আমরা চাচ্ছি চার পাঁচটা সিভিক মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া হোক। কেন বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ?
1 min readআমরা চাচ্ছি চার পাঁচটা সিভিক মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া হোক। কেন বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ?
উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর চাঁদগাওয়ে এখনো ভয়ের পরিবেশ রয়েছে। তাই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু মৃত্যু মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের লোকরা তাই ভয়ে বাড়ি ফিরছে না। তাই তাদেরকে সঙ্গে করে আজ আমি তাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছি। আজ উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর চাঁদগাওয়ে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে এমন কথাই বললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন যাতে তারা এমন একটা পরিবেশ তৈরি করুক যাতে করে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবার গ্রামের বাড়িতে থাকতে পারে। আর এদের সাথে যদি কিছু হয় তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে পুলিশ প্রশাসন।
তারপর পুলিশ প্রশাসনকে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় তার দাওয়াই তাদের কাছে রয়েছে।এদিন সুকান্ত মজুমদার আরো বলেন রাজ্যে যখন হাজার হাজার ছেলেমেয়েদের চাকরি চলে যাচ্ছে ঠিক সেই সময় সালমান খান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এসেছেন এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন জানিনা ভাইজান কেন তার বাড়িতে এসেছে এটা মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারবেন। রাজ্যে 36 হাজার বেকার ছেলেমেয়েদের চাকরি চলে যাচ্ছে সেটা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোন মাথা ব্যাথা নেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর এখন শখ হয়েছে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর শখ হওয়াতে সালমান খান টালমান খান নিয়ে এসে এখন গোটা ভারত বর্ষ ব্যাপি একটা প্রচারের চেষ্টা করছে। কিন্তু সালমান খান দিয়ে হবে না। সালমান খান এখন খানমান খানে পরিণত হয়েছে। কর্নাটকে বিজেপির খারাপ ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতিতে সরকারেরও পরিবর্তন হয়। রাজনীতিতে এটাই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটা যদি তৃণমূল কংগ্রেসের হতো তাহলে ভোট লুট করে জিততো। আমরা তো ভোট লুট করে জিতব না। আমরা চাইলে এখনো সরকার বানাতে পারি। সেই পরিস্থিতিতেও আছি কিন্তু আমরা সেদিকেও যাব না।আজ সুকান্ত মজুমদার আরো বলেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজ্যকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গিয়েছে যে এই রাজ্যে আগামী দিনে মানুষ রাস্তায় নেমে মারামারি করবে। ৩৬ হাজার বেকার ছেলেমেয়েদের যে চাকরি চলে গেল এর জন্য দায়ীকে। যাদের চাকরি চলে গেল তাদের তো ফ্যামিলি হয়ে গিয়েছে। এখন সেই ফ্যামিলি গুলো চলবে কি করে। এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস অড়া জগতার পরিবেশ তৈরি করেছে। এই অরাজকতা থাকলে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে এমন পরিস্থিতি হবে যে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগাতে বাধ্য করা হবে।যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে তাদের চাকরি যাতে না যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবে রাজ্য সরকার এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন রাজ্য সরকার চাকরি আবার ফিরিয়ে দিবে বলেছে, কিভাবে ফিরিয়ে দিবে এটা আইনের বিষয় হাইকোর্ট ঠিক করবে। কিন্তু এই প্রশ্নটা উঠছে ৩৬ হাজার লোক যদি পাঁচ লক্ষ টাকা করে মিনিমাম দিয়ে চাকরি পেয়ে থাকে তাহলে 180 কোটি টাকা কাঠ মানি তৃণমূল কংগ্রেস এর নেতারা খেয়েছে। এবং তার টুয়েন্টি ফাইভ পার্সেন্ট রেখে ৭৫ পার্সেন্ট যদি পাঠানো হয় তাহলে প্রায় ১৩০ কোটির পাশাপাশি টাকা কালীঘাটে গেছে কলকাতায় গেছে। তার হিসেবটা আগে দিতে হবে। চাকরি কি করবে না করবেন তার জন্য কোর্ট রয়েছে। তারা দেখবে। কিন্তু এই যে অরাজকতার সৃষ্টি এবং কোটি কোটি টাকা নয় ছয় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কাঠ মানি নিয়ে এর হিসেবটা আগে রাজ্য সরকারকে এবং পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষদের সামনে পেশ করুন। এই ১৮০ কোটি টাকা ঘুষ কাট মানি কার পকেটে গেল। কোন নেতা কত পেয়েছে।তিনি বলেন রাজ্যে যেভাবে সিভিক ডাক্তার তরীর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার এত কিছু যখন সিভিক হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি চার পাঁচটা সিভিক মুখ্যমন্ত্রী দেওয়া হোক। একটা জায়গায় একেক জন মুখ্যমন্ত্রী পদ সামলাবেন। ছয় মাস ছয় মাস করে সিভিক মুখ্যমন্ত্রী।