October 24, 2024

রাহুল-সীতারামকে খোঁচা মোদীর, ‘কর্মীরা মরছে মরুক, ওঁদের চিন্তা নেই’

1 min read

রাহুল-সীতারামকে খোঁচা মোদীর, ‘কর্মীরা মরছে মরুক, ওঁদের চিন্তা নেই’

পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা ও অশান্তির ঘটনা নিয়ে মহম্মদ সেলিম, অধীর চৌধুরীরা যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তৃণমূলকে তুলোধনা করছেন, তখন কৌশলগত ভাবে রাহুল গান্ধী বা সীতারাম ইয়েচুরিরা এ ব্যাপারে নীরব। মঙ্গলবার একটি সরকারি কর্মসূচি থেকে তা নিয়েই রাহুল-সীতারামদের তীব্র খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।বাংলায় কংগ্রেস ও বাম কর্মীদেরও অস্বস্তিতে ফেলতে চাইলেন গেরুয়া সর্বাধিনায়ক এদিন পোর্টব্লেয়ারের নতুন এয়ারপোর্ট টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার ফাঁকেই বিরোধী জোটের বৈঠককে বার বার খোঁচা দিতে চেয়েছেন তিনি।

 

বক্তৃতার প্রায় শেষে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে প্রকাশ্যে হিংসা চলছে। কিন্তু তা নিয়ে এঁরা (পড়ুন রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি) মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন। কংগ্রেস ও বামেদের নিজেদের কর্মীরা সেখানে আক্রান্ত হচ্ছেন। মার খাচ্ছেন। কিন্তু এঁদের যেন কোনও হুঁশ নেই। নিজেদের স্বার্থের জন্য এঁরা এতটাই বেপরোয়া যে কর্মীদের বিপন্ন অবস্থায় ছেড়ে রেখেছেন। তাঁরা মরলে মরুক।

 

‘প্রধানমন্ত্রী যে কথা আজ বলেছেন, তা গত কয়েকদিন ধরেই সোশাল মিডিয়ায় বলছেন বিজেপি মুখপাত্র অমিত মালব্য। কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূল জাতীয় স্তরে যে বিরোধী জোটে সামিল হয়েছেন, তা নিয়ে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও অস্বস্তি তৈরি করা যে তাঁদের লক্ষ্য সে ব্যাপারে পর্যবেক্ষকরা সকলেই একমত।প্রধানমন্ত্রী এদিন পঞ্চায়েত হিংসা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, ‘ওহে প্রধানমন্ত্রী, পঞ্চায়েতে হিংসা তোমার এত চিন্তা, মণিপুর নিয়ে চুপ কেন? ওখানে তো তিনশ’র বেশি মানুষ মারা গিয়েছে। প্রায় তিন মাস ধরে লাগাতার আগুন জ্বলছে তোমার ডবল ইঞ্জিনের রাজ্যে। তুমিও কি ধরে নিয়েছ যে ওরা মরে মরুক!’রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বাংলায় পঞ্চায়েত সন্ত্রাস নিয়ে কৌশলগত ভাবেই রাহুল-সীতারামরা চুপ রয়েছেন। কারণ তাঁদের মতে, রাজ্যস্তরে বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস, বামেদের সংঘাত থাকবেই বা দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের দ্বৈরথ চলবে। কিন্তু রাজ্যস্তরের এই রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য জাতীয় স্তরে মোদী বিরোধী বৃহত্তর লড়াইকে কোনওভাবেই লঘু করা যাবে না। সনিয়া-মমতা-সীতারামদের এই কৌশল হয়তো বিজেপিকে চাপে ফেলেছে। বিরোধী জোটের যদি কোনও প্রভাব না থাকত, তা হলে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রীকে হয়তো এভাবে খোঁচা দিতে হত না।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *