October 25, 2024

অবশেষে প্রশাসক পদে চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব নিলেন নিহার ঘোষ

1 min read

অবশেষে ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক পদে চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব নিলেন নিহার ঘোষ

বিশ্বজিৎ মন্ডল মালদাঃ ইংরেজবাজার পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অবশেষে প্রশাসক পদে চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব নিলেন নিহার ঘোষ। তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভায় এতদিন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলে এসেছেন নিহার ঘোষ।  ভাইস চেয়ারম্যান বাবলা সরকার এবং সিআইসি বোর্ডের চারজনসহ মোট ছয় জনকে নিয়ে প্রশাসক কমিটি গঠন করা হয়েছে।  যার চেয়ারপার্সন হয়েছেন নীহার ঘোষ। বুধবার দুপুরে ইংরেজবাজার পুরসভার কনফারেন্স হলে  এক্সিকিউটিভ অফিসার প্রদীপ পাল রাজ্য সরকারের প্রশাসক গঠনের নির্দেশিকার চিঠি পাঠ করে শোনান।

তাতে উল্লেখ করা হয় প্রশাসকের গঠনের ক্ষেত্রে ছয় জন কাউন্সিলরের কমিটি গঠন করে চেয়ারপার্সন নিযুক্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন চেয়ারম্যান নিহার ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান বাবলা সরকার, সিআইসি বোর্ডের চার সদস্য যথাক্রমে অম্লান ভাদুরি , চৈতালি সরকার , সুমলা আগারওয়ালা এবং আশীষ কুন্ডু।এরপরই প্রশাসকের ওই ছয় কমিটির সদস্যদের ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তৃণমূল দলের অন্যান্য কাউন্সিলরেরা । এই প্রশাসক কমিটির চেয়ারপার্সন ঘোষণা করা হয়েছে নিহার ঘোষকে। অনুষ্ঠানের মধ্যে নিহার ঘোষ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করেন।এদিকে ইংরেজবাজার পুরসভার ২৯ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেই সব এলাকার তদারকি কিভাবে করা হবে ?  তা নিয়েও এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশাসক কমিটির চেয়ারপার্সন নিহার ঘোষ বলেন,  এই কমিটির যারা রয়েছেন তারাই আপাতত পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের  সার্বিক পরিষেবার বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবেন। তবে কোনো কাউন্সিলরকে আমরা দায়িত্বভার থেকে বঞ্চিত করবো না। বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরা পুনর্বহাল থাকার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিবে। রাজ্য সরকারের পরবর্তী নির্দেশ অনুযায়ী কাউন্সিলরদের কার্যক্ষমতার কথা বৈঠক করে ঘোষণা করা হবে।প্রশাসক কমিটির চেয়ারপার্সন নিহার ঘোষ বলেন, মালদা শহরের ২৯ টি ওয়ার্ডের গড়ে ৫০০০ করে ধরলে প্রায় দেড় লক্ষ ভোটার রয়েছে।  জনসংখ্যা পাঁচ লাখেরও বেশি । সে ক্ষেত্রে পুরসভার বিশাল এলাকা নিয়ে রয়েছে। সমস্ত ওয়ার্ডের সার্বিক পরিষেবার ক্ষেত্রে মানুষকে কোনরকম ভাবে সমস্যায় পড়তে হবে না। এক্ষেত্রে পুরসভা যেভাবে এতদিন উন্নয়নমূলক কাজ করে এসেছে , ঠিক সেইভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। এনিয়ে কোনরকম বাকবিতণ্ডা ব্যাপার নেই।  অভিযোগের কোনো প্রশ্নই আসে না।এদিনের প্রশাসক কমিটির নিয়োগ এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিরোধীদলের বিজেপি এবং সিপিএমের দুই কাউন্সিলর উপস্থিত থাকলেও,  তৃণমূল দলের সাত কাউন্সিলরের অনুপস্থিতি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় । এদিন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পুরসভার তৃণমূল দলের এক কাউন্সিলর সহ সাতজন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন নি‌। মা নিয়ে খানিকটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলে দেয় পুরসভার নতুন প্রশাসক কমিটির সদস্যদের।যদিও এপ্রসঙ্গে প্রশাসক কমিটির চেয়ারপার্সন নিহার ঘোষ বলেন , ওই সাতজন কাউন্সিলর তাদের বিশেষ কাজে রয়েছেন বলে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন নি। কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই চিঠি পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছি । যারা আসতে পারেন নি তারা আমাদের ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে ২৯ টা ওয়ার্ডে অনেক সময় পানীয় জল পরিষেবা, অনিয়মিত জঞ্জাল সাফাই, নর্দমা পরিষ্কার, বৃষ্টির জমা জল নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ তোলেন। সেই পরিস্থিতিতে কাউন্সিলরদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। কিন্তু এখন কাউন্সিলর বিহীন ওইসব ওয়ার্ডে প্রশাসক কমিটি কতটা পরিষেবা বহাল রাখতে পারবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।যদিও নিহার ঘোষ বলেছেন , এসব নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। এতদিন তৃণমূল পরিচালিত পুরো বোর্ড যেভাবে চলে এসেছে, ঠিক সেইভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডে নাগরিকেরা সার্বিক পরিষেবা পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *