December 27, 2024

রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনে জয় পেলো ব্যাংকের তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্কুল শিক্ষিকা

1 min read

রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনে জয় পেলো ব্যাংকের তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্কুল শিক্ষিকা

তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৭ জুন: উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের স্কুল শিক্ষিকা বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনার দ্বারস্থ হয়ে বড় সর
সাফল্যের মুখ দেখলো বলে জানা যায়।জানা যায় রায়গঞ্জ ব্লকের মহারাজাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রায়গঞ্জের দেবী নগরের বাসিন্দা কণিকা বর্মন ২০০৭ সালে বিদ্যালয়ের চাকরির সুবাদে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংক থেকে ৯ শতাংশ সুদে গৃহ ঋণ বাবদ চার লক্ষ টাকা নিয়েছিল।জানা যায় বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংকের সাথে তার চুক্তি হয়েছিল মাসিক ৪০৪১কিস্তিতে ১৮০ টি কিস্তিতে ঋণের টাকা শোধ করবেন কণিকা বর্মন।সেইমত ঋণ নেওয়া হলেও শিক্ষিকা কণিকা বর্মন বলেন তার ব্যাংকের পাস বইয়ে পর্যাপ্ত টাকা থাকলেও বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংক তার একাউন্ট থেকে ২০০৯ সালের এপ্রিল,অক্টোবর এবং ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি ও ২০১১ সালের নভেম্বর মাসেও তার কিস্তির টাকা কাটা হয়নি।অথচ বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংক তাকে কোন রকম না জানিয়ে দেখা যায় ২০২২ সালের ৫ ই সেপ্টেম্বর তার একাউন্ট থেকে ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা কেটে নিয়েছে।এই ঘটনা দেখে স্কুল শিক্ষিকা কণিকা বর্মন তাকে না জানিয়ে তার একাউন্ট থেকে কেন টাকা কাটা হয়েছে তার উত্তরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় এটা নাকি এডজাস্টমেন্টের টাকা কাটা হয়েছে।

 

কণিকা বর্মন বলেন তার একাউন্ট থেকে অনেক বেশি টাকা কাটা হয়েছে এই অভিযোগ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কোন গুরুত্ব দেয়না তাইনয় কোন সদুত্তর ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কণিকা বর্মন পাননি।পরবর্তীতে উত্তর দিনাজপুর ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হন কণিকা বর্মন।কিন্তু সেখানে কেস খারিজ হওয়ায় ২০২৩ সালের ২৫ শে আগস্ট শিলিগুড়িতে রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হলে সেখানেই বরসর সাফল্য পান স্কুল শিক্ষিকা কণিকা বর্মন। শিক্ষিকা কণিকা বর্মণের আইনজীবী জয়ন্ত কুমার ব্যানার্জী এক সাক্ষাৎকারে বলেন আমার মক্কেলের ব্যাংক একাউন্ট থেকে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংক অন্যায় ভাবে টাকা কেটে নিয়েছিল।আইনজীবী জয়ন্ত কুমার ব্যানার্জী বলেন কমিশনার নির্দেশমত আমার মক্কেলের যে নয়টি কিস্তি বাকি ছিল ব্যাংক যে ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা অন্যায় ভাবে কেটে নিয়েছিল সেই টাকা থেকে নয়টি কিস্তির টাকা কেটে বাকি টাকা আমার মক্কেলকে ফেরত দিতে হবে কমিশনের নির্দেশে বলে জয়ন্ত কুমার ব্যানার্জী।জয়ন্ত কুমার ব্যানার্জী বলেন এখানেই শেষ নয় আমার মক্কেলকে হেনস্থা করার জন্য ব্যাংকে কুড়ি হাজার টাকা এবং মামলার খরচ বাবদ দশ হাজার টাকা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে বলে জানান।বিশিষ্ট আইনজীবী জয়ন্ত কুমার ব্যানার্জী বলেন রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের নির্দেশে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাংককে এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে বলে কণিকা বর্মণের আইনজীবী জয়ন্ত কুমার ব্যানার্জি বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *