October 23, 2024

সাংসদ হবার স্বাদ না পেলেও তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণী বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে পুনরায় বিধায়ক হবার ছাড় পত্র পেলেন

1 min read

সাংসদ হবার স্বাদ না পেলেও তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণী বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে পুনরায় বিধায়ক হবার ছাড় পত্র পেলেন

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,১৩ জুলাই: সাংসদ হবার স্বাদ না পেলেও রায়গঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী বিপুল ভোট জয়ী হয়ে বিধান সভায় পুনরায় যাবার ছাড় পত্র পেলেন।শনিবার টান টান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ পলেটেকনিক কলেজে সকাল আটটার সময় ভোট গণনা শুরু হলে সেই মর্নিং শোস দি ডের মত ভালো খবর আসতে শুরু করে। প্রথম রাউন্ড থেকে শেষ প্রতিটি রাউন্ডেই তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর জয়ের খবর আসতেই ভোট কাউন্টিং কেন্দ্রের বাইরে হাজার হাজার তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে দেখা যায় উল্লাস আর উন্মাদনার দৃশ্য। অপর দিকে তেমনি দেখা যায় বিজেপি ও বাম কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে বিষাদের ছায়া।

 

এক এক করে বিভিন্ন রাউন্ডের জয়ের খবর আসার সাথে সাথে বিরোধী দলের সমর্থকদের ভিড় কমতে থাকে। মোট দশ রাউন্ড গণনা শেষে তৃণমূলের কৃষ্ণ কল্যাণীকে ৪৯,৫৩৬ ভোটে জয়ী বলে ঘোষণা করা হলে তৃণমূলের সমর্থকদের মধ্যে খুশির হওয়া বইতে শুরু করে।রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতির হাত থেকে জয়ী হবার সার্টিফিকেট নিয়ে বের হতেই শুরু হয় তৃণমূলের সমর্থকদের সাথে তৃণমূলের নেতৃত্বদের মধ্যে সবুজ আবিরের খেলা।এদিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন এর আগে রায়গঞ্জে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পৌর নির্বাচনে তৃণমূলের ছাপ্পা ভোট দেখেছিলাম আমরা।এবার আবার দেখলাম কিভাবে ছাপ্পা ভোটের মাধ্যমে একজন বিধায়ক নির্বাচিত হওয়া যায়।

 

তিনি বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী নামক ওয়াস্তে মানুষের মন জয় করার জন্য আনা হয়।কোন কাজের জন্য নয়।বিধান সভার উপ নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে থাকা বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন আমরা আগেই বলেছিলাম এই ভোট আসলে ভোট নয়।এটা প্রহসন মাত্র।সেটাই ফলাফলে দেখা গেছে। জানা যায় লোক সভা ভোটের আগে তৃণমূলের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন।লোক সভা নির্বাচনে রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পালের কাছে ৬৭,১৯৭ ভোট হেরে যান।তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের কাছে সামান্য কিছুদিনের জন্য হয়ে যান ব্রাত্য।এর মধ্যেই সংসদীয় রাজনীতিতে পুনর্জন্ম দিতে রায়গঞ্জ বিধান সভা উপনির্বাচনে কৃষ্ণ কল্যাণী যাতে প্রার্থী হতে পারে তিনি তার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা শুরু করেন।পরবর্তীতে কৃষ্ণ কল্যাণীকে উপ নির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে সেই ইঙ্গিত পেতেই ভোল বদল করে ফেলেন কৃষ্ণ কল্যাণী।রায়গঞ্জের তৃণমূলের নেতৃত্বরা যারা কোমর বেঁধে কৃষ্ণ কল্যাণীকেহারাবার জন্য কাজ করেছিল তাদেরকেই কৃষ্ণ কল্যাণী সুকৌশলে বিধান সভায় যাতে সবাই তার হয়ে কাজ করে তার জন্য কৃষ্ণ কল্যাণী নতি স্বীকার করে নেয়।যদিও লোকসভায় পরাজিত হবার পর তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ কল্যাণী তৃণমূল দলের উত্তর দিনাজপুর জেলার অধিকাংশ নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন।তার হারের জন্য মূলত দায়ী করেন দলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই। সেই কৃষ্ণ কল্যাণী হঠাৎ করে তার ভোল পালটে দিয়ে তিনি তৃণমূল দলের কর্মীদের তার হয়ে লোকসভা ভোটে পরিশ্রম করার জন্য অভিনন্দন জানান এবং উত্তর দিনাজপুর বাসী লোকসভা নির্বাচনে তাকে চার লক্ষ বিরানব্বই হাজার ভোট দেবার জন্য রায়গঞ্জ লোকসভার নির্বাচক মন্ডলীদের অভিনন্দন জানান।তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা সভাপতি কানাইয়া লাল আগরওয়াল বলেন এই জয় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জয়।মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই আমাদের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন আমাদের তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে সমস্ত ভোটারদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছি।তিনি বলেন সবার আপদে বিপদের বন্ধু সাধারন মানুষ তাই তৃণমূলকে ভোট দিয়ে থাকে।পরবর্তীতে তৃণমূল নেত্রী উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে আলোচনায় বসে কৃষ্ণ কল্যাণী যে রায়গঞ্জের বিধান সভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছে এবং কৃষ্ণ কল্যাণীকেই জেতাতে হবে সেকথা তৃণমূল নেতাদের বুঝিয়ে দেন।সরকারি ভাবে রায়গঞ্জ বিধান সভা উপ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবার পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেন মানুষ এক বার ভুল করে বার বার নয়।তাই এবার রায়গঞ্জের মানুষ পঞ্চাশ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজেপির প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছে।আমার এবার প্রথম কাজ হবে রায়গঞ্জ_ বার সই রাস্তার যেটুকু কাজ বাকি আছে সেটা শেষ করা। এছাড়াও রায়গঞ্জ পৌর সভার পৌর প্রশাসকের সাথে বৈঠক করে একটি উন্নত মানের ড্রেনেজ কি ভাবে করা যায় সেটা করতে হবে।e ছাড়াও রায়গঞ্জ শহর কি ভাবে যানজট মুক্ত শহরে পরিণত করা যায় সেদিকে নজর দেব সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *