October 24, 2024

হেমতাবাদ থানার উদ্যোগে রিক্সা ভান চালক দের খাদ্য সামগ্রী বিলি

1 min read

হেমতাবাদ থানার উদ্যোগে রিক্সা ভান চালক দের খাদ্য সামগ্রী বিলি

তন্ময় দাস উত্তর দিনাজপুরঃকরোনাভাইরাসের ত্রাসে কাঁপছে গোটা বিশ্ব।ভারতে সংক্রমণ রুখতে জারি হয়েছে তিন সপ্তাহের লকডাউন। কিন্তু তার পরেও বহু মানুষ রাস্তায়। কেউ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার হিড়িকে, কেউ বা শুধুই দর্শক। তবে যে উত্তর দিনাজপুর পুলিশকে অনেক সময়েই ‘নীরব দর্শক’ কিংবা ‘কাঠের পুতুল’ কটাক্ষ শুনতে হয় হামেশাই, তাঁরাই কিন্তু আজ সক্রিয় হয়েছেন। বাহবা কুড়িয়েছেন আমজনতার।উত্তর দিনাজপুর জেলার বেশ কিছু এলাকায় জমায়েত হলেই লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন পুলিশ।লক ডাউন চলায় অর্থ উপার্জন করতে পারছে না অনেক সমস্যায় পরেছে এলাকার ভ্যান ও রিকশার চালকেরা। তাই তাদের মুখে খাওয়ার তুলে দিতে উদ্যোগী হল পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হেমতাবাদ থানার ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে হেমতাবাদের কিছু ভ্যান ও রিকশার চালককে চাল, ডাল, আলু বিলি করা হয়।ট্রাফিক অফিসা বিপুল দত্ত ও ওসি দিলিপ রায় এর উদ্যোগে রিক্সা চালক,ভান চালক দের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়, তারা জানান আরো সম্ভব হলে বেশি সংখ্যক মানুষকে এই ভাবে সাহায্য করা হবে এই কয় দিন তারা বাড়িতে নিরাপদে থাকে। যে কোনও ঘটনায় সবচেয়ে আগে যাঁদের কাঠগড়ায় তোলা হয়, সেই পুলিশকেই ‘সাবাশি’ দিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁদের অধিকাংশেরই বক্তব্য,

 

সাধারণ মানুষের একাংশ এখনও বুঝতে পারছেন না, এই ধরনের জমায়েত বা উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে ঘোরাফেরা করা কী ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। এক শ্রেণির মানুষ সচেতন না হলে তাঁদের এ ভাবে ঘরবন্দি করে পুলিশ ঠিক কাজই করেছে। কেউ কেউ পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তুলেছেন। তবে তা সংখ্যায় খুবই কম।প্রথমে জেলা সদর-সহ রাজ্যের নির্দিষ্ট কিছু শহরে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল মঙ্গলবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেই লকডাউনের আওতায় গোটা রাজ্যকেই অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জাতির উদ্দেশে ভাষণে গোটা দেশে ৩ সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, ওষুধ, খাবার— সব কিছু পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাবে বলে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী দু’জনই ঘোষণা করেছিলেন।আতঙ্কে বাজারে-দোকানে জমায়েত করেছেন সাধারন মানুষ বিভিন্ন বাজারে, মুদি বা ওষুধের দোকানে দেখা গিয়েছে অনেককে লাইন দিতে। কিন্তু অনেকে বেরিয়েছেন স্রেফ ছুটির মেজাজে। কেউ বাইক ছুটিয়েছেন ফাঁকা রাস্তায়, কেউ আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে আড্ডা দিয়েছেন।কিন্তু কোনও কিছুকেই বরদাস্ত করেনি উত্তর দিনাজপু পুলিশ। দোকান বাজারে যেমন নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানোর বন্দোবস্ত করেছেন, তেমনই রাস্তার জনতাকে ঘরমুখী করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *