিগত বছরে দ্রব্য সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হত দোকানদারদের তবে এবছর সেটি অনেক কমে গিয়েছে। ঠিক তেমনি ব্যবসা কমেছে কুলো, পাখা বিক্রেতাদের। তারা জানালেন করোনা আতঙ্কে বিগত বছরের তুলনায় এবছর বিক্রি অনেকটাই কম।সর্বোপরি জামাই ষষ্ঠী উপলক্ষে জামাই আদর নিয়ে শশুর শাশুড়ি রা যেমন ব্যস্ত ঠিক তেমনি শ্বশুর-শাশুড়ী দের জন্য বাজার করতে চরম ব্যস্ততা জামাইদের। এক কথায় করণা আতঙ্কের মধ্যেও লকডাউন এ জামাইষষ্ঠীর আগের দিন জমজমাট থাকলো গাজোল এর বাজার