‘আমরা আদালতে যাব’, নন্দীগ্রামের ভোটে অখুশি মমতা ফোন করলেন রাজ্যপাল ধনখড়কে
1 min read‘আমরা আদালতে যাব’, নন্দীগ্রামের ভোটে অখুশি মমতা ফোন করলেন রাজ্যপাল ধনখড়কে
ছাপ্পাভোটের অভিযোগ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি নন্দীগ্রামের বয়ালে। সেখানে ৭ নম্বর বুথে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতির তদারকি করছেন তিনি। মমতার অভিযোগ, বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করাচ্ছে বিজেপি। যাদের আনা হয়েছে, তাঁরা কেউ বাংলা জানেন না। বয়ালের ওই বুধে বিজেপি অবাধে ছাপ্পা ভোট করেছে বলে তৃণমূল নেত্র্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মমতা বলেন, ”আদালতে যাব আমরা। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ৬৩টা অভিযোগ পেয়েছি।” বয়ালের বুথে বসেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে পরিস্থিতি জানান মমতা।দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ শুরু হতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বয়াল, গোকুলনগর, সোনাচূড়-সহ একাধিক এলাকা থেকে নানা অভিযোগ সামনে আসছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, সেখানকার বুথে তৃণমূল এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি।
অবাধে ছাপ্পা ভোট করেছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে মমতার কাছে অভিযোগ জানান বয়ালের বাসিন্দারাও। মমতার উপস্থিতিতেই বুথের বাইরে ধুন্ধুমার বেধে যায় তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে।প্রথমার্ধে ঘরবন্দি থাকার পর নন্দীগ্রামে ভোট পরিদর্শনে বেরোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর সওয়া ১ টা নাগাদ রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে বয়াল ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর বুথে যান তৃণমূল নেত্রী। হুইলচেয়ারে বসেই সেখানে গ্রামের মধ্যে ঢুকে যান তিনি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে, মারধর করছে বলে তাঁকে জানান স্থানীয় ভোটাররা। মমতার কাছে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানান সকলে।বয়াল, গোকুলনগর, সোনাচূড়া নিয়ে সকাল থেকেই নানা অভিযোগ সামনে আসছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, সেখানকার বুথে তৃণমূল এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। অবাধে ছাপ্পা ভোট করেছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে মমতার কাছে অভিযোগ জানান বয়ালের বাসিন্দারাও। মমতার উপস্থিতিতেই বুথের বাইরে ধুন্ধুমার বেধে যায় তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে।মমতা যখন বয়াল মাস্তুল স্কুলের ভিতরে ঢোকেন, সেই সময় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা মমতাকে লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন। তাতে পরিস্থিতি তেতে ওঠে। পরস্পরকে লক্ষ্য করে ছুড়তে শুরু করেন তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থকরা। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও বেধে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসে রাজ্য পুলিশ এবং র্যাফ। দুই শিবিরকে আলাদা করে দেয় তারা। কিন্তু বুথের বাইরের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায়, বুথের ভিতরই আটকে পড়েন মমতা। তাঁকে অন্য রাস্তা দিয়ে বার করিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। পুলিশের তরফে মানবশৃঙ্খল গড়ে বিক্ষোভকারীদের আটকানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।ভোটের জন্য নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় একটি বাড়িতে অস্থায়ী ভাবে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর সকাল থেকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারী বুথে বুথে ঘুরলেও, এক বারও দেখা মেলেনি মমতার। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নন্দীগ্রামের ইতিউতি বিক্ষিপ্ত অশান্তি দেখা দিলে, দুপুরে রেয়াপাড়ার ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। দেহরক্ষীদের সহায়তায়, হুইলচেয়ার থেকে নীল রঙের গাড়িতে উঠে বেরিয়ে যান।সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক ভোটই পার করেছেন মমতা। তবে সব ভোটেই তাঁকে দিনের বড় সময়টা গৃহবন্দি থাকতে দেখা গিয়েছে। কলকাতা পুরসভা হোক বা লোকসভা নির্বাচন সব ক্ষেত্রেই বরাবর ঘরে বসে ভোটদানে নজর রাখতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। ঘনিষ্ঠরা জানেন, কালীঘাটের বাড়ি থেকেই তিনি সব দিকে নজর রাখেন। ফোনে খোঁজ নেন কোথায় কী হচ্ছে। নন্দীগ্রামে এককালের সতীর্থ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সেই ছক বদলালেন না মমতা।