পুজোয় রেকর্ড মদ বিক্রী পূর্ব মেদিনীপুরে, টাকার অঙ্কে গন্ডি ছাড়াল ২৪ কোটি ৪৪ লক্ষ
1 min readপুজোয় রেকর্ড মদ বিক্রী পূর্ব মেদিনীপুরে, টাকার অঙ্কে গন্ডি ছাড়াল ২৪ কোটি ৪৪ লক্ষ
পুজোর চার দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় রেকর্ড ২৪কোটি ৪৪লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হল। ২ অক্টোবর মহাসপ্তমীতে গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে সব কাউন্টার বন্ধ ছিল। তাই ওইদিন বেচাকেনা বন্ধ ছিল। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত চারদিন মদ থেকে বিপুল আয় করেছে আবগারি দপ্তর। রোজ গড়ে ৬ কোটি টাকার বেশি আয় হয়েছে।পুজোর ছুটিতে দীঘামন্দারমণিও হাউসফুল ছিল। যে কারণে মদ বিক্রি অনেকটাই বেড়েছে। তবে, বৃহস্পতিবার থেকে দীঘায় ভিড় আরও বেড়েছে।
পুজো মিটে গেলেই অনেকে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেন। সেই জন্য একাদশী থেকে ভিড় বাড়ছে বলে দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান। এরফলে আবগারি দপ্তরের লক্ষ্মীলাভ আরও কয়েকদিন থাকবে। সামনেই লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, ছটপুজো রয়েছে।টানা ছুটিতে আবগারি থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির সুযোগ অনেক বেশি। পুজোর মরশুমে পূর্ব মেদিনীপুরে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে মোট ২৫৪কোটি টাকার মদ বিক্রির টার্গেট দেওয়া হয়। দুর্গাপুজোর সময়ের চাহিদা মেটাতে সেপ্টেম্বর মাসেই স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশনের হোলসেল পয়েন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে মদ মজুত ছিল। কাঁথিতে কর্পোরেশনের হোলসেল পয়েন্ট আছে। সেখান থেকেই সারা জেলায় বিদেশি মদ সরবরাহ করা হয়।
এছাড়াও দেশি মদ অন্য জেলা থেকে আনা হয়।এই মুহূর্তে কাঁথির হোলসেল পয়েন্টে সবসময় ১৫-২০টি গাড়ি লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জেলায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোট ২৭২টি মদের দোকান রয়েছে। ওইসব দোকানে সাপ্লাই দেওয়ার জন্য গাড়িতে লোডিং করা হচ্ছে। সুরাপ্রেমীরা যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়েন, সেই জন্য দোকানে পর্যাপ্ত সামগ্রী মজুত রাখার সবরকম চেষ্টা চলছে। জেলা আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো উপলক্ষে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে যথাক্রমে ১২৯কোটি ও ১২৫কোটির মদ বিক্রির টার্গেট দেওয়া হয়েছে। এই দুই মাসে টার্গেট ছাপিয়ে মদ বিক্রি হবে বলে আবগারি দপ্তরের অফিসাররা মনে করছেন।