নাবালিকার বিয়ে রুখলো প্রশাসন
1 min readনন্দকুমা: মেয়ের ও ছেলের দুই বাড়িতেই মাছ,মাংস, দই মিষ্টি সহ ১০ ধরনের পদ রান্না প্রায় শেষ। দুই বাড়িতেই আত্মিয়দের সমাগমে ভরে উঠেছিল। কিন্তু বিয়ে শুরু হওয়ার আগেই মেয়ের বাড়িতে পৌঁছায় একদল মানুষ। প্রথমে মেয়ের বাড়ির লোকেরা বুঝতে পারেনি। কিন্তু পরে নন্দকুমার থানার পুলিশ আধিকারিক ও নন্দকুমার ব্লকের বিডিও সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন। তাঁরা জানান, মেয়ের বিয়ের বয়স হয়নি। নাবালিকার বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ তাই মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে ব্যবস্থা করা যাবে না। প্রথমে মেয়ের বাড়ির লোকেরা তা মানতে না চাইলেও পুলিশ ও প্রশাসনের কথায় বিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধয়ে যায়।নন্দকুমার থানার কল্যানপুর গ্রামের কেশবচন্দ্র সামন্তের মেয়ে বন্দনার সাথে স্থানিয় অর্জুন জানার ছেলে চন্দনের বিয়ে ঠিক হয়েছিল সোমবার সন্ধ্যায়। স্থানিয় সুত্রে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে খবর পৌঁছায় নাবালিকার মেয়ের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মেয়ের বয়স ১৫ বছর আর ছেলের বয়স ২৬ বছর। মেয়েটি স্থানিয় কড়ক শচিন্দ্র স্মৃতি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী।নন্দকুমার ব্লকের বিডিও মহম্মদ আবু তৈয়ব জানান, সোমবার সন্ধ্যায় কল্যানপুর এলাকায় এক নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই খবর পেয়ে স্থানি জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে মেয়ে ও ছেলের বাড়িতে যাই। দুই পরিবারকে জানানো হয় মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিলে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই তার শরিরের কথা ভেবে আমরা বিয়ে বন্ধ করার কথা বলি। দুই পরিবার তা মেনে নেয়। দুই পরিবার থেকে মুচলেকা দেয়, মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে হবে না। মেয়েটি যাতে পড়াশোনা করে এবং মেয়েটি যাতে দ্বিতীয় ধাপের কন্যাশ্রীর টাকা পায় তার ব্যবস্থা করা হবে বলে পরিবারকে জানানো হয়।