মিলিয়ে নেবেন, দেশ থেকে পরিবারতন্ত্র একদিন উচ্ছেদ হবেই। চার রাজ্যের ভোটে জিতেই এই কথা বলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
1 min readমিলিয়ে নেবেন, দেশ থেকে পরিবারতন্ত্র একদিন উচ্ছেদ হবেই। চার রাজ্যের ভোটে জিতেই এই কথা বলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মিলিয়ে নেবেন, দেশ থেকে পরিবারতন্ত্র একদিন উচ্ছেদ হবেই। চার রাজ্যের ভোটে জিতেই এই কথা বলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। পার্টি দপ্তরের প্রবেশ পথ থেকে সমাবেশ মঞ্চ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গী হন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। উপস্থিত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘কোনও পরিবারের প্রতি আমার বিতৃষ্ণা নেই। কেউ আমার শত্রুও নন। আমি গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত। আর সেটা মাথায় রেখেই ভোট দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। ভারতে একদিন এমন সময় আসবে, যেদিন পরিবারতন্ত্রের রাজনীতিকে অস্তাচলে পাঠিয়ে ছাড়বেন দেশবাসী।’সমাবেশ মঞ্চে জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নীতিন গাদকারিকে পাশে বসিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কার্যত ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দামামাও বাজিয়ে দিয়ে যান নরেন্দ্র মোদি। বলেন, ‘আসন্ন লোকসভা ভোটে কী হতে চলেছে, বৃহস্পতিবারই তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের এই ফলাফলই ২০২৪ সালের ভবিষ্যৎ তৈরি করে দিল।’ কংগ্রেসের নাম না করেও এদিন ভাষণের পুরো সময়টা সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর দলকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। নাম না করেই করলেন একের পর এক অভিযোগও। বললেন, ‘নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই কিছু লোক ঝাঁপিয়ে পড়ছে। এককাট্টা হচ্ছে। একমাত্র মোদি সরকারই পারবে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে।’ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে প্রতিনিয়ত কিছু মানুষ বাধা দিচ্ছে, রাজনীতি করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন নরেন্দ্র মোদি।প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগে বিজেপি সভাপতি নাড্ডা বলেন, ‘নির্বাচন শুধুমাত্র অঙ্ক নয়। একটি রসায়ন। দেশের গরিব, দলিত, কৃষকরা মোদিজির সেই রসায়নে জুড়তে চেয়েছেন। মোদিজির নেতৃত্বেই উত্তরপ্রদেশ সহ অন্য রাজ্যগুলিতে ভালো ফল করেছে বিজেপি।’ নরেন্দ্র মোদিও অবশ্য তাঁর ভাষণে পার্টির নেতা-কর্মীদের সঠিক দিশা দেখানোর জন্য নাড্ডাজিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিনভর নয়াদিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের ছবিটা প্রত্যাশিতই ছিল। ব্যান্ড, তাসা পার্টি, আবির খেলা, সংলগ্ন রাস্তা জুড়ে বাজি ফাটানো, উদ্দাম নাচ– জয়ের উদযাপনে মজুত ছিল সবই। পার্টি অফিসের মূল প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে মোদি-মুখোশ বিলি করলেন বিজেপি কর্মীরা। জানালেন, ‘প্রথম পর্যায়ে শ’খানেক মুখোশ নিয়ে আসা হয়েছিল। ১৫ মিনিটেই সব শেষ।’ এদিন বৃহস্পতিবার বেলা যত বেড়েছে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির জয়ের পাল্লা তত ভারী হয়েছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। হর হর মোদি স্লোগান দিতে দিতে গোটা বিজেপি কার্যালয় চক্কর কেটেছেন এক সমর্থক। জয়ের আনন্দে দেদার বিলি হয়েছে মিষ্টি। ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ানো হয়েছিল দপ্তরের নিরাপত্তা।