December 23, 2024

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পীঠস্থান এই মুহূর্তে কালিয়াগঞ্জের ধনকোল মোড়।

1 min read

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পীঠস্থান এই মুহূর্তে কালিয়াগঞ্জের ধনকোল মোড়।

জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ।পৃথিবী ব্যাপী মহামারী নোবেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের থাবায় মৃত্যু মিছিল, বিশ্বজুড়ে ঘড়ে ঘড়ে আতঙ্ক, প্রতিটি পরিবার দিশেহারা বেঁচে থাকবে কিনা জীবন ঠিক সেই সময় সমগ্র পৃথিবীর সকল দেশের সাথে ভারতের কেন্দ্রীয় ও প্রতিটি রাজ্য সরকার সকল জনগনের কাছে জোড় হাত করে আবেদন, নিবেদন করেছেন এই মুহূর্তে এই বিশ্ব ত্রাস মহামারী মারন ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে একটাই দাওয়াই , একটাই ঔষধ, একটাই করনীয় তা হলো ” লকডাউন “।

অর্থাৎ ভারতের তথা রাজ্যের, তথা জেলার, শহরের ও গ্রামের সকল স্তরের জনগনকে বাড়ির বাহিরে বের হতে নিষেধ করছেন। এখনো পর্যন্ত এই মহামারী ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয় নি যা দিয়ে মানুষ কে বাঁচানো যেতে পারে।

অসম্ভব কে সম্ভব করার কোনো উপায় এই মুহূর্তে বিশ্ব জুড়ে নেই। এত প্রচার বিভিন্ন মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করতে কিন্তু কে কার কথা শুনতে পাচ্ছে।

বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের চিকিৎসা পরিকাঠামোর যা অবস্থা সেখানে এই সংক্রমন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরলে মানুষ এমনিতেই মারা যাবে। আজকের প্রতিবেদনে বিশেষ ভাবে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে মহামারী নোবেল করোনা ভাইরাস যেমন অসতর্কতার বশে আমেরিকা, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মান, ইরান ইত্যাদি দেশগুলির মানুষকে মৃত্যুর কবলে ঠেলে দিয়েছে এবং আতঙ্কের বেড়াজালে

নিজেদের জীবন বিপন্নে ঘড়ে বন্দী করে রেখেছে সেখানে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পৌর এলাকার, কালিয়াগঞ্জ থানার, কালিয়াগঞ্জ ব্লকের অধীন ধনকোল মোড়ের দৈনন্দিন বাজার এই মহামারী নোবেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আঁতুরঘর কয়েকদিন থেকেই তৈরী হয়ে গেছে। শয়ে শয়ে, হাজার হাজার ভাইরাস মানব বোমা আগামীতে এতদ অঞ্চলে কখন যে বিস্ফোরিত হবে তা একমাত্র ঈশ্বর আল্লাহ জানে।

গত ২১ তারিখ লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই এখনো অবধি ধনকোল মোড়ের দৈনন্দিন বাজারে কোনো হেলদোল নেই। দেখে মনে হচ্ছে মানুষ উৎসব মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতিবেদনের প্রতিবেদক ও সাংবাদিক হয়ে দৈনন্দিন এই বাজারের সংক্রমিত আশঙ্কার বিধ্বংসী রুপের ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতার উদ্দেশ্যে পোস্ট করা সত্ত্বেও নেই কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা। বর্তমানে এখনোও সকল স্তরের মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। লকডাউন এর আক্ষরিক অর্থ , মহামারী করোনা ভাইরাসের ছোবল কি জিনিস বুঝেও বুঝে উঠতে পারছে না কেউ। বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে প্রশাসন বাজার বন্ধ করে দিয়েছেন এবং হোম ডেলিভারীর ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। কিন্তু কেন জানি ধনকোল মোড়ের আঁতুরঘর দৈনন্দিন জনজীবনে জাঁকিয়ে বসেছে। স্থানীয় প্রশাসন কড়া হাতে অবিলম্বে এই বাজার বন্ধ করার নির্দেশ জারি না করলে অতি সত্ত্বর এক বিস্ফোরণ যে ঘটতে চলেছে সেই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই। ৯ দিন হতে চললো তবুও আজ সোমবার সকালের বাজারের চিত্র দেখলে হয়তো মৃত্যু মিছিলের দেশগুলোর বেঁচে থাকা মানুষগুলো বলতে শুরু করবে ” আমরা যা ভুল করেছি হে ভারতবাসী, হে উত্তর দিনাজপুর বাসী, হে কালিয়াগঞ্জ বাসী ও প্রশাসন তোমরা এই ভুলটি করোনা”। ধনকোল এলাকার সাথে কালিয়াগঞ্জ শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার বাজার গুলোতে খুব সকাল থেকেই প্রতিদিন বাজার বসার আগেই প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতি তে চলুক মাইকে প্রচার এবং কঠিনতম শাসন। তানা হলে এবার করোনা নিজেই সকলের ঘরমুখী হয়ে পরবে। বন্যায় জলের তোড়ে যেমন বাঁধ ভেঙ্গে নদীর দুই দিক জল প্লাবিত হয়ে পরে ঠিক তেমনি এই মহামারী নোবেল ভাইরাস প্লাবিত হতে আর বেশী সময় লাগবে না। কঠিনতম পদক্ষেপে লকডাউন শুরু হোক তাহলে জীবনের অস্তিত্ব থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *