শীতের পরশ পড়তেই মহেন্দ্রগঞ্জের প্রেমচরনের ভাপার দোকানে ভাপা প্রেমীদের লাইন-
1 min readশীতের পরশ পড়তেই মহেন্দ্রগঞ্জের প্রেমচরনের ভাপার দোকানে ভাপা প্রেমীদের লাইন-
তপন চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ,৬ ডিসেম্বর:তেমন ভাবে শীত পড়তে না পড়তেই কালিয়াগঞ্জের মহেন্দ্রগঞ্জের প্রেম চরনের ” ভোলানাথ নিরামিষ ভাপা ভান্ডারে” সমাজের গরিব বড়লোক পরিবারের সবাইকেই বিকেল হতেই ভাপা পিঠের জন্য লাইন দিতে হচ্ছে ভাপা পিঠে নেবার জন্য।একা প্রেমচরন তা সামাল দিতে না পারায় তার স্ত্রী প্রতিমা ও পুত্র রূপ সবাই মিলে দোকান সামাল দিচ্ছে।সোমবার এক সাক্ষাৎকারে প্রেমচরন বলেন আমার তৈরি ভাপা পিঠে খাবার জন্য মানুষ অপেক্ষা করে থাকে তেমনি আমার পরিবারের সবাই অপেক্ষা করে থাকি শীতের মরসুম কত তারাতারি আসবে।কারন শীতের মরসুম এলে আমাদের পরিবার চালাতে আর কোন সমস্যা থাকেনা।
কারন হিসাবে প্রেমচরন বলেন শীত এলেই আমরা আমাদের পরিবারের সবাই মিলে সারাদিন ধরে বাড়িতে বসে পুলি পিঠা, পাটিসাপ্টা, মালপোয়া,লঙ্কারচপ ছাড়াও জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সবকিছু বানিয়ে বিকেলে মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারের ফুটপাথে বসে দোকান চালিয়ে থাকি।ভাপা পিঠা প্রস্তুতকারক প্রেমচরন তার স্ত্রী প্রতিমা এবং ছেলে রূপ বর্মন বলেন শীতের মরসুমটাই আমাদের পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখে। প্রেমচরনের স্ত্রী প্রতিমা বর্মন বলেন প্রতিদিন ৩০কেজি চালের গুঁড়া দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করলেও অনেকেই আবার তা পায়না।
কারন এক এক জন খরিদ্দার ফুটপাথে খাবার পরেও বাড়ির জন্য ৫ টা কেও১০ টা নিয়ে যায়।দিয়ে শেষ করতে পারিনা।শুধু ভাপা পিঠাই নয় ভাপার সাথে পাটিসাপ্টা,মালপোয়া,নলেন গুড়ের পায়েস ছাড়াও নানান ধরনের মুখরোচক চপ তৈরি করতে হয়।প্রেম চরণ বলেন ভাপা পিঠার পিস -৫ টাকা,পুলিপিঠা-৫ টাকা,পাটিসাপ্টা-১০ টাকা,মালপোয়া-৫ টাকা পিস বিক্রি হয়।আমার ভোলানাথ নিরামিষ ভাপা পিঠার দোকানে হরেক মাল-৫ও ১০ টাকায় বিক্রি হয়।প্রেম চরণ বলেন প্রতিদিন ৩০ কেজির ভাপা বিক্রির সাথে অন্যান্য জিনিষ বিক্রি করে পাঁচ হাজার টাকার উপর বিক্রি হয়। তাতে লাভের কথা বলতে গেলে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা সব কিছু বাদ দিয়ে লাভ হয়।প্রেম চরনের ভাপার দোকানের নিত্য দিনের খরিদ্দার শ্যামল চ্যাটার্জী বলেন বাড়ি তার অনেক দূর চিড়াইল পাড়াতে হলেও তাকে প্রেমচরনের ভাপার টানে মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারে আসতেই হয়।প্রেমচরনের মহেন্দ্রগঞ্জের ভাপার দোকানে দেখল হল কলকাতা থেকে আসা নীহারিকা ভট্টাচার্য দাদার সাথে প্রেম চরনের দোকানে সন্ধ্যার সময় দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ভ্যপা,পায়েস পুলি নিয়ে খাচ্ছে।কেমন লাগছে প্রেমচরনের ভাপা? জিজ্ঞাসা করতেই বললেন লা জবাব।সুন্দর সুস্বাদু।কালিয়াগঞ্জে এসে এবার নুতন জিনিষ খেলাম।আবার শীতের সময় প্রেমচরনের দোকানে আসবো সিওর।