কালিয়াগঞ্জে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসকে কেন্দ্র করে সংবিধান রক্ষা দিবসে ডাক ও সি এ এ ও এন আর সির বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ-
1 min readকালিয়াগঞ্জে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসকে কেন্দ্র করে সংবিধান রক্ষা দিবসে ডাক ও সি এ এ ও এন আর সির বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ-
-তপন চক্রবর্তী-কালিয়াগঞ্জ(উত্তর দিনাজপুর)–রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ কালিবাড়ি রোডের পাশে বাম-কংগ্রেস জোটের পক্ষ থেকে দেশের সংবিধান রক্ষার ডাকের সাথে সাথে সারা দেশে সি এ এ ও এন আর সি লাগুর বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভ করে।দুপুর ২টা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়ে তা বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে।বাম ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জোরালো ক্ষোভ তাদের বক্তব্যের মধ্যে প্রকাশ পায়।জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখতে গিয়ে কালিয়াগঞ্জ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুজিৎ দত্ত বলেন গণতন্ত্রকে রক্ষা করা যেখানে ভারত সরকারের মূল কর্তব্য,
সেখানে ভারতের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন হতে বসেছে সম্প্রতি কালের একটি কালা আইনের মাধ্যমে।স্বাধীনতার ৭০বছর পরে দেশে হটাৎ করে কি এমন ঘটলো যে দেশে দমন পিরন আইন পাশ করে দেশের সমস্ত স্তরের মানুষদের বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।আমরা জাতীয় কংগ্রেস এই আইনকে মানিনা এবং অবিলম্বে এই আইনের বিলোপ ঘটাতে হবে বলে দাবি করেন।সিপিএম দলের পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেবব্রত সরকার বলেন দেশের বর্তমান মোদি সরকার কালা আইনের মাধ্যমে দেশের গনতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে গন তন্ত্রের পরিবর্তে দেশে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি এনে ভারতের দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্যকে ধুলায় লুণ্ঠিত করে ধর্মের নামে ভারতবর্ষের সর্বত্র হিন্দু-মুসলিমের মধ্যেকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করবার আইনগত ব্যবস্থা নিতে চলেছে যা কোনভাবেই সিপিএম দল মেনে নেবেনা।তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই কালা কানুনের পরিবর্তন ঘটাতেই হবে। আর এস পি দলের পক্ষে বক্তব্য
রাখতে গিয়ে দেবব্রত কর বলেন বিজেপির মত সর্বনাশা দলকে এই রাজ্যে এনেছেন রাজ্যের খোদ মুখ্যমন্ত্রী।শুধু তাই নয় রাজ্য সভায় কি করে এই কালা আইন পাস হতে পারে?যেখানে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই সেখানে কোন মন্ত্র বলে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে এই আইন পাস করতে পারে?তৃণমূলের দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন রাজ্য সভা থেকে কোন কারনে টি এম সি ওয়াক আউট করলো?কোন বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে টি এম সি এই আইন পাস করাতে বিজেপিকে সাহায্য করলো তার জবাব মুখ্যমন্ত্রীকেই দিতে হবে বলে তিনি ক্ষোভ জানান।তিনি বলেন এই আইন পাশের ব্যাপারে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত থাকতেই হবে।অথচ তিনি সর্বনাশ করার পর লোকদেখানো মিছিল মিটিং করছে তার অপকর্মকে ঢাকবার জন্য।মানুষকে এতো ছোট ভাবার কোন কারন নেই।অন্য দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিএমের মহিলা নেত্রী শিপ্রা সরকার,ঐসনি বাগচী,অয়ন দত্ত এবং কার্তিক পাহান।সভায় সভাপতিত্ব করেন সিপিএম নেতা তপন কুমার চক্রবর্তী।উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা তুলসী জয়সওয়াল,বুল দত্ত,ধিতশ্রী রায়,রাধিকা রঞ্জন দেবভূতি,জ্যোতি বিকাশ ভদ্র
অনুষ্ঠান দেখতে ও শুনতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়।