December 22, 2024

উত্তর দিনাজপুর কোনও নতুন ট্রেন না পাওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।

1 min read

উত্তর দিনাজপুর কোনও নতুন ট্রেন না পাওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।

 

উত্তর দিনাজপুর কোনও নতুন ট্রেন না পাওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাট-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু  এবারের লোকসভা নির্বাচনে জেলায় বিজেপির অন্যতম ঘোষণা ছিল, যোগাযোগ ব্যবস্থায় পিছিয়ে থাকা উত্তর দিনাজপুর জেলার জন্য রেল পরিষেবার উন্নতি তারা ঘটাবে। কিন্তু ঘোষণা মতো এখনও জেলাবাসী কিছু না পাওয়ায় জেলাজুড়ে চরম হতাশা ছড়িয়েছে। বিশেষ করে পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর নতুন ট্রেন পেয়ে যাওয়ায় জেল বাসীর প্রতি বিজেপি সরকারের বঞ্চনা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিরোধীরাও লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আর এতে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।


যদিও বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, চাপের কিছু নেই। রেল পরিষেবার উন্নতি জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। আমরা সেই দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করি।জেলার রেল ব্যবস্থার উন্নতিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং রেলমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বড় অবদান রয়েছে। সেই পরম্পরা মেনেই জেলার রেল পরিষেবার উন্নতি হবে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ অথবা মার্চের প্রথমে রাধিকাপুর থেকে কলকাতা যাওয়ার জন্য সকালের দিকে ট্রেন আমরা পাব।

সেই প্রতিশ্রুতি কেন্দ্রীয় সরকার থেকে আমরা পেয়েছি। পাশাপাশি রাধিকাপুর-বারসই প্যাসেঞ্জার ট্রেন এবং দক্ষিণ ভারতে যাওয়ার জন্য ইসলামপুর ও ডালখোলায় ট্রেনের স্টপেজ আমরা পাব। রেল প্রতিমন্ত্রীর জেলায় আসার কথা রয়েছে। সেই দিনক্ষণ ঠিক হলেই এইসব ঘোষণা হয়ে যাবে।এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্যান্য সব দলের সঙ্গে বিজেপি ও জেলাবাসীর কাছে আশ্বাস দিয়েছিল যে কেন্দ্রে তারা সরকার গড়লে জেলার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, অন্য নানা ইস্যুর সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির আশ্বাস পেয়ে জেলার মানুষ বিজেপিকে ঢেলে ভোট দেয়। জেলা থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য পায় বিজেপি। দেশে সরকার গঠন করে তারা। শুধু তাই নয়, জেলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও মেলে। জেলাবাসীর প্রত্যাশা বেড়ে যায়। জেলা বিজেপির নেতারাও হাটে-বাজারে বলতে থাকেন, জেলা থেকে মন্ত্রী হয়েছে, এবার আমাদের দুঃখের দিনের অবসান হবে। রেল পরিষেবার উন্নতি ঘটবে। কিন্তু এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে জেলাবাসী রেল নিয়ে কোনওআশ্বাসবাণী শুনতে পায়নি। এরপর দিন দুয়েক আগে বালুরঘাট-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়ে যাওয়ায় জেলাবাসী আরও হতাশ হয়ে পড়েছেন।পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শংকর কুণ্ডু বলেন, আমাদের আশা চলতি বছরের মধ্যে আমরা নতুন ট্রেন পাব। তা যদি না হয়, তাহলে এখানকার সংসদ সদস্যের রায়গঞ্জে আসার মুখ থাকবে না। আর আমরাও বসে থাকব না। আন্দোলন হবে।রেলের বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি বিরোধীরাও। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, শুধু বিজেপির মন্ত্রী কেন, আগের কংগ্রেস সংসদ সদস্য দীপা দাশমুন্সি, সিপিএমের সংসদ সদস্য সর্ব ভারতীয় নেতা মহম্মদ সেলিম রায়গঞ্জের রেল যোগাযোগের উন্নতিতে কী করেছেন, এপ্রশ্ন মানুষই করছে। মানুষ এই বঞ্চনার জবাব ঠিক সময় দিয়ে দেবে।উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ্র বলেন, ভুললে চলবে না, রায়গঞ্জের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি শুধু নয়, জেলার উন্নতি যা কিছু হয়েছে তা করেছেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। বিজেপি দেশবাসীর কাছে কোনও প্রতিশ্রুতিই রাখতে পারেনি। পারবেও না। মানুষ বুঝে গিয়েছে ওরা বাকসর্বস্ব দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *