ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা ও গ্রাম বাসীরা চোখের জলে বিদায় দিলেন শিক্ষক বিপুল মৈত্রকে
1 min readছাত্র ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা ও গ্রাম বাসীরা চোখের জলে বিদায় দিলেন শিক্ষক বিপুল মৈত্রকে
তপন চক্রবর্তী,৩ ফেব্রুয়ারি:বিপুল মৈত্র যে প্রকৃতই একজন শিক্ষক ছিলেন তা বোঝা গেল তার অবসর গ্রহনের দিন।গ্রামের লোকেরা শিক্ষক বিপুল মৈত্র কে প্রদীপের মাধ্যমে পুষ্পবৃষ্টি র মাধ্যমে বরণ করে তার কপালে চন্দনের টিপ দিয়ে তাকে গ্রামের মহিলারা উলুধ্বনির মাধ্যমে তাদের প্রিয় গ্রামের বিদ্যালয়ের বিপুল মাস্টারকে বিদায় জানায়।
গ্রাম বাসীদের বক্তব্য বিপুল মাস্টার আমাদের গ্রামের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের প্রাণের চেয়েও ভালোবাসতো। গ্রামবাসীরাও তাকে মাস্টার হিসাবে নয় গ্রামের একজন অভিভাবক হিসাবে মনে করতো।তাই তার অবসরের সময় গ্রামবাসীরা বিপুল মাস্টারকে বিদায় দেবার সময় এমন কেও ছিলনা যে তিনি চোখের জল ফেলেন নি। হজরত পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদায়ী শিক্ষ্ক বিপুল মৈত্র বলেন আমি আমার শিক্ষকতার কর্মজীবনে বিদ্যালয়ের শিক্ষাদানের বিনিময়ে যা মনে মনে চেয়েছিলাম তার চেয়েও বিদ্যালয়ের এলাকার গ্রাম বাসীরা আমাকে অনেক সন্মান দিয়েছে।আমি অভিভূত। কালিয়াগঞ্জ থানার হজরত পুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল কুমার মৈএ মহাশয়ের দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছরের শিক্ষকতার জীবন থেকে অবসর গ্রহণ কে কেন্দ্র করে বিরাট জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করল গ্রামবাসী ও শিক্ষক শিক্ষিকা ছাএ ছাএী বৃন্দ। সভাপতিত্ত করেন বিশিস্ট প্রাক্তন শিক্ষক সিরাজুদ্দিন সরকার। মাল্যদান সহ পুষ্প বৃস্টি। সকলের পেট ভোজনের ব্যবস্হা ছিল। উপস্হিত ছিলেন পার্শবর্তী জুনিয়ার হাই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ঐ স্কুলের সব শিক্ষক ছাএ ছাএী গণ। বিপুল বাবু প্রথম যোগদান করেন 0২/0৭/১৯৯৬সালে। প্রধান শিক্ষক ছিলেন ১০ বছর বর্তমান বিদ্যালয়ে।কালিয়াগঞ্জ শহরের ওনার কিছু সুভাকাঙ্খী বন্ধু অনুস্ঠানে উপস্হিত ছিলেন। উনি ৩১শে জানুয়ারি তারিখ অবসর গ্রহণ করেন।বিদায়ী শিক্ষককে মটর সাইকেল রালি করে তার স্কুল পাড়ার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায় গ্রাম।বাসীরা।