গেরুয়া আবিরেও ইক্কেবারে মানাইছে না রে
1 min read
জয়ন্ত বোস, বর্তমানের কথা
লাল রঙের রাজ্যে আয় , গেরুয়া রং
দেখতে আয়………
হিতেক তোকে মানাইছে না রে ,
ইক্কেবারে মানাইছে না রে ।
গানটির কলি ছিল “লাল পাহাড়ের
দেশে যা , রাঙামাটির দেশে যা ….” ২৫বছর বাদে ফোক গানটি নতুন কলিতে সংযোজিত হয়ে আগরতলার লোকশিল্পী গান গাইতে শুরু করেছে শনিবারের বারবেলা থেকেই আর এই গানের শুরে ত্রিপুরার রাস্তায় অগনিত মানুষ আনন্দে নাচছে । এই নৃত্যকলা রাজনৈতিক ঘরানার । গত শুক্রবার দেশ জুরে হোলি উত্সব সবে শেষ হয়েছে। হোলির আমেজে গোটা দেশের সাথে ত্রিপুরা বাসীও হোলির আনন্দে মেতেছিলেন কিন্তু গোপন ভাবে আরো উতসাহ, উচ্ছাস, আনন্দ কে চেপে রেখেছিলেন শনিবারের জন্য যা কেউ অনুমান করতে পারে নি লাল রাজ্যে গেরুয়া রঙের আবিরে রাঙিয়ে দিয়ে ফোক শিল্পী গান ধরবে “লাল রঙের রাজ্যে আয় , গেরুয়া রং
দেখতে আয়………” আর তালে তালে কোমড় দুলিয়ে সবাই নাচবে। সত্যি বাস্তবে তাই হলো।
কিন্তু কি আশ্চর্য্য, ফোক শিল্পী তার গানের কলিতে আবার বলছে ” হিতেক তোকে মানাইছে না রে , ইক্কেবারে মানাইছে না রে ” — বর্তমানের সকল পরিস্থিতির মাঝে গেরুয়া রঙের আভাস ও শোভাকে ঠিক মানাচ্ছে না। অনেক বিপ্লব হয়েছে এই ভারতভূমিতে তার যথার্থ ফল পেয়েছেন ভারতবাসী , কিন্তু গেরুয়া বিপ্লবে ভারতবাসী কি পেয়েছে , কি পাচ্ছে সেই উত্তর না খুঁজে ত্রিপুরা বাসীদের ৫০ শতাংশের বেশী গেরুয়া বিপ্লবের দিকে নিজেদের সঁপে দিয়েছেন যা গত নির্বাচনে ছিল মাত্র ১’৫ শতাংশ। এই অকল্পনীয় পরিবর্তনের হার কিন্তু ত্রিপুরার সাধারণ মানুষের। তারা ভালো করেই জানেন এই গেরূয়া আবিরে সেন্ট লাগানো সুগন্ধি আছে কিন্তু কেমিক্যাল এই আবির শরীরের পক্ষে যথেষ্টই খারাপ , তবুও উন্মাদনায় গেরুয়া বিপ্লবের হোলিতে নিজেদের ভাসিয়ে দিয়েছেন আর মনে মনে বলছেন ফোক শিল্পীর কলিতে “ইক্কেবারে মানাইছে না রে ” । কারন , ২০ বছরের মানিক সরকারের নেতৃত্বে বামফ্রন্ট জমানায় নেতৃত্বেদের আত্ম অহংকার, আত্মসাৎ, দাদাগিরি প্রতিচ্ছবি ত্রিপুরা বাসীদের গ্রাস করে নিয়েছিল তবুও নিজেদের স্বার্থে আরো এক দাদাগিরির হাত ধরেও বলতে হচ্ছে ” ইক্কেবারে মানাইছে না রে ” । তবে আগামীদিনে ৬ বছরের বাংলায় জনদরদী উন্নয়নমুখী মেলায় আত্মসাৎ, অহংকার, দাদাগিরির এত পসরা বসেছে যেখানে ফোক শিল্পী যেন গান ধরতে না পারে
” সবুজ রঙের রাজ্যে আয় , গেরুয়া রং দেখতে আয় , হিতেক তোকে মানাইছে না রে ,
ইক্কেবারে মানাইছে না রে” । বাংলার তথা বিশ্ব বাংলার জনদরদী উন্নয়নমুখী মেলার আয়োজকদের এখন থেকেই আরো নজর রাখতে হবে উন্নয়নমুখী মেলার জৌলুস যেন কোথাও নষ্ট না হয় কারণ এই মেলার দর্শক কিন্তু সাধারণ মানুষ , তাদের হৃদয়ে যেন কোথাও আঁচড় না লাগে। ভূপেন হাজারিকার কথায় ” একটু সহানুভূতি, মানুষ কি পেতে পারে না”। দেখতে হবে এই সহানুভূতির কুঁড়িগুলিকে প্রস্ফুটিত হওয়ার পূর্বেই কেউ বা কাহারা যেন তুলে নিয়ে না যায় ।
।