গ্রামীণ চিকিৎসা পরিষেবায় গ্রামীণ চিকিৎসকরা বহুদিন ধরে পরিষেবা দিয়ে আসছে দিবারাত মানুষের পাশে থেকে অথচ এই গ্রামীণ চিকিৎসকরা নানাদিক থেকে বঞ্চিত
1 min readগ্রামীণ চিকিৎসা পরিষেবায় গ্রামীণ চিকিৎসকরা বহুদিন ধরে পরিষেবা দিয়ে আসছে দিবারাত মানুষের পাশে থেকে অথচ এই গ্রামীণ চিকিৎসকরা নানাদিক থেকে বঞ্চিত
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,২৮,ফেব্রুয়ারী রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ মহিমা চন্দ্র বিদ্যালিয়ে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের আর এম পি এ গ্রামীন চিকিৎসকদের ব্লক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল।এই সম্মেলন থেকে দাবি উঠলো রাজ্য সরকারকে গ্রামীন হাসপাতালগুলিতে তাদের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ করতে হবে।গ্রামীন চিকিৎসকদের কালিয়াগঞ্জ ব্লক কমিটির সম্পাদক তপন দাস বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর তাদের বিভিন্ন সময় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কথা দিয়েও আজ পর্যন্ত কোন কাজ করেনি।তাই অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলে জানান।ব্লক সম্পাদক তপন দাস বলেন বিগত করোনা আবহে তাদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ স্বাস্থ দপ্তর করিয়ে নিলেও সরকার তদের নানা ভাবে বঞ্চিত করে আসছে।সম্মেলনে কালিয়াগঞ্জ ব্লক ছাড়াও জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রচুর সংখ্যক সদস্যরা উঅস্থিত হয়।বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষীপুর মহিমা চন্দ্র বিদ্যা ভবনের প্রধান শিক্ষক সুজিৎ পাল,শিক্ষক তমাল পাট্টাদার তন্ময় চক্রবর্তী সহ অনেকে।
পরিষেবায় গ্রামীণ চিকিৎসকরা বহুদিন ধরে পরিষেবা দিয়ে আসছে দিবারাত মানুষের পাশে থেকে অথচ এই গ্রামীণ চিকিৎসকরা নানাদিক থেকে বঞ্চিত সরকারের পক্ষ থেকে। অবিলম্বে যদি তাদের দাবি-দাওয়া না সুরাহা করা হয় তাহলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে পা বাড়াবেন গ্রামীণ চিকিৎসকরা বলে কালিয়াগঞ্জে আর এম পি এর ব্লক সম্মেলনের পর
এক সাক্ষাৎকারে একথা জানাবেন সংগঠনের জেলা সভাপতি মতিউর রহমান। তিনি বলেন যারা প্রতিষ্ঠিত ডাক্তার আছে এমবিবিএস সহ সহ আরো অনেক ডিগ্রিধারী রা তারা সময়মতো গ্রামের মানুষের চিকিৎসায় সব সময় পাশে থাকতে পারে না তারা তাদের পরিষেবা দিতে পারেনা সঠিক সময়ে। কিন্তু আর এম পি এর চিকিৎসকরা দিবারাত্রি গ্রামের মানুষের পরিষেবা দিয়ে আসছে গ্রামের পাড়ায় পড়ে থেকে সেটা সরকারও জানে।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন যারা বড় বড় ডিগ্রিধারী ডাক্তারবাবুরা রয়েছে সরকারি গ্রামের পরিষেবা তে নিযুক্ত হয়ে তারা সেই পরিষেবা টা দিতে পারছে না গ্রামের মানুষদের কাছে। তিনি বলেন প্রতি নত তারা সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন তাদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করার ব্যাপারে কিন্তু এখনো অব্দি সরকারি তবে কোনো সাড়া তারা পাননি। তাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তারা আন্দোলন করছেন বিভিন্ন সময়। তারা সরকারের কাছে দাবি রেখেছেন শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে যেগুলো চুক্তিভিত্তিক কাজগুলো সরকারের মাধ্যমে হচ্ছে সেখানে তাদের সদস্যদের নিয়োগ করা হোক যেমন তেমনই গ্রামে এখনো অনেক স্বাস্থ্য পরিষেবায় ত্রুটি রয়েছে সে সময় দাঁড়িয়ে রোগী কল্যাণ সমিতি তে তাদের একজন করে সদস্য যাতে নিযুক্ত হতে পারে সে ব্যাপারেও তারা দাবী রেখেছেন যাতে সুন্দরভাবে ডিগ্রিধারী চিকিৎসকদের পাশাপাশি গ্রামের মানুষের চিকিৎসায় তারাও অংশগ্রহণ করতে পারে। তিনি বলেন সরকারের অনেক রকম কর্মসূচি রয়েছে যেমন পালস পোলিও টিকাকরণ, কুষ্ঠ নিবারণ কর্মসূচি সহ আরো অনেক কর্মসূচিগুলো যেগুলো ঠিকঠাকভাবে গ্রামে প্রতিফলিত হচ্ছে না সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তাদের সদস্যরা যেহেতু গ্রামের পড়ে থাকে ২৪ ঘন্টা তাই সরকারের কাছে অনুরোধ তাদের পরিষেবা দাও যাতে গ্রামের মানুষরা ঠিকঠাকভাবে পায় সেদিকে নজর রাখা। অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ ব্লক আর এম পি এ র সম্পাদক মদন দাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা গ্রামের স্বাস্থ্যপরিসেবা দিয়ে যাচ্ছেন তার বিনিময়ে সরকারের কাছ থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা আজ অব্দি তারা পাননি। কি রাজ্য সরকার কি কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি বলেন তারা গ্রামের মানুষের পরিষেবা দিয়ে গেলেও সরকারের তরফ থেকে শুধুমাত্র বঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই তারা পাননি। অথচ গ্রামের মানুষের প্রাণ তারাই বাঁচিয়ে রেখেছেন ২৪ ঘন্টা পরিষেবা দিয়ে। তিনি বলেন সরকারি ডাক্তারদের অনেক সময় গ্রামের মানুষরা পায়না সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তারা গ্রামের সেই ডাক্তারের অভাবটা পূরণ করছেন প্রতিনিয়ত। মদনবাবু বলেন আগামী দিনে তাদের দাবি-দাওয়া যদি না মানে সরকার তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে পা বাড়াবেন। এদিনের অনুষ্ঠানে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বহু গ্রামীণ চিকিৎসকরা উপস্থিত হয়েছিলেন। পাশাপাশি তাদের এই সম্মেলনে লক্ষ্মীপুর মই ম চন্দ্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত পাল ও বিদ্যালয় সম্পাদক তমাল পাট্টাদার উপস্থিত ছিলেন।