পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ক্রেতা সেজে এবার আজ কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন বাজারে পরিদর্শনে গেলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল।
1 min readপরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ক্রেতা সেজে কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন বাজারে পরিদর্শনে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল।
তন্ময় চক্রবর্তী ঃ- লকডাউনের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত করতে সোমবার থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলার সর্বত্র বাজারে উপচে পরে মানুষের ভিড়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ক্রেতা সেজে এবার আজ কালিয়াগঞ্জ এর বিভিন্ন বাজারে পরিদর্শনে যান কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল। তিনি বাজারে গিয়ে বিভিন্ন দোকান ঘুরে সব জিনিসের দাম এবং কেউ বেশি দামে নিত্য পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছেন কি না,
তা খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি অন্যান্য বিভিন্ন বাজার ঘুরে দাম যথাযথ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখেন। বাজারের সব্জি ও মাছের দাম এদিন সামান্য বাড়লেও কালোবাজারি করছে,এমন কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে জেলার সর্বত্র লকডাউন করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে সবকিছুরই দাম বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, বিক্রেতাদের দাবি, দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে না। শহরবাসী প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জিনিস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
গত কাল ও বাজারে সব্জির দাম বৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছিল। সেদিন বাজারে আলুর দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিন বাজারের পরিস্থিতি পরিদর্শনে তাই আগেভাগেই ক্রেতা সেজে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল বাজারে যান। শহরের বাসিন্দা জয়দেব সরকার বলেন, বাজারে অনেক জিনিসের দাম বেশি হয়ে গিয়েছে। অনেক মানুষ আছে, যারা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জিনিস কিনে মজুত করছে।
সেই কারণেই হয়ত দাম বেশি হয়েছে। আগামীদিনে কি হবে তা নিয়ে চিন্তায় আছি৷এক সব্জি বিক্রেতা বলেন, বাজারে প্রচুর মানুষ ভিড় করছেন। তাঁরা বেশি বেশি করে জিনিস নিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে আলু বেশি বিক্রি হচ্ছে। আমরাও এদিন অনেক জিনিস বেশি দামে মহাজনদের কাছে কিনেছি। সেই কারণে একটু দাম বেড়েছে। কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক চন্দ্র পাল বলেন কেউ যদি জিনিসপত্র নিয়ে কালোবাজারি করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আপাতত সব জিনিসই বাজারে মজুত রয়েছে। দাম বাড়ার কথা নয়। তবুও কেউ যাতে দাম না বাড়ায়, সেদিকে নজর রাখছি।