জোড়া ফুলের পৌর প্রধানের কুর্সির দাবিদার তিনের অধিক, পদ্ম ফুলে জয়ী যোগ্য দাবিদার অলক্ষে হাসছে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় যোগ্য পৌর পিতাকে চায় জনগন –
1 min readজোড়া ফুলের পৌর প্রধানের কুর্সির দাবিদার তিনের অধিক, পদ্ম ফুলে জয়ী যোগ্য দাবিদার অলক্ষে হাসছে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভায় যোগ্য পৌর পিতাকে চায় জনগন –
তপন চক্রবর্তী,কালিয়াগঞ্জ,৪ মার্চ:এখন পথে ঘাটে বাজারের চায়ের দোকানে একটাই আলোচনা কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার মত একটি পৌর সভায় যেমন তেমন জয়ী ব্যক্তিকে পৌর পিতার কুর্সিতে বসিয়ে কালিয়াগঞ্জ পৌর শহরের উন্নয়ন সম্ভব নয়।প্রয়োজন ডাইনামিক যোগ্য পৌর পিতা।কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার নির্বাচনে ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টি ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়ী হয়ছে বটে কিন্তু ধারে ভারে বিগত পৌর পিতার মত পৌর পিতা হবার যোগ্যতা সেই অর্থে নাই বললেই চলে।তবে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে অভিজ্ঞ্যতার নিরিখে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বসন্ত রায় ছয় ছয়বারের বিজয়ী।তিনি বেশ কয়েকবার উপ পৌর পিতার দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। ।১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এবার নুতন মুখ রাম নিবাস সাহা।মানুষ হিসাবে সকলের প্রিয়।মিষ্টি স্বভাবের মানুষ হিসেবেই তিনি পরিচিত।
তৃতীয় ব্যক্তি ঈশ্বর রজক প্রশাসনিক কাজে নেই কোন পূর্বের অভিজ্ঞ্যতা।ছাড়াও পৌর পিতার কুরসীর দৌড়ে পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বজিৎ কুন্ডুও নাকি নুতন মুখ হিসাবে দাবি জানিয়েছে।ফলে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার জন্য একজন দক্ষ পৌর পিতা খুঁজতে ঘাম ঝড়িয়ে দিচ্ছে শোনা যাচ্ছে। যদি তৃণমূল দলের ৯নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী তথা প্রাক্তন উপ পৌর পিতা কমল ঘোষ জয়ী হতে পারতেন,যদি তৃণমূলের কালিয়াগঞ্জ শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা আইনজীবী সুজিত সরকার অথবা কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার বিদায়ী পৌর প্রশাসক সচিন সিংহ রায় জয়ী হতে পারতেন তাহলে অন্তত পক্ষে যোগ্য পৌর পিতাকে খুঁজে বের করবার প্রয়োজন থাকতো না।
অন্যদিকে তৃণমূল দলে থাকাকালীন প্রাক্তন পৌর পিতা তথা কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়নের রূপকার কার্তিক পাল এবার বিগত ২০২১সালের বিধান সভা নির্বাচনের পূর্বে কার্তিক পাল তৃণমূলের কয়েকজন কালিয়াগঞ্জ শহরের নেতার কাজকর্মে অতিষ্ট হয় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন।বিজেপির মুখ হয়ে কার্তিক পাল এবার তার ৮নম্বর ওয়ার্ডে দাড়িয়ে ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সব থেকে বেশি ভোটে তৃণমূলের বিশিষ্ট নেতা তথা প্রাক্তন উপ পৌর পিতা কমল ঘোষকে হারিয়ে দিয়েছে।এই কার্তিক পালকে যেন তেন প্রকরেন হারাবার জন্য তৃণমূল দল চেষ্টা করেও তাকে হারাতে পারেনি।কালিয়াগঞ্জ শুধু নয় গোটা উত্তর দিনাজপুর জেলার মানুষের চোখ ছিল কার্তিক পালের ৮নম্বর ওয়ার্ডের দিকে।উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কোন পৌর সভায় বিজেপি প্রার্থীরা খাতা খুলতে পারেনি সেখানে কালিয়াগঞ্জ পৌর নির্বাচনে বিজেপি ছয়টি আসনের সাথে সাথে একজন জয়ী নির্দল সদস্য কার্তিক পালের দিকেই ঝুঁকে আছেন।রাজনৈতিক মহলে জোর আলচনা কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার ম্যাজিক ফিগার ৯টি আসন।সেখানে বিজেপি ৭টি আসন কব্জা করে নিয়েছে।তাহলে কি খুব শীগ্রই দেখা যাবে তৃণমূল দলে পৌর পিতার দৌড়ে ঠাই না পাওয়া প্রবীণ ও নবীন জয়ী প্রথীরা শেষমেশ কার্তিকের হাত শক্ত করতে বিজেপির দিকেই যাবার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে? কালিয়াগঞ্জ শহরের হাটে বাজারে একটাই আলোচনা কালিয়াগঞ্জ শহরের উন্নয়ন করতে গেলে চাই কার্তিক পালের মত একজন দক্ষ মানুষ যার পক্ষে কালিয়াগঞ্জ শহরের মত একটি শহরকে আগের মতই উন্নয়নের গতিকে আরো দ্রুততার সাথে নিয়ে যেতে পারবে বলেই তারা মনে করেন।এখন দেখার বিষয় কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার উন্নয়নের দায়িত্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষের দ্বারা পরিচালিত হবে না অনভিজ্ঞতার শিকার হবে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভা।