রায়গঞ্জে উত্তর দিনাজপুর জেলা ভিত্তিক একদিনের লোকশিল্পীদের কর্মশালায় নুতন লোকশিল্পীদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি
1 min readরায়গঞ্জে উত্তর দিনাজপুর জেলা ভিত্তিক একদিনের লোকশিল্পীদের কর্মশালায় নুতন লোকশিল্পীদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি
শুভ আচার্য ,কালিয়াগঞ্জ,২৭সেপ্টেম্বর: মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া অডিটোরিয়ামে একদিনের উত্তর দিনাজপুর জেলা ভিত্তিক লোকো শিল্পীদের কর্মশালার উদ্বোধন করেন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক হাসেন জেহেরা রিজভী, বিশিষ্ট লোক গবেষক তরণী সেন মহন্ত,বিশিষ্ট সাংবাদিক সঙ্গীত শিল্পী তথা আকাশবাণীর গীতিকার তপন চক্রবর্তী,জেলা কোর্ডিনেটর সোমনাথ চক্রবর্তী,জেলার কৃষি দপ্তরের কো অর্ডিনেটর সজীব চক্রবর্তী,জেলার স্বাস্থ্য সাথী বিভাগের কো অর্ডিনেটর কল্যাণ কুন্ডু,তফসিলি জাতি ও উপজাতি বিভাগের কোঅর্ডিনেটর খগেস্বর সিংহ এবং জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের বড়বাবু কল্যান চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকটি বিভাগের জেলা কোঅর্ডিনেটর গন উপস্থিত ছিলেন।জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন।
এক দিনের এই কর্মশালায় উত্তর দিনাজপুর জেলার মোট নয়টি ব্লকের ৫০০ জন পুরুষ ও মহিলা লোকশিল্পীগন এই কর্মশালায় অংশ গ্রহন করেন।অনুষ্ঠানে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন বলেন জেলার লোক শিল্পীরা আমাদের জেলার সম্পদ।হারিয়ে যাওয়া লোকশিল্পকে তারা আগলে ধরে রেখে আমাদের জেলার সংস্কৃতিকে গৌরবান্বিত করেছে।জেলার সাধারন মানুষের কাছে আমাদের লোকশিল্পীরা তাদের সংগীতের মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ কর্ম তুলে ধরায় আমরা গর্বিত।জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক হাসেন জেহেরা রিজভী বলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার লোকশিল্পীরা রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের সুবিধা সাধারন মানুষের বুঝবার জন্য গান রচনা করে অতি সহজেই তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে যা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়।
এই জন্য তিনি তাদের অভিনন্দন জানান।আরো নুতন নুতন গান রচনা করে গ্রামের সাধারন মানুষদের আকৃষ্ট করবার জন্য লোকশিল্পীদের কাছে আবেদন করেন।জেলার বিশিষ্ট লোক গবেষক তথা বিশিষ্ট লোকশিল্পী তরণী সেন মোহন্ত লোক শিল্পীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।দীর্ঘদিন যাবৎ নুতন করে লোক শিল্পীদের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর থেকে লোক শিল্পীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছেনা কেন জানতে চান এবং এই সমস্যার সমাধানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন তরণী সেন মহন্ত।
।সাংবাদিক তথা আকাশবাণীর গীতিকার তপন চক্রবর্তী বলেন রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর নুতন করে লোক শিল্পীদের অন্তর্ভুক্ত না করায় অনেক দুস্থ লোক শিল্পীরা দীর্ঘদিনধরে অনেক আশা নিয়ে অপেক্ষা করে বসে আছেন। সরকার থেকে তাদের এক হাজার করে যে ভাতা দেওয়া হয় সেই টাকা দুস্থ লোকশিল্পীদের কাছে লক্ষ্ টাকার সমান। সরকার থেকে তাদের নুতন করে অন্তর্ভুক্ত করবার জন্য আবেদন জানান তিনি।
তিনি বলেন যারা লোকসংস্কৃতিকে পুত্রসম ভালোবেসে লালনপালন করে আসছে নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে তাদের সমস্যার সমাধান করা উচিত রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের। তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অভিজিৎ বিশ্বাস তার বক্তব্যে বলেন আজকের লোকশিল্পীদের কর্মশালা মূলত লোকশিল্পীরা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গুলিকে নিয়ে কি ভাবে নুতন নুতন সঙ্গীত রচনা ও সুরারোপ করবেন মূলত তারই প্রশিক্ষণ ছিল।
সর্বশিক্ষা অভিযানের জেলা কোঅর্ডিনেটর সোমনাথ চক্রবর্তী উপস্থিত লোক শিল্পীদের কি ভাবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পকে নিয়ে গান রচনা করতে হয় তা অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় উপস্থিত লোক শিল্পীদের গান গেয়ে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেন।যা সত্যিই অভিনন্দন যোগ্য। কর্মশালায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে স্বাস্থ্য সাথী, সর্বশিক্ষা অভিযান, কৃষক বন্ধু এবং স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড,তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা করেন যথাক্রমে সজীব চক্রবর্তী কল্যাণ কুন্ডু সোমনাথ চক্রবর্তী, খগেশ্বর সিংহ সহ বেশ কয়েকজন ডিস্ট্রিক্ট কো অর্ডিনেটর।
সন্ধ্যায় একটি মনোজ্ঞ লোকসঙ্গীতের অনুষ্ঠান জেলার শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় যেখানে লোকনৃত্য,বাউল,লোকগীতি উপস্থিত হলভর্তি শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে বলে জানান জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আধিকারিক অভিজিৎ বিশ্বাস।