কালিয়াগঞ্জ এর ডালিমগাঁও এ এর বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনায় প্রচুর মানুষ নতুন আলোর সন্ধান পাচ্ছেন।
1 min readকালিয়াগঞ্জ এর ডালিমগাঁও এ এর বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনায় প্রচুর মানুষ নতুন আলোর সন্ধান পাচ্ছেন।
তনময় চক্রবর্তী। উত্তর দিনাজপুর দেশে প্রতিবছর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কয়েকশো মানুষের ।এদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের প্রধান ব্যক্তির মারা গেলে অসুবিধায় পড়েন সংসারের সদস্যরা। অসহায় সেই পরিবারকে সহায়তা
দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে চালু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা।১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সী যে সমস্ত ব্যক্তির সেভিংস ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে তারাই এই প্রকল্পে যোগ দিতে পারবেন। অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি এক বছরের কভারেজ পাবেন। প্রতিবছরই প্রকল্পটি নবীকরণ করতে হবে।
বছরে ১২ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে উপভোক্তাদের। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অটো ডেবিট পদ্ধতিতে এই টাকা কেটে নেওয়া হবে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় ইতিমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা।
জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতে বিভিন্ন গ্রামের মানুষদের দেখা গেল এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে।
সাধারণ মানুষদের গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের মধ্যে অবস্থিত বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাংকে ভীর করতে।উপভোক্তাদের দেখা যায় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে এই প্রকল্পের সুবিধা কেমন করে তারা পাবেন সে বিষয়ে অনেকে যেমন শলা পরামর্শ করতে ।
তেমনি দেখা যায় অনেক সাধারণ মানুষকে এই ব্যাংকে এসে তাদের প্রকল্পের সুবিধা নিতে। কালিয়াগঞ্জ এর বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাংকের ডালিমগাঁও শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পার্থ রায় জানান,ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনায় প্রচুর মানুষ
তাদের এই শাখা থেকে সুবিধা পাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, যে সমস্ত গ্রামের মানুষদের তাদের ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে তাদের প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনায় ফরম ফিলাপ করে এই প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন তারা।তিনি বলেন এখন অব্দি প্রায় হাজার দেড়েক এর মত মানুষদের তাদের ব্যাংক থেকে এই সুরক্ষা বীমা যোজনা করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রায় দিনই বহু মানুষ আসছে ব্যাংকে এবং তারা নির্দিষ্ট একটি ফরম ফিলাপ করে তারাও এ প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন।পাশাপাশি তারা ব্যাংকের তরফ থেকে গ্রাহকদের মধ্যে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝেই সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম করে যাচ্ছেন ।তিনি বলেন এটি একটি খুব ভালো সুরক্ষা বীমা যোজনা।
এই বীমা কারো করা থাকে তাহলে এক বছরের মধ্যে যদি সেই বীমাকারীর কোন মৃত্যু হয় তাহলে সেই ব্যক্তি র পরিবার ২ লক্ষ টাকা পাবেন বলে তিনি জানান। এর পাশাপাশি তাদের এই ব্যাংকের মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমার ও প্রচুর মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন।তিনি বলেন এই প্রকল্পতেও যাতে প্রচুর মানুষ সুবিধা পায় আরো তার জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি তাদের শাখা থেকেও অটল পেনশন যোজনা র জন্য বহু মানুষ তাদের প্রিমিয়াম দ্বিতীয় শুরু করেছে। এই প্রকল্পতেও বিপুল উৎসাহ রয়েছে এখানকার গ্রামবাসীদের মধ্যে।সবমিলিয়ে বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতে বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষকে আগামী দিনের নতুন পথের দিশা দেখাচ্ছেন। এছাড়া জেলার কয়েক লক্ষ মানুষ এই আওতায় এসেছে বলে জানা যায়। এদিকে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা,অটল পেনশন যোজনা , প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমায় অংশগ্রহণ করে আশাবাদী হয়ে স্বপন কুমার সাহা, শাহীন আক্তার, দয়াময় গোস্বামী, আশানন্দ সরকার, সুদীপ বর্মন জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা,অটল পেনশন যোজনা , প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা চালু হয়েছে তাতে তারা খুব খুশি। এই প্রকল্প হওয়ার ফলে তাদের মত গরীব মানুষরা একটা স্বস্তির নিশ্বাস পেয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ৯ মে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা সূচনা হয়। এটি একটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত দুর্ঘটনা বীমা। এই বীমার আওতায় মৃত ব্যক্তির পরিবার বীমা সংস্থার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য পাবেন।