October 24, 2024

বিশ্ব আতঙ্ক মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জীবন বিপন্ন করে পুলিশের দায়িত্ব।

1 min read

বিশ্ব আতঙ্ক মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জীবন বিপন্ন করে পুলিশের দায়িত্ব।

জয়ন্ত বোস, কালিয়াগঞ্জ।এক আতঙ্কের জগত পৃথিবী জুড়ে গ্রাস করছে জনসমাজে। এমন ভাইরাস যার এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয় নি। আর হয় নি বলেই এই ভাইরাস আক্রমণে পৃথিবীতে মৃত্যু মিছিল, মহামারীর আকার ধারণ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাস কে ভয়ঙ্কর ভাইরাস রুপে ঘোষণা করেছেন।

সংক্রমণ এমন ভাবে ছড়িয়ে পরছে যেখানে প্রতিটি দেশের জনগন দিশেহারা ও আতঙ্কে ভুগছে। চোখের সামনে স্বজনহারা হয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এই মুহূর্তে এই মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকার সহ আমাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সমানে চলছে সচেতনতামূলক সরকারি ঘোষণা জনগনের উদ্দেশ্যে, সকলে কিভাবে সপরিবারে সুস্থ থাকতে পারেন এই সঙ্কট সময়ে। তারমধ্যে জনতা কার্ফু

দিয়ে শুরু হয়ে বর্তমানে লকডাউন সিস্টেম আবশ্যিক করেছে সকলের জন্য অর্থাৎ সকল নাগরিকদের বাড়ির  বাহিরে না যেতে অনুরোধ করেছে। কেউ যেন কারো সংস্পর্শে না আসেন। যেহেতু এই মহামারী ভাইরাস বায়ু বাহিত নয় শুধুমাত্র মানুষ মানুষের সংস্পর্শে এলেই সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ছে তারই জন্য এই কঠিনতম পদক্ষেপ।

শুধু পদক্ষেপ বললেই ভুল বলা হবে , বিষয়টি লঙ্ঘন জনিত আইনি ব্যবস্থা। আক্ষরিক অর্থে নিজে বাঁচুন অন্যদের বাঁচান। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সমানে জনগণের উদ্দেশ্যে প্রচার করছেন বাড়ির বাহিরে কেউ বের হবেন না, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া। সকলে মিলে বাড়িতেই থাকুন , বাড়ির বাহিরে বের হয়ে কারো সংস্পর্শে যেন না আসেন এই প্রচারের দায়িত্ব এবং রাস্তায় নেমে রাতদিন এক করে ডিউটি করতে হচ্ছে জীবন বিপন্ন করে, পরিবার পরিজন ছেড়ে পুলিশ প্রশাসন কে। কালিয়াগঞ্জের পুলিশ প্রশাসন এর ব্যতিক্রম নয়। তাদের খবর কে রাখে। আজ তাই এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো প্রতিটি স্থানের সাথে কালিয়াগঞ্জ পুলিশের জীবন বিপন্ন করে, পরিবার ছেড়ে, কোনোরকম ভাবে কিছু খেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সামাজিক দায়বদ্ধতায় দায়িত্ব পালনের ইতিবৃত্ত।

লকডাউন প্রথা যারা অমান্য করে রাস্তায় , অলিগলিতে, দোকানে জমায়েত করছেন তাদের কে কখনো বুঝিয়ে আবার কখনো কড়া স্বরে আবার কখনো একদম বেয়াদবি দের লাঠি উঁচিয়ে ঘড়মুখো করছেন। একটাই কারণ এই মহামারী আতঙ্কের ভাইরাস যেন কোনোভাবেই ছোবল বসাতে না পারে। আমরা , আপনারা সকলে যখন নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে, এই মহামারীর কবল থেকে বাঁচতে পরিবারের সাথে গৃহবন্দি তখন রাতদিন পরিশ্রম করে পরিবার পরিজন ছেড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে সামাজিক দায়িত্ব শুধু পালন করাই নয় , তার সাথে নিজেদের জীবন কে তুচ্ছ করতেও পিছপা হচ্ছেন না। প্রতিটি পুলিশ অফিসারদের সাথে এক সুত্রে নিজেদের সঁপে দিয়েছে শহর ও গ্রামের সিভিক ভলান্টিয়াররা।

একদিন দুইদিন নয় টানা আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা লকডাউন চলবে আর এই লকডাউন চলা পর্যন্ত তাদের নিরলস দায়িত্ব চলতেই থাকবে। মহামারী করোনা ভাইরাস কে রুখতে নিজেদের বাড়ির দরজা বন্ধ করুন সাথে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালনে পুলিশ প্রশাসনের সকল স্তরের পুলিশ দের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন তারাও যেন সুস্থ থাকতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *