December 27, 2024

ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে এভাবেই বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

1 min read

ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে এভাবেই বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

 

 রাজনৈতিক লড়াইয়ে তৃণমূলের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না বিজেপি। তৃণমূলের জয়যাত্রা আটকাতে তাই ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সোমবার এভাবেই বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ২০২৪-র ভোটের দিকে তাকিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে বিজেপি। কারণ,তাদের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে তৃণমূলই। তাই ভয় পাচ্ছে পদ্ম-শিবির। সেজন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে  কাজে লাগিয়ে চক্রান্ত চলছে।

ভিন রাজ্যের বিভিন্ন ঘটনার উদাহরণ টেনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির বাড়াবাড়ি নিয়ে এভাবেই ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণের উদ্বোধন করে বিজেপি নেতাদের একহাত নিয়ে মমতা বলেছেন, ‘আপনারা ভাবছেন শুধু তৃণমূলকে আটকাও, তার কারণ ২০২৪ সালে তৃণমূল বেগ দেবে। এটাই তো আসল ভয়।’ উল্লেখ্য, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর স্বপ্ন চুরমার হয়ে গিয়েছে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তৃণমূলের। জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী শিবিরের কার্যত ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই প্রেক্ষাপটে সিবিআই-ইডির ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘জেনে রাখুন, যতই চক্রান্ত করুন, কিছুই হবে না। মিডিয়া, এজেন্সি দিয়ে চক্রান্ত করা হচ্ছে। তৃণমূলকে এত দুর্বল ভাববেন না। এটা জেনে রাখবেন তৃণমূল বোমা-বন্দুক নিয়ে বের হবে না।

 

বের হবে ঢাক, ঢোল, কাসর, ঘণ্টা নিয়ে। শান্তির জন্য যা দরকার, করব।’ পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, উত্তপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, বিহারে কত মানুষ খুন হয়েছেন? ক’টা সিবিআই হয়েছে? একইসঙ্গে মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের জনস্বার্থ বিরোধী বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে তাঁর লড়াই জারি থাকবে।

 

 

বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য পাল্টা বলেন, ‘আমরা পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের একমাত্র লক্ষ্য যে কোনওভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা।’ এদিন সিপিএমকেও চড়া সুরে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে বাংলার সর্বনাশ করে দিয়েছে সিপিএম। বিভিন্ন দপ্তরে এখনও সিপিএমের ঘুঘুর বাসা রয়েছে। তাদের  চরিত্র, রূপে বদল হয়নি। কিন্তু আমরা কারও চাকরি খাইনি।’ সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে আঁতাতের অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘এখনও পর্যন্ত সিপিএম নেতাদের ক’টা সিবিআই-ইডি কেস হয়েছে? কতজন সিপিএম নেতা আজ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন? সিপিএমকে দেখলে আমার লজ্জা হয়। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় রাস্তায় নামে অথচ ইউক্রেন যুদ্ধের সময় মুখে কথা নেই।’ 
এদিন শিল্পপতিদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা বিভিন্ন ক্ষেত্রে এক নম্বরে। তাই রাজ্যে বিনিয়োগে এগিয়ে আসুন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর..