October 30, 2024

সোনার বাংলা গড়তে ও রায়গঞ্জের উন্নয়ন গড়ে তুলতে ভোটের ময়দানে লড়াই করছেন রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী।

1 min read

সোনার বাংলা গড়তে ও রায়গঞ্জের উন্নয়ন গড়ে তুলতে ভোটের ময়দানে লড়াই করছেন রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী।

তনময় চক্রবর্তী রাজনীতির ময়দানে খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভোট নটি বিধানসভা কেন্দ্রে আগামী 22 শে এপ্রিল। এখন জোরকদমে ব্যস্ত প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা এবং প্রার্থীরা। একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে হাইটেক প্রচারে। এমনই প্রচার এর ফাঁকে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে এবারে বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী জানালেন তার জয়ের ব্যাপারে তিনি একশ শতাংশ নিশ্চিত। তার জয় হবেই। তিনি বলেন তিনি গ্রামে গঞ্জে গিয়ে যেভাবে মানুষের সাড়া পাচ্ছেন যে মানুষের উচ্ছাস উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছেন তাদের জয় শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন রায়গঞ্জ এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজনীতির ময়দানে নেমে।

এলাকার উন্নয়নে একমাত্র তার একমাত্র লক্ষ্য এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তিনি বলেন উত্তর দিনাজপুর জেলা বাসীর স্বপ্ন এমস ধাঁচের হাসপাতাল যাতে রায়গঞ্জে হয় সেই আশা নিয়ে তিনি লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন। কৃষ্ণ বাবু বলেন এই লড়াইয়ে ও তিনি জয়ী হবে ই। কারণ ইতিমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী ইশতেহারে ইতিমধ্যে তিনি তিনটি এমস হাসপাতাল করার কথা ঘোষণা করেছেন। তাই তারা আশা তার স্বপ্ন পূরণ হবেই এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। রায়গঞ্জের বিজেপির প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী আরো বলেন ভৌগলিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যদি দেখা যায় তাহলে রায়গঞ্জ হলো বাংলার কেন্দ্রবিন্দু। তিনি বলেন বিগত দিনে ও এমস হাসপাতাল রায়গঞ্জ এ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল কিন্তু জেলাবাসীর দুর্ভাগ্য এই জেলায় এমস হাসপাতাল না হয় সেটি চলে গিয়েছে কল্যাণীতে। তাই তিনি জয়ী হওয়ার পর তার প্রধান লক্ষ্যই থাকবে রায়গঞ্জে এমস হাসপাতাল গড়ে তোলা।

তিনি বলেন রায়গঞ্জ বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় এখনও রাস্তাঘাট এর বেহাল দশা যেমন রয়েছে তেমনি এখানে কর্মসংস্থানের জন্য গড়ে তোলা হয়নি কোন শিল্প। তিনি বলেন তিনি জয়লাভ করলে এমস এর পাশাপাশি রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় বেহাল রাস্তাঘাটের অবস্থা র যেমন পরিবর্তন হবে তেমন ই এই এলাকার বিকাশ ও কর্মসংস্থানের জোর দেওয়া হবে। কৃষ্ণ কল্যাণী আরো বলেন যখন ভোটের দামামা বেজে গেছে চারিদিকে ঠিক তখন রাজ্য সরকার দুয়ারে দুয়ারে সরকার নামে একটি প্রকল্প করে কোন লাভ করতে পারেনি। বিগত ১০ বছরে এই সরকার শুধুমাত্র মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। যারা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি আছে তারা মানুষের সাথে কোন সম্পর্ক রাখে নি।

 

মানুষকে মানুষ মনে করেনি। শুধু মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছে অরাজগতা র রাজনীতি করে গিয়েছে। কাটমানি খেয়ে গিয়েছে। ফলে দুয়ারের সরকার করে কোন লাভ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন দুয়ারে দুয়ারে সরকারের উপর বিশ্বাস না করে এখন একমাত্র বিকল্প ভারতীয় জনতা পার্টি কে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করে সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মোদীর নেতৃত্বে সোনার বাংলা সংকল্প নিয়ে সবাই এগিয়ে আসুন এটাই তিনি আহ্বান করেন সকলকে। কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে অত্যাচার ও লুট করে তাতে কেউ আগামীদিনে সুরক্ষায় থাকতে পারবে না। তাই দুয়ারে দুয়ারে সরকার না করে আগামী দিনে যাতে সোনার বাংলা সরকার হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে সাধারণ মানুষকে। উত্তর দিনাজপুর জেলা যেহেতু কৃষিভিত্তিক এলাকার তাই অনায়াসে এখানে অনেক কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠতে পারে এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন তিনি বহুবার রাজ্য সরকারকে তার প্রপোজাল দিয়েছেন এখানে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে। তিনি বলেন উত্তর দিনাজপুর জেলায় চাষাবাদের মধ্যে আধুনিক মানের পরিবর্তন আনতে নানান রকম ভাবে তিনি প্রপোজাল দিয়েছিলেন রাজ্য সরকারকে। কিন্তু কোন কাজের কাজ হয়নি। তিনি বলেন উত্তর দিনাজপুর জেলায় সয়াবিন চাষ হতে পারে। এই ব্যাপারে তিনি রাজ্য সরকারের কাছে প্রপোজাল দিয়েছিলেন। কিন্তু কোন অজ্ঞাত কারণে তারে প্রপোজাল গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই সোয়াবিন পরীক্ষামূলক ভাবে তিনি চাষ করে সফল হয়েছেন। কৃষ্ণ কলানি বলেন রাজ্য সরকারের যদি তৎপরতা থাকতো তাহলে উত্তর দিনাজপুর জেলায় ইতিমধ্যে সয়াবিন চাষ শুরু হয়ে যেত। তিনি বলেন এই ভোটের ময়দানে দাঁড়িয়ে তিনি যখন লড়াই করছেন ঠিক সেই সময় দাঁড়িয়ে বারে বারে তার বাবা দীনদয়াল কল্যাণী কথা মনে পড়ছে। কৃষ্ণ কলানি বলেন তার বাবার হাতেই তার রাজনীতির হাতেখড়ি এবং শিক্ষাদিক্ষা রাজনীতির সবকিছু। তার দাঁড়াই তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন রাজনীতিতে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *